নাজমুল ইসলাম মকবুল
স্বাগতম মাহমুদুর রহমান তোমাকে স্বাগতম
তারা জোয়ার দেখেছে ভাটার টান দেখেনি
নাজমুল ইসলাম মকবুল
আল-ইনতেযারু আশাদ্দু মিনাল মাউত, সুপ্রসিদ্ধ আরবী এ প্রবাদ বাক্যের তরজমা হচ্ছে প্রতীা মৃত্যুর চেয়েও কষ্টের। দেশবাসীর ৯ মাস ১৭ দিনের প্রতীার অবসান হলো অবশেষে। মহান আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে কোটি কোটি জনতার হৃদয়ের স্পন্দন, সত্যের পথের লড়াকু সৈনিক, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্টের নির্মম নির্যাতন থেকে বেরিয়ে এসে সোজা প্রবেশ করলেন আমার দেশ কার্যালয়ে। আধুনিক প্রযুক্তির কল্যানে ও অনেকগুলি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার স¤প্রচারের মাধ্যমে দেশ বিদেশের কোটি কোটি জনতা মুহুর্তেই তাঁর মুক্তির সংবাদ পেয়ে ফেটে পড়লো বাধভাঙ্গা উল্লাসে। দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্থানে পড়ে গেলো মিষ্টি বিতরনের হিড়িক।
অনেকেই মহান আল্লাহ পাকের দরবারে শুকরিয়া জানালেন নফল নামাজ আদায় ও প্রার্থনা করে।
দেশবাসীর কাছে গত ৯ মাস ১৭ দিন অতিবাহিত হচ্ছিল যেন কচ্ছপ গতিতে। ৯ মাসকে মনে হয়েছিল নয়শ বছরের সমান। মাহমুদুর রহমানের কলম থেকে বের হওয়া আগুনের গোলাসম মন্তব্য প্রতিবেদন বাংলাদেশ তথা বিশ্বের সকল দেশে অবস্থানরত বাংলাভাষীদের চুম্বকের মতো আকর্ষন করায় ফ্যাসিবাদী তথা লুটেরাদের চুশুলে পরিণত হন তিনি। দেশ বিদেশের কোটি কোটি জনতা আমার দেশে প্রকাশিত মাহমুদুর রহমানের মন্তব্য প্রতিবেদন পড়ার জন্য রাত জেগে আমার দেশ অনলাইনে কিক করতেন।
এসব মন্তব্য প্রতিবেদনের সমাহারই একদিন হবে এদেশের বাস্তব ইতিহাস। বাস্তব প্রতিচ্ছবি। কালের স্বাী। মাহমুদুর রহমান মুক্তি পাওয়ার পর গ্রেফতার হওয়া থেকে শুরু করে জেল জুলুম ও রিমান্ডে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতনের বাস্তব প্রতিচ্ছবি খোদ মাহমুদুর রহমানের কলম থেকে ধারাবাহিকভাবে বের হয়ে আসবে এবং বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ তা পড়ার জন্য অধীর আগ্রহের প্রহর যে গুণছিলেন তা কারো অজানা নয়। আবার মুক্ত মাহমুদুর রহমানের আগুনঝরা মন্তব্য প্রতিবেদন আঘাত হানতে শুরু করবে ফ্যাসিবাদী সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যবাদী শোষক লুটেরাদের তখতে তাউসে।
তাই যতই ঘনিয়ে আসছিল বাংলার নর সার্দুল মাহমুদুর রহমানের মুক্তির সেই মাহেন্দ্র ন, ততই যেন ভয়ে থরথর করে কাঁপতে শুরু করছিলো বাতিলের মসনদ।
ভেবেছিল ওরা মাহমুদুর রহমানকে কারারুদ্ধ করে রাখলে এবং এদেশের মাটি ও মানুষের তথা স্বাধীনতার কন্ঠস্বর আমার দেশ বন্ধ করে দিতে পারলেই তারা নিরাপদে লুটতরাজ করতে পারবে। পারবে যা খুশি তা করতে। কিন্তু তারা জোয়ার দেখেছে ভাটার টান দেখেনি। এক মাহমুদুর রহমান থেকে কোটি মাহমুদুর রহমানের জন্ম হবে এই বাংলাদেশে।
যারা শুধু বাংলাদেশ নয়, পথ দেখাবে বিশ্ববাসীকে। যার প্রমাণ বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বে মাহমুদুর রহমানের মুক্তির জন্য চলে তুমুল আন্দোলন। চলে মানববন্দন, প্রতিবাদ সমাবেশ, মিছিল, মিটিং, স্মারকলিপি পেশসহ নানা কর্মসুচি। লেখালেখি হয় অসংখ্য অগণিত। একজন লেখক বা সাংবাদিককে এমন অমানুষিক কায়দায় অন্যায়ভাবে গ্রেফতার ও নির্যাতন করার নজির যেমন বিশ্বের ইতিহাসে নেই তেমনি এর প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী এমন তুমুল আন্দোলনের ইতিহাসও খুজে পাওয়া মুশকিল।
আজ লুটেরারা হাহুতাশ করছে এই ভেবে যে, ফ্যাসিবাদি কায়দায় আমার দেশ বন্ধ করে আটকে রাখতে পারলাম না। মাহমুদুর রহমানের উপর সারাদেশে মামলার পর মামলা দিয়েও আটকে রাখতে পারলামনা বরং মাহমুদুর রহমান ও আমার দেশকে সম্মানের শীর্ষ চুড়ায় তুলে দিয়ে কী ভুলইনা করলাম। এর মাশুল দেয়া শুরু হয়ে যাবে। আমার দেশ পত্রিকা হবে এদেশের তথা বিশ্বের বাংলাভাষী মানুষের প্রধান মুখপত্র। আর মাহমুদুর রহমান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন এর কান্ডারী হিসেবে বিশ্ববাসীর কাছে শ্রদ্ধার পাত্র হিসেবে।
যার উপর ঢাকাসহ বিভিন্নস্থানে এবং সুদুর যুক্তরাজ্যেও কাপুরুষের মতো নগ্ন হামলা করে তাকে দমাতে পারেনি পিশাচেরা, আটকাতে পারেনি সেই শানিত কলমের দুরন্ত গতি, তাকে জেলের ভয় দেখিয়ে লাভ যে হবেনা তা তারা বোধ হয় ভাবতেই পারেনি। মাহমুদুর রহমানকে যারা অপদস্থ করেছে, বিবস্ত্র করেছে তাদের দুরভিসন্ধি আজ বুমেরাং হতে চলেছে, তারাই বিবস্ত্র হবে এবং অচিরেই এর পরিণতি তারা ভোগ করারও সময় অপো করছে।
বিশ্ববাসী অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখছে, সাহসী কলমসৈনিক মাহমুদুর রহমান অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করে স্থাপন করেছেন বিরল দৃষ্টান্ত। যা শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্বে নজিরবিহীন। একটি সত্য রিপোর্ট তাঁর সম্পাদিত পত্রিকায় প্রকাশের দায়ে নজিরবিহীন দন্ড প্রদান করায় বিশ্ববাসী শুধু হতবাকই হননি লজ্জিতও হয়েছেন।
মাহমুদুর রহমান নিজের মুল্যবান সময়ের প্রায় দশটি মাস জেলে বন্ধি থেকে জাতির তথা লেখক সাংবাদিকদের মর্যাদাকে সমুন্নত করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। তাঁকে পুলিশি হেফাজতে নজিরবিহীন নির্যাতনের মাধ্যমে সরকার তাদের ফ্যাসিবাদী মনোভাবই জাতির তথা বিশ্ববাসীর সামনে উন্মোচন করেছে। একজন সাংবাদিকের উপর প্রায় অর্ধশত মামলাই প্রমাণ করে সরকারের প্রধান প্রতিপ হিসেবে তারা মাহমুদুর রহমানকেই বেছে নিয়েছে। জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে মাহমুদুর রহমানের আজ বড়ই প্রয়োজন। তাঁর প্রতি যারা প্রতিহিংসার আগুন জ্বালিয়েছে তারাই সে প্রতিহিংসার আগুনে পুড়ে ছারখার হবার সময় বেশি দুরে নয়।
বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে মাহমুদুর রহমানের মতো প্রতিবাদী বজ্র কন্ঠের অধিকারী মানুষেরই প্রয়োজন। এধরনের নিঃস্বার্থ প্রতিবাদী কন্ঠের অধিকারী লৌহ মানব যেকোন দেশের, যেকোন জাতির, যে কোন পঙ্খিলময় সমাজের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। আবারও মাহমুদুর রহমানের মতো অসীম সাহসী ব্যক্তির আগুনঝরা লেখনির দরকার। তিনি আজ মুক্ত। বিশ্বের সকল সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যবাদীদের বিরুদ্ধে হিমালয়ের মতো হিম্মত নিয়ে শক্ত হাতে আবারও কলম চালিয়ে যাবেন বলে বিশ্বের শান্তিপ্রিয় জনগন উদগ্রিব হয়ে আছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।