পরাঞ্জয়ী...
শুভ্র,
ভালো থাক বা মন্দ সে নিয়ে আমার যতনা আগ্রহ তার চেয়ে বেশি আগ্রহ তোমার হঠাৎ বদলে যাওয়া নিয়ে। এই "দ্বিতীয় তুমি"টা কে আমি ঠিক ঠিক বুঝে উঠতে পারিনা সহসা! কেমন যেন খটকা লাগে! আচ্ছা, আস্তিকের কাছে স্রষ্টার বিশ্বাস যেমন, যে ভালবাসে তার কাছে ভালবাসাটাও কি তেমন? সবই বিশ্বাস! আরাধনায় যেমন স্রষ্টাকে পাওয়া যায়, ভালবেসেও কি "আরাধ্য" কে লাভ করা যায়? তোমায় পাবনা এই ছিল আমার ভরপুর বিশ্বাস! সে বিশ্বাসে আবারও ফাটল ধরলো। তোমায় "পাব" এ আশা করলে ধর্মের সাথে অধর্মের জোর লড়াই বাঁধবে কি না জানিনা, কি্ন্তু "পাবনা" এমনটি ভাবলে বিশ্বাসের সাথে খানিকটা অধর্মই করা হয় বৈ কী! আর জানোই তো, ধর্মের সাথে অধর্মের লড়াইটা আস্তিক আর নাস্তিকের লড়াইয়ের মতই জীবন-পণ আত্মঘাতি যুদ্ধ!
শুভ্র, তোমরা পুরুষরা নারীকে ফাঁকি দেয়ার বৃথা কিছু পন্থা আবিস্কার করেই নিজেদের নিরাপদ ভাবার ব্যর্থ চেষ্টা করে নিশ্চিন্ত থাকতে চাও, এ কথা ভাবলেই আমি হেসেই মরি! সে বুঝি এতই সহজ?! উপরওয়ালা তোমাদের কে যদিবা "কালাজ্বর"এর জীবানু বানিয়ে পাঠিয়েছেন, আমাদের বানিয়েছেন তার উপশমের "বিধান"! তোমরা নিজেদের সুগঠিত মাংসপেশী, শক্ত বাহু আর সুউচ্চ দেহ নিয়ে আমাদের ভুলিয়ে রাখ যে, তোমরা বড় শক্তিশালী, তোমাদের মেনে চলা অত্যাবশ্যক! ও যে স্রেফ ফাঁকি সে নারী জানে, আর ছলনা করে ভুলে থাকে এই ভেবে যে "থাক না, আমায় বোকা ভেবে বেচারা যদি ভালো থাকে তাতেই না আমার সুখ"! আমি জানি তেমনি করে "তোমার চোখ শান্তির একটা দৃশ্য খোঁজে, মাথা একটা নিশ্চিন্ত কোল খুঁজে মরে, জীবনের খেয়া পার হবার জন্য হাত দু'টি নির্ভরতার আরও দুটি হাত খোঁজে। বলবার ভাষা যদি মনেও আসে, মুখে সে কিছুতেই আসতে চায়না! কিন্তু আমার চেয়ে তোমায় কে বা আর বেশি পড়তে পারে?!
তুমি কি পরজনমে বিশ্বাস কর জান? আমি করি! নয়ত এই যে পাপ পূন্যের খেলা তার কি গতি হবে একবার ভাব তো! পাওয়া বলতে যা বোঝায় তা আমি ঠিক ঠিক এই জন্মেই পেয়েছি। পর জন্মে যেটুকু চাওয়ার তা হল, তখন যেন আমি তোমার রূপে জন্ম নেই!! আর তুমি "আমি" হয়ে। দিন রাত আমি এই ভেবে মরি তখন তুমি আমায় পাবার আশায় কোথায় কোথায় মাথা কুটে মরবে!! তোমার শরীরে শক্তির অভাব হবেনা কোন কালে সে আমি দিব্যি বলতে পারি, আমার যত ভয় তোমার মন টা নিয়ে, ওতে যে ফুলের ঘাঁ টুকুও সয়না! আহা! না পাবার ব্যাথাটুকু মেনে নেবার সাহসটুকু থাকলেও সইবার শক্তি যে একেবারেই নেই! তুমি যখন জানতে চাও"তুমি আমায় বেশি ভলবাস নাকি আয়নার ভেতর দৃশ্যমান অবয়ব টা কে" আমি জোর গলায় বলি "তোমাকে"। যে জোর কন্ঠের যতনা, হৃদয়ের তার চেয়ে বেশি সে কি টের পাও? আমি জানি তুমিও টের পাও, তুমিও অনুভব কর, তুমিও ভালবাস। স্রেফ অকপটে বলবার জোরটুকু কেড়ে নিয়েছেন সৃষ্টিকর্তা তোমার কাছ থেকে!!
তবুও বলতে ইচ্ছে করে........................
কোনওদিন আচমকা একদিন
ভালবাসা এসে যদি হুট করে বলে বসে
চলো যেদিকে দুচোখ যায় চলে যাই,
যাবে??? (হে.হাফিজ)
তোমারই
সুমনা
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।