এই হলাম আমারা, আর এই আমাদের দেশ। প্রাপ্য সম্মান না দিতে পারি, কিন্তু মম্মানিত দের আমরা কেন অসম্মান করব??
প্রবন্ধে প্রথম এভারেস্ট জয়ী বাংলাদেশি হিসেবে এম এ মুহিতের নাম থাকায় ওই সঙ্কলনের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে মামলা করেছেন আরেক এভারেস্ট জয়ী মুসা ইব্রাহীম।
সোমবার সকালে ঢাকার পঞ্চম যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক মো. সাইদুর রহমান গাজীর আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার আরজিতে বলা হয়, ‘সকাল বেলার পাখি’ নামে একটি প্রবন্ধ সঙ্কলন প্রকাশ করেছে চন্দ্রাবতী একাডেমী, যাতে ইনাম আল হকের লেখা ‘বাংলাদেশের মানুষ আজ হিমালয়ে উঠে দাঁড়িয়েছে’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে- বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করেন এম এ মুহিত। ”
বাজারে ওই সঙ্কলনের যতো কপি আছে তা বাজেয়াপ্ত করার আবেদন করেছেন মুসা ইব্রাহিম।
পাশাপাশি ‘প্রবন্ধটি’ সংশোধনের জন্য আগ পর্যন্ত সঙ্কলনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন জানিয়েছেন।
বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রাকিং ক্লাবের (বিএমটিএ) সভাপতি ইনাম আল হক, ‘সকাল বেলার পাখি’ সঙ্কলনের প্রধান সম্পাদক সুবল কুমার বণিক, উপদেষ্টা সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, সম্পাদক রহীম শাহ, অতিথি সম্পাদক শ্যামল কান্তি দাস, সম্পাদনা সহকারী আরিফ নজরুল ও প্রকাশক কামরুজ্জামান কাজলকে বিবাদী করা হয়েছে এ মামলায়।
মুসা ইব্রাহীম এ বিষয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাংলাদেশি হিসেবে প্রথম এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করি আমি। আর এম এ মুহিত হলেন দ্বিতীয়। ”
কেন তাকে প্রথম এভারেস্ট জয়ী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে- প্রশ্ন রেখে মুসা বলেন, “লেখক ইচ্ছাকৃতভাবে ইতিহাস বিকৃত করেছেন- যা অন্যায়।
তিনি তা কোনোভাবেই করতে পারেন না। ”
“ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে সঠিক ইতিহাস জানতে পারে সেই দায়বোধ থেকেই আমি মামলা করেছি। ”
মুসা বলেন, “সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে মাইনাস করে ভুল ইতিহাস লেখা হয়েছে। ওই বই বাজারে থাকলে অসংখ্য মানুষ ভুল ইতিহাস জানবে। যা ভয়াবহ অন্যায়।
”
মামলায় তার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লা হেল বাকি। আদালত পরে এ বিষয়ে আদেশ দেবে বলে জানান তিনি।
ইনাম আল হক রচিত ‘বাংলাদেশের মানুষ আজ হিমালয়ে উঠে দাঁড়িয়েছে’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে, “বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রাকিং ক্লাব (বিএমটিসি) গড়ে আমরা হিমালয়ে অভিযানের পরিকল্পনা করেছিলাম ২০০৩ সালে। সেখানে মুসা, মুহিত, মিলন, ইমরান, বাবু, এনাম, সাগর, সজল, সম্পা ও আরও অনেকে ছিলেন। ’
ওই প্রবন্ধের কোথাও মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট জয়ের কথা উল্লেখ নেই।
এম এ মুহিতের ছবিসহ ক্যাপশানে উল্লেখ করা হয়েছে, মুহিতই প্রথম এভারেস্ট বিজয়ী।
চন্দ্রাবতী প্রকাশনীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট দেবাশীষ দেব জানান তিনি এই মামলায় বিবাদীদের পক্ষে আইনি লড়াই চালাবেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ওই প্রবন্ধের লেখক বলেছেন, মুসা ইব্রাহিম প্রকৃতপক্ষে এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করতে পারেননি। তাই এভারেস্টজয়ী হিসেবে এমএ মুহিতের নাম লেখা হয়েছে। ”
২০১০ সালের ২৩ মে মুসা ইব্রাহিম এভারেস্ট চূড়ায় ওঠেন।
আর পরের বছর ২১ মে এমএ মুহিত এভারেস্ট জয় করেন।
এরপর চলতি বছর ১৯ মে প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন নিশাত মজুমদার। বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রাকিং ক্লাবের এই সদস্যের পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ জয়ের পরের মাসেই সে কৃতিত্ব অর্জন করেন আরেক বাংলাদেশি নারী ওয়াসফিয়া নাজরীন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।