ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও দিনাজপুরের রেলযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণের কাজ তিন বছরেও শেষ হয়নি। এজন্য নির্মাণ কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই প্রতিষ্ঠানের গাফিলতিকেই দায়ী করেছে রেল বিভাগ।
সংশ্লিষ্টদের মতে, নির্মাণ কাজে এ ধীরগতির কারণে একদিকে যাত্রীরা কাঙ্ক্ষিত সেবা থকে বঞ্চিত হচ্ছেন, অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের মালপত্র পরিবহনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। জানা যায়, রেল মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০১০ সালের অক্টোবরে ঠাকুরগাঁওয়ের মিটারগেজ রেলপথকে আধুনিকায়ন ও ডুয়েলগেজে রূপান্তরিত করতে তমা কনস্ট্রাকশন ও ম্যাঙ্ কনস্ট্রাকশন নামে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে। দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থেকে ঠাকুরগাঁও হয়ে পঞ্চগড় পর্যন্ত ১৫০ কিলোমিটারের এ রেললাইনের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৯৮২ কোটি টাকা।
এ পর্যন্ত দুবার নির্মাণ কাজের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
এদিকে ডুয়েলগেজের নির্মাণ কাজে ধীরগতির কারণে রেলপথে মালপত্র পরিবহনসহ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের পাশাপাশি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আর এজন্য নির্মাতা দুই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
ঠাকুরগাঁও রোডস্টেশন অফিসার মজনুর রহমান জানান, কাজের শুরুটা ভালো ছিল। ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে বর্তমানে নির্মাণ কাজ ধীরগতিতে চলছে।
স্থানীয়রা জানান, 'ডুয়েলগেজের কাজ ধীরগতি আর বিচ্ছিন্নভাবে হওয়ায় বর্তমানে ট্রেন চলাচলে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এ কাজ সম্পূর্ণ হলে আমরা সরাসরি ঢাকা-খুলনা যেতে পারব। এতে ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়বাসী চলাচলে সুবিধা ভোগ করতে পারব। ' রেলচালক মনসুর আলম জানান, বিভিন্ন স্থানে খোঁড়াখুঁড়ির কারণে রেল চালাতে বাধাগস্ত হতে হচ্ছে। এতে করে যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা সঠিক সময়ে নিজ নিজ স্থানে পেঁৗছতে পারছে না।
তমা কনস্ট্রাকশনের ফিল্ড সুপারভাইজার তরিকুল ইসলাম বেলাল জানান, আমরা আমাদের সুবিধা মতো কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি, সঠিক সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।