ঊনত্রিশ হাজার পঁয়ত্রিশ ফুট সুউঁচ্চে
পায়ে হেঁটে পাহাড় চুড়া জয় করতে।
দেশ-বিদেশ হতে আগ্রহভরে ছুটে আসে
নানা বয়সী কত লক্ষ নির্ভীক লোকে।
জীবনের মায়া তাঁরা সম্পূর্ণ ভুলে গিয়ে
মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে জড়িয়ে ধরে।
যেভাবে ধরেছিলো মুক্তিসেনারা একাত্তরে
দেশ স্বাধীন করার তরে, যে স্মৃতিতে অশ্রূ ঝরে।
মুসার দুরুহ স্বপ্ন বিজয়-৭১’র মুক্তিযুদ্ধের বাসনা
সুনিশ্চিত বাঙ্গালি অনেকের হৃদয়ে দেয় নাড়া।
আট হাজার আটশ পন্চাশ মিটার উপরে উঠে
প্রেরণা দেয় সুখ স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে।
বিজয়ের গর্বে বাঙালির মন-প্রাণ ভরেছে
সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গে মুসা ইব্রাহীম উঠেছে।
এবং স্বদর্পে বাংলাদেশের পতাকা পুতেছে
মুসা ইব্রাহীম পতাকা উড়িয়েছে স্বাচ্ছন্দ্যে।
গর্বে বাঙালির বুকটা কত যে ফুলে উঠেছে
আনন্দ-খুশীতে জনতার মন-প্রাণ ভরেছে।
মুসা ইব্রাহীম দেশের জন্য সৌরভ ছড়িয়েছে
সকলের মন অপরিসীম খুশিতে ভরেছে।
ব্রজেন দাসকে আজ সকলের মনে পড়েছে
বাঙালি হয়ে ইংলিশ চ্যানেল সাঁতরে পাড়ি দিয়ে।
সেদিন ব্রজেন দাস জাতিকে অপার আনন্দ দিয়েছে
ব্রজেন দাসকে বাঙালি আজ স্মৃতিপটে আটকেছে।
একাত্তরের মু্ক্তিযুদ্ধে ডিসেম্বরে বিজয়ের মহানন্দে
মুক্তিসেনারা বিশ্বের মানচিত্রে পতাকা উড়িয়েছে।
প্রথিত যশা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস শান্তিতে
নোবেল পুরস্কার এনে জাতিকে সুউচ্চে তুলেছে।
পাকিস্তানী শাসকরা জনতার রোষে বাধ্য হয়ে
মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দিয়ে
বাঙালিকে মহাআনন্দ-পুলকে শিহরিত করছে
আজো জনতার মন গর্বে হিল্লোলিত হয়ে রয়েছে।
পাকিস্তানে ভয়াল মুত্যুর কবল থেকে মুক্তি পেয়ে
বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু তেজদ্বীপ্ত বেগে ।
ঢাকায় ফিরে আসার অপূর্ব আনন্দ-মহেন্দ্রক্ষণে
জাতির জনতার বুক ফুলে উঠেছিলো আনন্দে।
এত উজ্জ্বল স্মৃতি নিয়ে নিশ্চিত আশা করতেই
পারি, বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ-তরুণ-তরুণীরা।
বাংলাদেশ গড়ার মহৎ উদ্দেশ্যে, একযোগে
সম্প্রীতির মালা গেঁথে পতাকা হাতে নিয়ে
স্বগৌরবে এগিয়ে আসলে মহত্তোম হতে পারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।