কালের স্রোত
সময় রাত সোয়া নয়টা, মেয়ের আজ পানচিনি। বাড়ির নিচে রান্না হচ্ছে আর উপরে নানা আনন্দ ও উল্লাসের হর্ষধ্বনি। চারিদিকে ম ম করছে বিরিয়ানি ও নানা ধরনের মুখরোচক খাবারে ঘ্রাণ।
আর বড় বোনকে নিয়ে হবু কনে গেছেন পার্লারে। হবু বর তখনো আসেননি।
বরের মা ও কনের মাসহ আত্মীয়স্বজনে গিজগিজ করছে নবাব কাটরার ৪৩/১ বাড়িটির তিন তলা।
হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ। এরই মধ্যে আগুন। মিলিয়ে গেলো সব আনন্দ। মুহূর্তেই হবু বর ও কনের মাসহ দুই পরিবারের কমপে ১৩ জনের জীবনপ্রদীপ নিভে গেলো।
বিয়ের বাড়ি উল্লাস ধ্বনি বন্ধ নেমে এলে মৃত্যুর কালো থাবা।
এক পর্যায়ে এই ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর উদ্ধার করা হয় বরের মা, ভাই, ভাইয়ের ছেলে, মামি, খালা দোকান কর্মচারির লাশ। একই সঙ্গে উদ্ধার করা হয় কনের মা ফাতেমা বেগম, খালাতো ভাই সিমেন, খালাতো বোন অনিকা, চাচাতো বোন জোৎসা, জোৎসার ছেলে মুকিত, দুই খালা সাজেদা ও মেহেরা
{উপরোক্ত ঘটনা গতকাল রাতে পুরান ঢাকার নিমতলীতে ঘটে যাওয়া অগ্নিকান্ডের সূত্র্রপাত ঘটা বাড়ির কাহিনী}
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।