জার্মানির নাৎসি নেতা এডলফ হিটলার ১৯৪৫ সালে আত্মহত্যা করেননি। বরং পরিণত বয়সে ১৯৬২ সালে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনায় মারা যান। ব্রিটিশ সাংবাদিক জেরার্ড উইলিয়ামস এবং লেখক সাইমন ডানস্টান নতুন এক বইতে এ দাবি করেছেন। 'গ্রে উলফ : দ্য এসকেইপ অব এডলফ হিটলার' নামের বইটি গত ৭ অক্টোবর প্রকাশিত হয়েছে।
এই দুই ব্রিটিশ লেখক দাবি করেন, আর্জেন্টিনায় হিটলারের অবস্থানের ব্যাপারে 'প্রচুর তথ্য পেয়েছেন' তাঁরা।
যদিও বেশির ভাগ ইতিহাসবিদেরই ধারণা, ইউরোপে ফ্যাসিবাদের (উগ্র ডানপন্থা) প্রবর্তক হিটলার ১৯৪৫ সালে বার্লিনের একটি বাংকারে আত্মহত্যা করেন। কিন্তু উইলিয়ামস ও ডানস্টান এ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। তাঁরা জানান, সম্প্রতি উন্মুক্ত হওয়া বিভিন্ন দলিলপত্র এবং ফরেনসিক পরীক্ষার ফল থেকে অন্য রকম তথ্য পেয়েছেন তাঁরা। আর্জেন্টিনায় হিটলারের অবস্থানের প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া ছাড়াও সেখানে গভীর তদন্ত চালিয়েছেন বলেও জানান লেখকরা।
বইটিতে জানানো হয়, রাশিয়ার রেড আর্মির হাত থেকে বাঁচতে হিটলার ও তাঁর রক্ষিতা ইভা ব্রাউন ১৯৪৫ সালের এপ্রিলে আর্জেন্টিনা পালিয়ে যান।
আর্জেন্টিনায় তখন ফ্যাসিবাদী শাসকরা ক্ষমতায় ছিল। ১৯৬২ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রায় ১৭ বছর দেশটিতে অবস্থান করেন তিনি। সেখানে নিজের দুটি কন্যাসন্তানকেও বড় করে তোলেন হিটলার। ব্রিটেনের টেলিভিশন চ্যানেল স্কাই নিউজকে এক সাক্ষাৎকারে উইলিয়ামস বলেন, 'আমরা নতুন করে ইতিহাস লিখতে চাই না। তবে এডলফ হিটলারের পলায়ন সম্পর্কে আমরা এত বেশি তথ্য পেয়েছি যে সেসব উপেক্ষা করা যায় না।
' তিনি আরো বলেন, 'হিটলার বা ইভা ব্রাউনের মৃত্যু ফরেনসিক রিপোর্টে প্রমাণিত হয়নি। তার চেয়ে বরং আর্জেন্টিনার প্রত্যক্ষদর্শীদের গল্পগুলো বেশি বিশ্বাসযোগ্য। '
ব্রিটিশ লেখকদের দাবি_সোভিয়েত প্রধানমন্ত্রী জোসেফ স্ট্যালিন, যুক্তরাষ্ট্রের ৩৪তম প্রেসিডেন্ট আইজেনহাওয়ার এবং যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের সাবেক প্রধান জন এডগার হুভার জানতেন, বাংকারে হিটলারের মৃত্যুর কোনো প্রমাণ নেই। কিন্তু নাৎসি যুদ্ধ প্রযুক্তি হাতে পাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা বিষয়টি গোপন রাখার ব্যাপারে সহযোগিতা করে। উইলিয়ামস জানান, 'আমাদের সঙ্গে কথা বলা দুই প্রত্যক্ষদর্শীকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা হত্যার হুমকি দিয়েছে।
' হিটলারের মাথার খুলি পরিচয়ে রাশিয়ায় বর্তমানে যে কঙ্কালটি সংরক্ষণ করা আছে, তা আসলে এক তরুণীর বলেও দাবি করেছেন লেখকরা। সূত্র : স্কাই নিউজ।
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।