হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালামের ইন্তেকালের পরে তাঁর পুত্র রহুব'আম এর অযোগ্যতার ফলে বনী ইসরাঈল রাজ্যে দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়৷ একভাগে ছিল বাইতুল মাকদিস ও দক্ষিণ ফিলিস্তীন৷ এটি ছিল দাউদের পরিবারের অধিকারভুক্ত ৷ আর উত্তরে ফিলিস্তীন সমন্বয়ে গঠিত দ্বিতীয় ভাগটিতে ইসরাঈল নামে একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়৷ পরে সামেরীয়া তার কেন্দ্রীয় স্থান হিসেবে গণ্য হয়৷ যদিও উভয় রাষ্ট্রের অবস্থাই ছিল দোদুল্যমান কিন্তু ইসরাঈল রাষ্ট্র প্রথম থেকেই এমন মারাত্মক বিকৃতির পথে এগিয়ে চলছিল যার ফলে তার মধ্যে শিরক, মূর্তিপূজা , জুলুম , নিপীড়ন , ফাসেকী ও চরিত্রহীনতা বেড়ে চলছিল৷ এমনকি শেষ পর্যন্ত যখন ইসরাঈলের বাদশাহ আখিয়াব সাইদা/ সিদোনিয় (বর্তমান লেবানন ) এর রাজকন্যা ইজবেলকে বিয়ে করে তখন এ বিকৃতি ও বিপর্যয় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায়৷ এ রাজকন্যার সংম্পর্শে এসে আখিয়াব নিজেও তার মতানুসারী হয়ে যায়৷ সে সামেরীয়ায় বা'আল এর মন্দির ও যজ্ঞবেদী নির্মাণ চালায় এবং ইসরাঈলের শহরগুলোতে প্রকাশ্যে বা'আলের নামে বলিদানের প্রচলন করে৷
বা'আল - এর শাব্দিক অর্থ হচ্ছ প্রভু , সরদার ও মালিক ৷ স্বামীর প্রতিশব্দ হিসেবেও এ শব্দটি বলা হতো এবং কুরআন মজীদের বিভিন্ন স্থানে এ শব্দটি এ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে৷ কিন্তু প্রাচীন যুগে সিরিয়ার বিভিন্ন 'জাতি - গোষ্ঠী' এ শব্দটিকে উপাস্য ও প্রভু অর্থে ব্যবহার করতো এবং তারা একটি বিশেষ দেবতাকে বা'আল নামে চিহ্নিত করে রেখেছিল৷ বিশেষ করে লেবাননের ফনিকি সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় পুরুষ দেবতা ছিল বা'আল এবং তার স্ত্রী আশারাত ছিল তাদের সবচেয়ে বড় দেবী৷ বা'আল বলতে সূর্য বা বৃহস্পতি গ্রহ বুঝায় এবং আশারাত বলতে চাঁদ বা শুক্রগ্রহ বুঝায় এ ব্যাপারে গবেষক ও বিশষজ্ঞদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে৷ যাই হোক না কেন একথা ঐতিহাসিক দিক দিয়ে প্রমাণিত যে ব্যবিলন থেকে নিয়ে মিসর পর্যন্ত সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য এলাকায় বা'আল পূজা বিস্তার লাভ করেছিল৷ বিশেষ করে লেবানন, সিরিয়া ও ফিলিস্তীনের মুশরিক জাতিগুলো আপাদমস্তক এর মধ্যে ডুবে ছিল৷ বনী ইসরাঈল যখন মিসর থেকে বের হবার পর ফিলিস্তীন ও পূর্ব জর্দানে এসে বসবাস শুরু করলো এবং তাওরাতের কঠোর নিষেধাজ্ঞাগুলোর বিরুদ্ধাচরণ করে তারা ঐ মুশরিক জাতিগুলোর সাথে বিয়ে শাদী ও সামাজিক সম্পর্ক কয়েম করতে শুরু করলো তখন তাদের মধ্যেও এ রোগ বিস্তার লাভ করতে লাগলো৷ বাইবেলের বর্ণনা মতে হযতর মূসা আলাইহিস সালামের প্রথম খলিফা হযরত ইউশা ' বিন নূনের ইন্তেকালের পরপরই বনী ইসরাঈলের মধ্যে এ নৈতিক ও ধর্মীয় অবক্ষয়ের সূচনা হয়ে গিয়েছিল৷
“ইস্রায়েল - সন্তানগণ সদাপ্রভূন দৃষ্টিতে যাহা মন্দ, তাহাই করিতে লাগিল; এবং বাল দেবগনের সেবা করিতে লাগিল ৷ -------তাহারা সদাপ্রভূকে ত্যাগ করিয়া বাল দেবের ও অষ্টারেৎ দেবীদের সেবা করিত"৷ [বিচার কর্তৃগণ ২: ১১-১৩]
“ইস্রায়েল - সন্তানগণ কানানীয়, হিত্তীয়, ইমোরীয়, পরিযীয়, হিব্বীয় ও যিবূযীয়গণের মধ্যে বসতি করিল৷ আর তাহারা তাদের কন্যগণকে বিবাহ করিত, তাহাদের পুত্রগণের সহিত আপন আপন কন্যাদের বিবাহ দিত ও তাহাদের দেবগণের সেবা করিত ৷ " [বিচার কর্তৃগণ ৩: ৫-৬]
সে সময় ইসরাঈলীদের মধ্যে বা'আল পূজার এত বেশী প্রচলন হয়ে পড়েছিল যে , বাইবেলের বর্ণনা মতে তাদের একটি জনপদে প্রকাশ্যে বা'আলের যজ্ঞবেদী নির্মিত হয়েছিল এবং সেখানে বলিদান করা হতো৷ একেশ্বরবাদী জনৈক ইসরাঈলী এটা বরদাশত করতে পারলো না৷ সে রাতের বেলা চুপিচুপি যজ্ঞবেদীটি ভেঙে ফেললো৷ পরদিন জনতার একটি বিরাট সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলো৷ তারা শিরকের এ আড্ডাখানা উচ্ছেদকারী ব্যক্তির হত্যার দাবী করতে লাগলো ৷ (বিচারকর্তৃগণ ৬: ২৫-৩২ ) শেষ পর্যন্ত এ অবস্থার পরিসমাপ্তি ঘটালেন হযরত সামুয়েল , তালূত এবং হযরত দাউদ ও সুলাইমান আলাইহিমুস সালাম ৷ তাঁরা কেবল বনী ইসরাঈলেরই সংস্কার করলেন না , নিজেদের রাজ্যেও শিরক ও মূর্তিপূজা নির্মূল করলেন৷ কিন্তু হযরত সুলাইমানের মৃত্যুর পর এ ফিতনাটি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো এবং বিশেষ করে উত্তর ফিলিস্তীনের ইসরাঈল রাষ্ট্রটি বা'আল পূজার বন্যায় বিপুল স্রোতে ভেসে গেলো৷
তো এরকম সময় হযরত ইলিয়াস আলাইহিস সালাম অকস্মাত জনসমক্ষে হাজির হন৷ বাইবেলে তাঁকে এলিজা নামে উল্লেখ করা হয়েছে৷ আধুনিক গবেষকগণ খৃষ্টপূর্ব ৮৭৫ থেকে ৮৫০ এর মধ্যবর্তী সময়টাকে তাঁর সময় হিসেবে চিহ্নিত করেন৷ তিনি ছিলেন জিল'আদ - এর অধিবাসী । প্রাচীন যুগে জিল 'আদ বলা হতো বর্তমান জর্দান রাষ্ট্রের উত্তরাঞ্চলীয় জিলাগুলোর সমন্বয়ে গঠিত ইয়ারমুক নদীর দক্ষিণে অবস্থিত এলাকাকে ৷ তিনি জালআদ থেকে এসে আখিয়ারকে এ মর্মে নোটিস দেন যে, তোমার পাপের কারণে এখন ইসরাঈল রাজ্যে এক বিন্দুও বৃষ্টি হবে না , এমনকি কুয়াসা ও শিশিরও পড়বে না৷ নবীর এ উক্তি অক্ষরে অক্ষরে সত্য প্রমাণিত হলো এবং সাড়ে তিন বছর পর্যন্ত বৃষ্টি একদম বন্ধ থাকলো৷ শেষ পর্যন্ত আখিয়াবের হুঁশ হলো৷ সে হযরত ইলিয়াসের সন্ধানে করে তাঁকে ডেকে পাঠালো৷ তিনি বৃষ্টির জন্য দোয়া করার আগে ইসরাঈলের অধিবাসীদেরকে আল্লাহ ও বা'আলের মধ্যকার পার্থক্য সম্পর্কে ভালোভাবে জানিয়ে দেয়া প্রয়োজন মনে করলেন৷ এ উদ্দেশ্য তিনি হুকুম দিলেন , একটি সাধারণ সমাবেশে বা'আলের পূজারী এসে তার উপাস্য দেবতার নামে বলিদান করবে এবং আমিও আল্লাহর নামে কুরবানী করবো৷ দু'টি কুরবানীর মধ্য থেকে মানুষের হাতে লাগানো আগুন ছাড়াই অদৃশ্য আগুন দ্বারা যেটিই ভষ্মীভূত হবে তার উপাস্যের সত্যতা প্রমাণিত হয়ে যাবে৷ আখিয়াব একথা মেনে নিল৷ ফলে কারমাল পর্বতে বা'আলের সাড়ে আটশো পূজারী একত্র হলো৷ ইসরাঈলীদের সাধারণ সমাবেশে তাদের সাথে হযরত ইলিয়াস আলাইহিস সালামের মোকাবিলা হলো৷ এ মোকাবিলায় বা'আল পূজকরা পরাজিত হলো৷ হযরত ইলিয়াস সবার সামনে একথা প্রমাণ করে দিলেন যে , বা'আল একটি মিথ্যা খোদা এবং আসল খোদা হচ্ছে সেই এক ও একক খোদা যাঁর পক্ষ থেকে তিনি নবী নিযুক্ত হয়ে এসেছেন ৷ এরপর হযরত ইলিয়াস সেই জনসমাবেশে বা'আলের পূজারীদের হত্যা করান এবং তারপর বৃষ্টির জন্য দোয়া করেন৷ তাঁর দোয়া সংগে সংগেই কবুল হয়ে যায় এবং সমগ্র ইসরাঈল রাজ্যে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়৷
কিন্তু এসব দেখেও স্ত্রৈণ আখিয়াব তার মূর্তিপূজক স্ত্রীর মত থেকে বের হয়ে আসেনি৷ তার স্ত্রী ইজবেল ইলিয়াসের দুশমন হয়ে গেলো এবং সে কসম খেয়ে বসলো , যেভাবে বা'আলের পূজারীদের হত্যা করা হয়েছে ঠিক অনুরূপভাবেই ইলিয়াস আলাইহিস সালামকেও হত্যা করা হবে৷ এ অবস্থায় ইলিয়াসকে দেশত্যাগ করতে হলো৷ কয়েক বছর তিনি সিনাই পাহাড়ের পাদদেশে আশ্রয় নিলেন৷ এ সবময় তিনি আল্লাহর কাছে যে ফরিয়াদ করেছিলেন বাইবেল তাকে এভাবে উদ্ধৃত করছেঃ
“আমি বাহিনীগণের ঈশ্বর সদাপ্রভূর পক্ষে অতিশয় উদ্যোগী হইয়াছি; কেননা, ইস্রায়েল সন্তানগণ তোমার নিয়ম ত্যাগ করিয়াছে, তোমার যজ্ঞবেদি সকল উৎপটিন করিয়াছে ও তোমার ভাববাদিগণকে খড়গ দ্বারা বধ করিয়াছে; আর আমি কেবল একা আমিই অবশিষ্ট রহিলাম, আর তাহারা আমার প্রাণ লইতে চেষ্টা করিতেছে৷ " [১ --- রাজাবলি ১৯: ১০]
এ সময় বায়তুল মাকদিসের ইহুদী শাসক ইয়াহুরাম ইসরাঈলের বাদশাহ আখিয়াবের মেয়েকে বিয়ে করলো এবং ইতিপূর্বে ইসরাঈলে যেসব বিকৃতি বিস্তার লাভ করেছিল এ মুশরিক শাহজাদীর প্রভাবে ইয়াহুদীয়া রাষ্ট্রেও তা ছড়িয়ে পড়তে লাগলো৷ হযরত ইলিয়াস এখানেও নবুওয়াতের দায়িত্ব পালন করলেন এবং ইয়াহুরামকে একটি পত্র লিখলেন৷ বাইবেল এ পত্র এভাবে উদ্ধৃত হয়েছে৷
" তোমার পিতা দাউদের ঈশ্বর সদাপ্রভূ এইভাবে এই কথা কহেন , তুমি আপন পিতা যিহোশাফটের পথে ও যিহূদা রাজ আসার পথে গমন কর নাই ; কিন্তু ইস্রায়েলের রাজাদের পথে গমন করিয়াছ এবং আহাব - কুলের ক্রিয়ানুসারে যিহূদাকে ও যিরূশালেম নিবাসীদিগকে ব্যভিচপার করাইয়াছ ; আর তোমা হইতে উত্তম যে তোমার পিতৃকুলজাত ভ্রাতৃগণ , তাহাদিগকে বধ করিয়াছ ; এই কারণ দেখ , সদাপ্রভূ তোমার প্রজাদিগকে , তোমার সন্তানদিগকে , তোমার ভার্য্যাদিগকে ও তোমার সমস্ত সম্পত্তি মহা আঘাতে আহত করিবেন৷ আর তুমি অন্ত্রের পীড়ায় অতিশয় পীড়িত হইবে , শেষে সেই পীড়ায় তোমার অন্ত্র দিন দিন বাহির হইয়া পড়িবে৷ " [ ২ --- রাজাবলি ২১: ১২ -১৫ ]
এ পত্রে হযরত ইলিয়াস যা কিছু বলেছিলেন তা পূর্ণ হলো৷ প্রথমে ইয়াহুরামের রাজ্য বহিরাগত আক্রমণকারীদের দ্বারা বিধ্বস্ত হলো এবং তার স্ত্রীদেরকে পর্যন্ত শত্রুরা পাকড়াও করে নিয়ে গেলো৷ তারপর সে নিজে অন্ত্ররোগে মারা গেলো৷ কয়েক বছর পর হযরত ইলিয়াস আবার ইসরাঈলে পৌঁছে গেলেন৷ তিনি আখিয়াব ও তার পুত্র আখযিয়াহকে সত্য সঠিক পথে আনার জন্য লাগাতার প্রচেষ্টা চালালেন৷ কিন্তু সামেরীয়ার রাজ পরিবারে যা একবার জেঁকে বসেছিল তা আর কোনভাবেই বের হলো না৷ এ ঘটনাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য বাইবেলের নিম্নোক্ত অধ্যায়গুলো দেখুনঃ [ ১ -- রাজাবলি , অধ্যায় ১৭ , ১৮ , ১৯, ২১ ; ২ -- রাজাবলি অধ্যায় ১ ও ২ এবং ২ -- বংশাবলি , অধ্যায় ২১ ]
বনী ইসরাঈল হযরত ইলিয়াসকে তাঁর জীবদ্দশায় যেভাবে নির্যাতিত করেছিল তার কাহিনী ওপরে আলোচিত হয়েছে৷ কিন্তু পরে তারা তাঁর এমনই ভক্তে - অনুরক্তে পরিণত হয় যে , হযরত মূসার (আ) পরে অতি অল্প লোককেই তারা তাঁর চেয়ে মহিমান্বিত বলে মেনে নিয়ে থাকবে৷ তাদের সেখানে একথা ছড়িয়ে পড়ে যে , হযরত ইলিয়াস আলাইহিস সালামকে একটি ঘূর্ণিঝড়ের মাধ্যমে জীবিত অবস্থায় আকাশে উঠিয়ে নেয়া হয় (২ -- রাজাবলি , ২ অধ্যায় ) এবং তিনি আবার দুনিয়ায় আসবেন৷ বাইবেলের মালাথি পুস্তকে বলা হয়েছেঃ
“দেখ সদাপ্রভূর সেই মহৎ ও ভয়ঙ্কর দিন আসিবার পূর্বে আমি তোমাদের নিকট এলিয় ভাবাদীকে প্রেরণ করিব৷ "(৪: ৫)
হযরত ইয়াহইয়া ও ঈসা আলাইহিমাস সালামের আগমনকালে ইহুদিরা সাধারণত তিনজন আগমণকারীর প্রতীক্ষারত ছিল৷ তাদের একজন হচ্ছেন হযরত ইলিয়াস (আ) ও দ্বিতীয়জন হযরত ঈসা মসীহ (আ) এবং তৃতীয়জন হচ্ছেন ' এ নবী " (অর্থাৎ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) ৷ যখন হযরত ইয়াহইয়ার (আ) নবুওয়াত শুরু হয় এবং তিনি লোকদেরকে সত্য ধর্মে দীক্ষিত করতে থাকেন তখন ইহুদীদের ধর্মীয় নেতারা তাঁর কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস কর , আপনি কি মসীহ ? তিনি জবাব দেন, না৷ আবার জিজ্ঞেস করে , আপনি কি ইলিয়াহ ? তিনি জবাব দেন না৷ তারপর জিজ্ঞেস করে , আপনি কি " সেই নবী " ? তিনি জবাব দেন আমি সেই নবীও নই৷ তখন তারা বলে , আপনি যদি মসীহ না হন ; ইলিয়াহ না হন এবং সেই নবী না হন , তাহলে আপনি সত্যধর্মে দীক্ষা দিচ্ছেন কেন ? (যোহন ১: ১৯-২৬ ) তারপর কিছুকাল পরে যখন হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের তৎপরতা ব্যাপকতা লাভ করলো তখন ইহুদীরা মনে করলো , সম্ভবত ইলিয়াহ নবী এসে গেছেন৷ (মার্ক ৬: ১৪- ১৫ - হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের সাহাবীদের মধ্যে এ ধারণা বিস্তার লাভ করেছিল যে , ইলিয়াহ নবীর আগমন ঘটবে ৷ কিন্তু হযরত ঈসা (আ) একথা বলে তাদের ভুল ধারণা দূর করে দেন যে , ইলিয়াহ তো এসে গেছেন , লোকেরা তাঁকে চিনেনি এবং তাঁর সাথে যা ইচ্ছা ব্যবহার করেছে৷ " এর ফলে হযরত ঈসার (আ) সাহাবীগণ জানতে পারেন , আগমনকারী ছিলেন হযরত ইয়াহইয়া , আটশো বছর পূর্বে অতিক্রান্ত হযরত ইলিয়াস নন৷ " (মথি ১১: ১৪ এবং ১৭: ১০ - ১৩ )
(সংগৃহীত)
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।