!!!
বানিয়াচং। লোকসংখ্যা ও আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের বৃহত্তম গ্রাম। হবিগঞ্জের এই উপজেলায় যাওয়া হয়নি কোনদিন। তাই সুযোগ পেয়ে ছুটির দিন শেষ বিকালে রওয়ানা দিলাম বানিয়াচংয়ের দিকে। উদ্দেশ্য বানিয়াচংয়ের বিখ্যাত সাগর দিঘি ভ্রমণ।
হবিগঞ্জ শহর থেকে প্রায় ২২ কি.মি. দূরত্বে বানিয়াচং উপজেলা। সড়ক পুরোপুরি হাওরের মধ্যে দিয়ে তৈরি হয়েছে। গাড়ির চালক জানালেন বর্ষা আসলেই শুরু হবে শহরের সাথে বানিয়াচংয়ের নৌ চলাচল।
প্রায় ২ কি.মি দৈর্ঘ্য এবং প্রায় ১ কি.মি প্রস্হের এই দিঘি দেখেই মনে হলো দিঘির নামকরণ যথার্থ হয়েছে। তবে জনসংখ্যার চাপে সৌন্দর্য মলিন।
জানা গেল চমকপ্রদ তথ্য। এটি সরকারী জলমহাল হিসেবে নিয়মিত লিজ দেয়া হতো। দিঘির পাড়ের বাসিন্দারা নিম্ন আদালতে মামলা করলেন যাতে লিজ দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের প্রাধান্য দেয়া হয়। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত বাসিন্দাদের মালিকানা’ই দিয়ে দিলেন। সরকার পক্ষ উচ্চ আদালতে আপীল করে রায় তাদের পক্ষে নিয়ে আসলেন।
সংক্ষুব্ধ বাসিন্দার হাইকোর্টে রিট মামলা করে দিলেন। মামলা নিষ্পত্তি হয়নি। অর্থাৎ এটি এখন বার ভুতের লুটপাটের জায়গা।
এছাড়া জমিদার দিঘি খননের পর দিঘিতে পানি উঠেনা। ফলে রানি’কে বিসর্জন দিতে হয় ইত্যাদি ইত্যাদি যে কোন দিঘি নিয়ে এই ধরণের মিথ প্রচলিত আছে।
সাগর দিঘি নিয়েও প্রচলিত লোককাহিনী স্হানীয় অধিবাসীরা পুরোটাই বিশ্বাস করেন। দিঘির পাড়ে দাড়িয়ে প্রাণ জুড়ানো হাওয়ায় শীতল হওয়া দারুন উপভোগ্য।
এখানে রয়েছে আয়েশা- আবেদ ফাউন্ডেশন অর্থাৎ আড়ং’এর মূল প্রোডাকশন হাউজ। শো-রুম থেকে প্রায় ৪০ ভাগ কম মূল্যে জিনিস ক্রয় করা যাবে। কর্মীরা আন্তরিকতার সাথে তাদের কাজের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন।
স্বল্পকালীন এই ভ্রমণ নিঃসন্দেহে আমার অভিজ্ঞতার ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে।
যাত্রা পথের দৃশ্য:
সাগর দিঘি:
আয়েশা- আবেদ ফাউন্ডেশন:
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।