বাংলায় কথা বলি,বাংলায় লিখন লিখি, বাংলায় চিন্তা করি, বাংলায় স্বপ্ন দেখি। আমার অস্তিত্ব জুড়ে বাংলা ভাষা, বাংলাদেশ।
২৩ মে ২০১০ বাংলাদেশের তরুণ মুসা ইব্রাহীম এভারেস্ট চুড়ায় বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। ভাবতে ভালই লাগছে। অন্য সবার মতো আমিও অনেক খুশী।
আগামী বিসিএস পরীক্ষার প্রিলিমিনারির একটি প্রশ্ন আমি এখনই আউট করে দিতে পারি।
প্রশ্নটি হবে: কোন বাংলাদেশী প্রথম এভারেস্ট জয় করেন?
উত্তরটি সবার জানা। আশা করি কেউ ভুল করবেন না।
আমি তার এই পর্বত বিজয়ের পর কয়েক জন ব্যক্তির প্রতিক্রিয়া আপনাদেরকে শেয়ার করতে চাই।
১।
‘শুনেছু, হামার ছুয়া মুসা এভারেস্ট জয় করিছে, এইখান কম গর্বের কথা! আল্লাহ ওক বাঁচায় রাখুক। ’
- ঠাকুরগাঁওয়ের রিকশাচালক আলিমুদ্দিন।
২। যেসব তরুণ সারাক্ষণ টিভি বা কম্পিউটারের সামনে বসে থাকে, তারা এই বিজয় থেকে শিক্ষা নিক যে, ঘরের বাইরেও একটা জগৎ রয়েছে।
- কথাসাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবাল
৩।
‘পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়ে গোটা বিশ্বে মুসা ইব্রাহীম বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন।
‘প্রতিকূল পরিবেশ অতিক্রম করে সমতলের সন্তান মুসা এভারেস্ট জয় করে প্রমাণ করেছেন, বাঙালি বীরের জাতি, কোনো বাধাই আমাদের কাছে অজেয় নয়। ’
-শেখ হাসিনা , প্রধানমন্ত্রী।
৪। , ‘মুসা ইব্রাহীমের সাফল্যে সমগ্র জাতির সঙ্গে আমিও গর্বিত ও আনন্দিত।
’
- খালেদা জিয়া , বিরোধী দলীয় নেতা।
৫। সব কিছু করার ক্ষমতা বাংলাদেশের তরুণদের আছে।
মুসা ইব্রাহীম।
৬।
এভারেস্ট জয়ের চেয়ে বাংলাদেশে কিছু করা অনেক বেশি কঠিন। কিন্তু আই এম এ বর্ন ফাইটার। শিক্ষা নিয়ে, তরুণদের নিয়ে আমি কিছু করতে চাই। এ ব্যাপারে আমার পরিকল্পনা করা আছে। ’
-মুসা ইব্রাহীম।
৫। ‘বিরাট কষ্ট দাদা! কাজ কাম নি। তিন-চার দিন খাইনি। আমাগো কোনো সাহায্য লাগবে না। নামটা নেখেন।
কাজ দেন। ’
- সীতা রানী (৩৯), আইলায় বিধ্বস্ত সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার সিংহড়তলী গ্রামের বাসিন্দা।
আমরা অনেক খুশী। অনেক মাতামাতি করছি। হয়তো আরো করব।
কিন্তু এই সব মানুষ যাদের পেটে ভাত নেই, মাথা গোজার মতো ঠাই নেই তাদের কথা কেউ ভাবে না। আসুন, আমরা ওদেরকে নিয়েও ভাবি। মানুষ কেন এতো কষ্ট করবে একটু ভাতের জন্য! বেঁচে থাকার জন্য এতো কষ্ট কেন???
আমার পোস্ট পড়ে কেউ যেন আবার রাগ করবেন না। জনাব মুসার বিজয়ে আমিও সবার মতো অনেক খুশী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।