গতকাল দেশে ফিরেছেন এভারেস্ট বিজয়ী মুসা ইব্রাহীম। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে প্রথম তিনি এভারেস্ট জয় করেছেন গত ২৩ মে সকালে। অনেক সমস্যাসংকুল পথ পাড়ি দিয়ে এভারেস্ট জয় করে মুসা বাংলাদেশের জন্য অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা বয়ে এনেছেন। মুসার পর্বত জয়ের পর তাকে নিয়ে যেসব প্রতিবেদন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে তাতে স্পষ্ট যে, নানা বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও শুধু দৃঢ় সংকল্প আর পরিশ্রমের বলেই তিনি এভারেস্ট জয় করতে পেরেছেন। স্বাভাবিকভাবে মুসা তরুণ সমাজের সামনে একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।
আগামীর বাংলাদেশ যে তরুণদের নেতৃত্বে পরিচালিত হবে তাদের কাছে মুসা অসম্ভব বা কঠিনকে জয় করার আইকনে পরিণত হয়েছেন। তরুণরা মুসার এই জয়ের পর বলছেন, আমরাও পারি। পৃথিবীর বহু দেশের বহু মানুষ এভারেস্ট জয় করেছেন। কিন্তু এত বছরেও এভারেস্ট শৃঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা ওড়েনি। মুসার মাধ্যমেই এভারেস্টে উড়ল বাংলাদেশের পতাকা।
এ ঘটনাটি তরুণদের কর্মোদ্যোগ ও উদ্দীপনাকে নতুন মাত্রা দেবে সন্দেহ নেই। শুধু এভারেস্ট জয় নয়, নানা ক্ষেত্রে তরুণরা বিশ্বজয়ের যে উদ্যোগগুলো নিচ্ছেন সেগুলোতে আসবে নতুন কর্মোদ্দীপনা। মুসার এভারেস্ট জয়ের পর দেশের গণমাধ্যমে তিনি প্রচুর সাধুবাদ পেয়েছেন। সকলেই একবাক্যে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। নেপালে তাকে সংবর্ধনা জানানো হয়েছে।
বিমানবন্দরে তাকে উষ্ণতার সঙ্গে বরণ করা হয়েছে। মুসা জানিয়েছেন, তিনি শিক্ষার উন্নয়নের জন্য কাজ করতে চান। আমরা আশা করি, তিনি তার পরিকল্পনামতো এগিয়ে যাবেন। ভবিষ্যৎ কৃতিত্ব দিয়ে তরুণদের মধ্যে আইকন হিসেবে তিনি প্রতিষ্ঠিত থাকুন। ফিলিস্তিনি কবি মাহমুদ দারবিশ লিখেছিলেন, একটি পর্বত চূড়ায় ওঠার পর দেখলাম আশপাশে বহু পর্বত আছে বিজয়ীর অপেক্ষায়।
মুসা এভারেস্ট জয় করেছেন, কিন্তু বাংলাদেশে আরও বহু দুর্গম গিরি তরুণদের জয়ের অপেক্ষায় রয়েছে। মুসার প্রেরণায় সেসব পর্বতও বিজিত হোক, এই আজকের কামনা।
(সমকাল)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।