গত এক সপ্তাহে কয়েকটি জাতীয় দৈনিক থেমে থেমে ভারতীয় বিমানের নিরপত্তায় সে দেশীয় স্কাই মার্শাল নামে একটি টিম নামানোর কথা শোনা যাচ্ছে। কেবল শোনা গেছে বললেও ভুল হবে, কেননা তাদের আগমনের কিছু আলামত আমার হাতেও এসে পৌঁছেছে। এরপর বিষয়টি নিয়ে সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার উর্ধ্বতণ এক কর্মকর্তার সাথে কথাও বলেছি। তবে তার ভাব দেখে মনে হলো, তারা বিষয়টি স্বাগত জানাতে চান। কেন তারা এমনটা চাচ্ছে সেটি এখনো আমার বোধগম্য নয়।
তবে আমি যা বুঝি তা হলো- এই চর্চাটা শুভ কোন লক্ষণ না। এখন ভারতকে দিচ্ছি ভবিষ্যতে অন্যরাও চাইবে। তখন সেটিও দিতে হবে, অন্যথায় অনেকের সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটার আশংকা রয়েই যাচ্ছে। আর যদি সেক্ষেত্রে আমার রাজিই হয়ে যাই, তবে অবস্থাটা সে ধরনেই হবে যখন কোন প্রতিষ্ঠানে শেয়ার বেড়ে যায়। সিংহভাগ শেয়ার আমার হাতে থাকবে এটাও মানছি কিন্তু অপরাপর শেয়ার হোল্ডারদের তখন টাকা ফিরিয়ে দিতে গিয়ে সমস্যা বাধবে বই কমবে না।
তাছাড়া ভারতের সাথে আমাদের ফারাক্কা বাঁধার পূর্ব অভিজ্ঞতাতো রয়েছেই।
কি হয়েছিলো ফারাক্কা নিয়ে এতো চটজলদি ভূলে গেলে কি হবে ? মনে নেই ইন্দিরা গান্দি ফারাক্কার জঙ্গিপুর ক্যানেল দিয়ে পানি সরানোর জন্য ৪১ দিনের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করার কথা বলে পরবর্তীতে সেটিকেই স্থায়ি করে নিলো। এখন যান না সেটি ভাঙতে, দেখেন কেমন রাইফেলের বাট দিয়ে পিঠের ছাল তুলে দেয়।
স্কাই মার্শাল-এর ক্ষেত্রেও আমার সহজ যুক্তি ভাই। এখন তারা তাদের নিরাপত্তায় জন্য সশস্ত্র এই বাহিনীর সদস্য রাখতে চাচ্ছে।
যাদের কাজ হবে নাকি শুধু ইন্ডিয়ান বিমান পাহারা দেয়া। কিন্তু ভষিষ্যতে যে তারাও বিট্রা করবে না তার কি গ্যারান্টি আমাদের কাছে আছে ?
আর একটা হিসাব কষে দেখতে পারেন, তা হলো- আমাদের দেশ থেকে বিমান ছিনতাইয়ের কোন ঘটনা এখন পর্যন্ত ঘটেনি। তবে কেন ভারত এই আশংকা করছে। যদি সে ধরনের কোন পরিস্থিতি থেকেও থাকে সেক্ষেত্রে অন্যান্য দেশও তাদের বিমানের নিরাপত্তায় নিজস্ব বাহিনীর কথা বলতো। কেননা তাদের বিমান ভারতের বিমানের মতো মুড়ির টিন মার্কা না।
তার মানে আমাদের ধরে নিতে হবে, ভারত নিজেই বাংলাদেশে সমস্যা তৈরী করে রেখেছে। মনে নেই কয়েক মাস ধরেই আমাদের দেশে লস্কর-ই তয়িব্যার এদেশীয় প্রধানরা ধরা পড়তে ছিলো। আরে বাবা নাটক সাজাবি তো ভিন্ন স্কিপ্ট নে। তা না এক স্ক্রিপ্ট নিয়েই সব নাটক। একটা দলে কয়টা সেকেন্ড ইন কমান্ডের পদ থাকে ? শালা হাদারামের দল।
যাক আসল প্রসঙ্গে আসি, আমার কথা হচ্ছে ,ভাই ইন্ডিয়া নিজের সমস্যা মোকাবেলায় আবারো আমাকে ব্যবহার করতে চাচ্ছে। আমরা কেন সুযোগ দেবো।
অনেকেই আবার বলেন, সহায়তা না করলে আমরা না খেয়ে মরবো। মোটেই সঠিক না। কেননা আমরা ইন্ডিয়া থেকে যা আনি কিনে আনি।
তাও আন্তর্জাতিক বাজার দরে। এক পয়সাও কমে না। একই টাকা দিয়ে আমরা অন্য জায়গা থেকেও কিনে আনতে পারবো। তাছাড়া আমরা না কিনলে ইন্ডিয়াও বা বেচবে কার কাছে ? তাই এখন আমাদের ইন্ডিয়ার সাথে সম্পর্কটা হওয়া উচিত বিনিময়ের। এক তরফা না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।