আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি খুব ধার্মিক:- (সিরিজ ১) আমার জন্ম।

জীবনটা আসলেই কতটা জটিল জানি না তবে আমি খুব সহজ জীবন আশা করি। কিন্তু আমার পরিস্থিতি আমাকে জীবন কে কঠিন করে ভাবতে বাধ্য করে।

নুরুন্নাহার বেগম। আজ সকাল থেকেই মৃদু মৃদু পেট ব্যথা করছিল। এখনও থালা বাটি ধোয়া, ৩ মেয়ে কে গোছল করানো, যৌথ পরিবারের সবাই কে খাবার দিতে বাকি।

শশুর সারাদিন বই লিখেন, তিনি ১জন বর্তমানের বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ এবং লেখক। নুরুন্নাহার বেগম তার শশুর কে খুব ভালবাসেন কারন তিনি খুবই আল্লাহ ভীরু কোন দিন রাগ বা জোড়ে কথা বলেন নি। আর সর্বপরী শশুর আর সবার মত উঠতে বসতে নুরুন্নাহার বেগম কে বালিশ ভেবে পিটিয়ে যেত না। তিনিই নুরুন্নাহার বেগমকে মানুষের মর্যাদা দিতেন। ছেলে অর্থাৎ নুরুন্নাহার বেগমের স্বামী মাসুদকে ডেকে বোঝাতেন এই মেয়ের আর কোন দিন ছেলে হবে না, একে রাখ আর আমার বন্ধুর মেয়ে পাপিয়া ডাক্তার ২-৪ দিন হল জামাই মারা গেছে, দেখ ঘরে ১টা ডাক্তার মেয়ে আসা ভালো।

মাসুদ আপত্তি জানায় এ সমাজে ২ বিয়ে ঘেন্নার কাজ। তাছাড়া আমার আয়ও কম। বাবা রেগে গিয়ে ছেলেকে আল্লাহর বিধানকে সমাজের চেয়ে ছোট ভাবায় সতর্ক করে দেন। ২ বিয়ে জায়েজ এবং রিজিক আল্লাহই দেন। মাসুদের ছোট চাকরি, ঐ সময় কখনও আল্লাহ হাতে টাকা দিয়ে যায় নায় তাই বিয়ে করতে সাহস করেনি।

কিন্তু বউ পেটানো জায়েজ আছে এবং এতে তেমন ঝামেলা নেয় তাই আজ সকালে গর্ভবতী নুরুন্নাহার বেগমকে লাথি মেরে গিয়েছিল। বাথরুম ধুতে গিয়ে পা পিছলে নুরুন্নাহার বেগম পড়ে গেল। ওহ কি প্রচন্ড ব্যথা। আমি জন্ম নিলাম। হ্যা নুরুন্নাহার বেগম আমার মা।

আবারও মেয়ে। আমার হবার খবরে আব্বু আসেনি। আমার ১টা ওষুধ লাগতো পাশের বাড়ির আন্টি কিনে এনেছিলো। আসলেই আল্লাহ একটু বেশীই দয়ালু, বিপদে কাউকে না কাউকে পাঠান। আমার বাবার ছেলে নাই তাই আমার ফুপু ১টা পালক ছেলে এনে দেয় ১৭ দিনের মাথায়।

আম্মুকে বাবা ছেলে দিয়ে বলে আমি আর এই ছেলে আজ থেকে জমজ। কোন মা ১৭ দিনের বাচ্চার দুধের অন্য ভাগীদার সহ্য করতে পারে না তাই মা আপত্তি জানায়। আবারও মার, গালাগালি। অবশেষে আমরা জমজ ভাই বোন জন্মালাম। ছোটবেলায় উদার ছিলাম না তাই কিছুটা অসুস্হ আমরা ২জনই হলাম।

আস্তে আস্তে আল্লাহ সাহায্য করলো। তিনি তো সব ভালোই করেন। (বিঃদ্রঃ আমার ভাই যে পালক জানতাম না এই ২১ বছর পর্যন্ত। গত বছর জানি। এতে ভাইয়ের থেকে আমিই বেশি কেদেছিলাম কারন ওকে খুব ভালোবাসি।

এবং আমি কোন লেখক না তাই নিজের জীবন টায় লিখছি)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।