ওলি
বাংলাদেশের সংবিধানে সকল নাগরিকের অধিকারের স্বীকৃতি রয়েছে । তবে, গরীব জনসাধারন অনেক ক্ষেত্রেই আইনের আশ্রয়লাভের অধিকার হতে বঞ্চিত হয় । আজকের দি ডেইলি স্টারে "Access to Justice" শিরোনামে আমার একটি লেখা (Click This Link) প্রকাশিত হয়েছে । গরীব জনসাধারণের আইনী সাহায্যের জন্য গঠিত "লিগেল এইড কমিটি" অর্থের সর্বোচ্চ ব্যবহারের উপর আমি গুরাত্বোরোপ করেছি ।
অনেক পাঠকই হয়তো প্রথম আলোতে (১৩/০৫/২০১০) প্রকাশিত মানিকগঞ্জে জেলা আইনগত সহায়তা কমিটির অব্যবহৃত তহবিল সম্পর্কিত রিপোর্টটি পড়েছেন ।
রিপোর্টে বলা হয়েছে "২০০০ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত জেলা আইনগত সহায়তা কমিটির তহবিলে পাওয়া গেছে ১১ লাখ সাত হাজার টাকা। খরচ হয়েছে সাত লাখ ৭৪ হাজার টাকা। আবেদনের অভাবে এই বিপুল পরিমাণ টাকা পড়ে রয়েছে" । দেশের অন্যান্য জেলা আইনগত সহায়তা কমিটির তহবিলে অব্যবহৃত টাকার পরিমাণ ও নেহাত কম নয় ।
যেদেশে এত লোক দরিদ্র, সেখানে আবেদনের অভাবে বিপুল পরিমান টাকা পড়ে রয়েছে ।
গরিব জনষাধারণ যেখানে বছরের পর বছর মামলার খরচ যোগাতে গিয়ে সর্বশ্রান্ত হচ্ছে, সেখানে লিগ্যাল এইডের টাকা অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে । সেলুকাস এই দেশ !
আইনগত সহায়তা আইন ২০০০ প্রণীত হয়েছে গরীব ও অস্বচ্ছল ব্যক্তিবর্গকে সরকারি খরচে আইনি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে । জেলা আইনগত সহায়তা কমিটি্ এই আইনের ভিত্তিতেই গঠিত হয় । অথচ শুধু প্রচার ও সচেতনতার অভাবে আইনগত সহায়তা কমিটি্র তহবিল অব্যবহৃত । বেশীরভাগ বিচারপ্রার্থী গরীব জনসাধারণ আদতে জানেইনা যে এ ধরণের একটি তহবিল রয়েছে ।
এদেশের আদালতগুলোতে মামলার দীর্ঘ জট রয়েছে। দিনের পর দিন কোর্টের খরচ চালিয়ে নিতে গরীব বিচারপ্রার্থীদের নাভিশ্বাস উঠে । সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট অনুয়ায়ী জানুয়ারি ২০১০ পর্যন্ত দেশে ১৫ লাখের উপর মামলা বিচারাধীন রয়েছে । বছরের পর বছর ধরে ন্যায়বিচারের আশায় প্রহর গোণা অসচ্ছল মানুষ দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হয়ে পড়ে মামলার খরচ যুগিয়ে । অথচ আইনগত সহায়তা কমিটি্র তহবিলে টাকা থাকে অব্যবহৃত ।
এ অবস্থার আশৃ অবসান প্রয়োজন । আইনগত সহায়তা কমিটি্র তহবিলের সর্বোচ্চ ব্যবহারে পদক্ষেপ নেয়া দরকার এখনই ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।