অস্ত্র মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বলিউডের অভিনেতা সঞ্জয় দত্তকে মুম্বাইয়ের আর্থার রোডের কারাগারে ১০ নম্বর ব্যারাকের একটি আণ্ডা সেলে রাখা হয়েছিল। ছোট্ট এ কুঠরিতেই থাকতেন পাকিস্তানি জঙ্গি আজমল কাসাব। বিষয়টি জানার পর অস্বস্তিতে ভুগতে থাকেন সঞ্জয়। আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি সেল পরিবর্তনের আবেদন জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে নতুন সেলে স্থানান্তর করা হয়েছে তাঁকে।
সাধারণত দাগি ও ভয়ংকর অপরাধী কিংবা সন্ত্রাসবাদীদের রাখা হয় ডিমের মতো দেখতে আট ফুট বাই ১০ ফুট আয়তনের এ আণ্ডা সেলে। ছোট্ট এই কুঠরির অর্ধেকটা মাটির নিচে। তাই সেখানে ভালো করে আলো ঢোকে না। এখন এই সেলের পাশেই আছেন কুখ্যাত লস্কর জঙ্গি আবু জান্দাল।
১৯৯৩ সালের মুম্বাই বিস্ফোরণ মামলায় অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে সাড়ে তিন বছর সাজা খাটতে হবে সঞ্জয়কে।
আদালতের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী ১৬ মে বৃহস্পতিবার তিনি আত্মসমর্পণ করেন। সঞ্জয়কে আণ্ডা সেলে রাখার পর থেকেই তাঁর মধ্যে অস্থিরতা দেখা দেয়। প্রথম দুই রাত তিনি একদমই ঘুমাতে পারেননি। সারা রাত জেগে ধর্মীয় বই পড়েছেন। আজমল কাসাবের ফাঁসি কার্যকর হলেও একটা সময় আর্থার রোডের এ আণ্ডা সেলেই তাঁর সময় কেটেছে।
বিষয়টি জানার পর সেখানে কোনোভাবেই থাকতে পারছিলেন না সঞ্জয়। জানিয়েছে জিনিউজ।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বাইয়ের তাজ হোটেল ও ছত্রপতি শিবাজি রেলওয়ে স্টেশনে ভয়াবহ হামলা চালায় পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবার ১০ জন সদস্য। ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইকে ওই ১০ জন দীর্ঘ ৬০ ঘণ্টা অবরুদ্ধ রাখে। তাদের গুলি ও বোমায় বিদেশি নাগরিক, পুলিশসহ ১৬৬ জন নিহত হন।
এ হামলায় জড়িত অন্য পাকিস্তানি সন্ত্রাসীরা নিরাপত্তা বাহিনীর পাল্টা হামলায় নিহত হলেও কাসাব জীবিত অবস্থায় ধরা পড়েন। ২০১২ সালের ২১ নভেম্বর তাঁর ফাঁসির রায় কার্যকর হয়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।