আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইদানীংকালের সবচেয়ে বড় হুমকি "ইভ টিজিং" ও তার প্রতিকারের কিছু উপায়.....

Dream Today,Create Tomorrow........

ইদানীং প্রতিদিন প্রত্রিকা খুললেই চোখে পরে ইভ টিজিং এর কারনে নানা র্দূঘটনার খবর। কোথাও এই টিজিং এর বলি হচ্ছে কোন মেয়ে অথবা খুন কিংবা আহত হচ্ছে তার কোন নিকট আত্নীয়-স্বজন। কিন্তু এর জন্য কি আমাদের কিছুই করার নেই? যে মেয়েটি আজ নিজকে নিজে খুন করে ফেলছে তার তালিকায় যে আমার আপনার আপনজন কেউ ভবিষ্যৎতে যোগ হবে না তা কি কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারবেন........?? যতদিন না ব্যক্তি নিজ নিজ মন মানুষিকতার উন্নয়ন ঘটবে,সুশিক্ষার প্রতিফলন কর্মে প্রকাশ করবে, মানুষের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাবোধ ব্যক্তিসকলের মাঝে জাগ্রত না হবে ততদিন যতই আইন করা হউক না কেন কোন লাভ হবে না। আইন করে নিয়ম করা যায় কিন্তু অপরাধ থামানো যায় না কারন আইনের অনেক ফাঁক-ফোকর থাকে কিন্তু ব্যক্তি মানুষ কে যদি তার মন-মানুসিকতার উন্নয়ন করানো যায় তবে আইন না থাকলেও চলবে কারন মানুষ তখন কিছু করার আগে নিজের বিবেক কে প্রশ্ন করবে কে আমি?? আমি ভুল না সঠিক পথে.......?? ইভ টিজিং রোধের জন্য আমার নিজের কিছু চিন্তা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আপনারাও আমার সাথে আপনার মতামত শেয়ার করবেন আশা করি।

*পরিবার:- কোন মানুষ ই অপরাধী কিংবা অপরাধ করার মন মানুষিকতা নিয়ে জন্মায় না। পরিবার,সমাজ,পরিবেশ,বন্ধু ইত্যাদীর সংস্র্পশের মাঝেই একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষের সৃষ্টি হয়। মানুষের সবচেয়ে কাছের,আপন হলো্ তার পরিবার। মানুষের প্রথম শিক্ষা ক্ষেত্রও পরিবার। মানুষ তার জীবনের অধিকাংশ জিনিস ই তার পরিবার থেকে শিক্ষা গ্রহন করে।

তাই ইভ টিজিং প্রতিরোধ করার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হচ্ছে নিজ নিজ পরিবার এবং পরিবারের সদস্যদের একান্ত সহযোগীতা। সকল পরিবারের ই তার সন্তানকে সুশিক্ষায় ও নৈতিকতায় শিক্ষিত করে তোলা উচিত এবং সবাই তাই-ই চায়। কিন্তু একটু অবহেলার জন্যই হয়তো তা আর বাস্তবে পরিনত হয় না। তাই পরিবার থেকেই তাদের সন্তানদের শিক্ষা দেয়া উচিত মানুষের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাবোধ,সম্মান,ভালোবাসার। কোন পরিবারের মাঝে যদি অটুট ভালোবাসা,শ্রদ্ধাবোধ থাকে,তা দেখে যদি কোন সন্তান বড় হয় তার পক্ষে কোন মন্দ কাজ করার আগে তার পরিবারের চিন্তা আসবে সবার আগে কারন তার পরিবার তাঁকে এই শিক্ষায় শিক্ষিত করেনি।

এক দিনে কেউ খারপ পথে কিংবা খারাপ হয়ে যায় না। তাই পরিবারের সদস্যদের উচিত তার সন্তানের খোঁজ-খবর রাখা। শাসন করা কিংবা অঢেল আদর করা মানে-ই সব দায়িত্ব শেষ করা না কারন শাসন করে সব করানো যায় না কিন্তু তাকে ভালোবেসে,সুশিক্ষায়,বুঝিয়ে যদি তার সুন্দর মনুষ্যত্বকে যদি জাগ্রত করে দেয়া যায় তবে সে নিজে ই নিজকে শাসন করবে। বুঝে নিবে ন্যায় ও অন্যায়ের পথ.......... * উগ্র পোশাক পরিহার :- টিজ শুধু মাএ স্কুল,কলেজ কিংবা র্ভাসিটিতেই হয় না পথে-ঘাটেও হয়। তার জন্য ছেলেদের পাশাপাশি কিন্তু মেয়েরাও কিছুটা দায়ী।

হয়তো আমার এই কথার সাথে অনেকে একমত নাও হতে পারেন কিন্তু বাস্তবতা এড়ানোর কোন উপায় নেই। সৃষ্টির আদিম কাল থেকেই জৈবিক অনুভুতি মানুষের সঙ্গী। আজকাল মেয়রা এমন সব পোশাক পড়ে যা তার ফ্যাশনের বদলে নিজের সর্বনাশ ই ডেকে আনে। হয়তো আপনি এখানে ছেলে কিংবা পুরুষদেরকেই দোষারোপ করবেন কিন্তু মেয়েটা কি কোন অংশেই দায়ী না??? যা অন্যের জৈবিক চাহিদার মনসিকতা জাগ্রত করে তোলে সেই পোশাক পরিধান করা কি অপরাধ করার প্রবণতা উষ্কে দেয়ার দায়ে দোষী না??? * ধর্মীয় মূল্যবোধ :- নানা মানুষ নানা ধর্মের । সকল ধর্মের মানুষের কাছেই তার ধর্ম পবিত্র।

কোন ধর্মই মানুষকে অন্যায় করার জন্য উৎসাহীত করে না। কোন ধর্ম গ্রন্থেই বলা নেই মানুষের হক নষ্ট করা জন্য কিংবা মানুষের সাথে নোংরা ব্যবহার করার জন্য। তাই ধর্মীয় মূল্যবোধ যদি সবার মাঝে জাগ্রতো করা যায় তবেই দূর করা সম্ভব সকল অপরাধ। আমারা সবাই চাই একটি সুন্দর দেশের নাগরিক হতে। আমরা চাই না সেখানে আমার কিংবা আপনার কোন সন্তান,ভাই-বোন অপরাধী হউক অথবা অপরাধীদের শিকার হউক।

সেই সুন্দর দিনের প্রত্যাশায়.............

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।