গ্রাম-প্রকৃতি-সবুজ-সারল্য যেখানে মিলেমিশে একাকার, সেখানে ফিরে যেতে মন চায় বার বার।
আমি এমন এক ব্যক্তি যে কিনা নানান ও বিভিন্নমুখী শক্তি দ্বারা প্রভাবিত ও উদ্বুদ্ধ। এক্ষেত্রে তাই প্রায়শই আমার মনে প্রশ্ন জাগে যে, এই অস্তিত্বের কোন প্রয়োজন আছে কি? আমি মানুষের দোদুল্যমান চিত্তের এক জীবন্ত প্রতিভু। ধর্মে আমার প্রগাঢ় বিশ্বাস অথচ ধর্ম বিষয়ে যা শুনে আসছি তাতে বিশ্বাস রাখা আমার পক্ষে কঠিন। অর্থাৎ ধর্মের কথা যা প্রচার করা হয় তা আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য ঠেকে না।
তাই ধর্ম বিষয়ে আমার ক্ষীণ বিশ্বাস লক্ষ্যণীয় হয়ে উঠে। অথচ তা তো হবার কথা ছিল না। আমি দায়িত্ব নিতে চাই। কিন্তু দায়িত্ব এড়িয়ে যাবার মানসিকতাও আমার মধ্যে প্রবল। সত্যকে খুব ভালবাসি।
অথচ বিভিন্ন সময় মিথ্যার জন্য নিজেই পথ করে দেই। স্বার্থপরতাকে আমি র্ৃণা করি। কিন্তু আমায় প্রতিনিয়তই দেখতে হয় সেই আত্মপরতার প্রতিচ্ছবি। জীবনে বাঁচার মতো বাঁচা বলতে যা বুঝায়, যা কোনদিনই জানেনা যারা, বৃহৎ জগত থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখা ঐ স্বার্থমগ্ন জনদের চেহারাগুলোই আমার আয়নায় ফুটে উঠতে দেখি প্রতিনিয়ত। এদের অনেকেই কিন্তু আবার আমার প্রিয়জনও বটে।
আমি নিজকে তাদের থেকে আলাদা ভাবতে ও আলাদা রাখতে সদা সচেষ্ট। কিন্তু অধিকাংশ সময় নিজকেও ঐ স্বার্থপরমানুষদের একজনরূপে আবিস্কার করি। আমি, আমার, আমাকে ইত্যাদি শব্দগুলো স্বার্থপরতার মূর্ত প্রতীক যেন। কি বিরক্তিকর শব্দ সম্ভার এগুলো! এসব শব্দকে যদি সার্বজনীনভাবে ভাল গুণের সাথে সম্পর্কিত করে তোলা যায় তবেই তা অর্থবহ হয়ে উঠতে পারে। সার্বজনীন গুণ যেমন বিশ্বাস, আস্থা, প্রেম, দায়িত্ববোধ, লাজ-অনুশোচনা, জ্ঞান ইত্যাদি অর্জন করাটা চাট্রিখানি কথা নয়।
আমি ভন্ডামিকে ঘৃণা করি। আজকের আমার এই বালক সত্তার যা কিছু খারাপ থাকুক না কেন সেসব কিছুকে ছাপিয়ে একদিন সত্যিকার মানুষ হয় উঠার জন্য সমস্ত প্রয়াস-প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।