আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণ: একুশ শতকের এক ট্র্যাজিক হিরো

বাংলায় কথা বলি,বাংলায় লিখন লিখি, বাংলায় চিন্তা করি, বাংলায় স্বপ্ন দেখি। আমার অস্তিত্ব জুড়ে বাংলা ভাষা, বাংলাদেশ।

১৮ মে ২০১০ ছিল তামিল গেরিলা নেতা ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণ-এর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী। ২০০৯ সালের এই দিনটি ছিল পুরো শ্রীলংকা দ্বীপ বাসীর জন্য এক মহা আনন্দের দিন। কারণ এই দিন মুর্তিমান আতঙ্ক গেরিলা নেতা নিহত হন।

দেশ জুড়ে শুরু হয় আনন্দের উৎসব। এক জন মানুষের মৃত্যুতে যে মানুষ কত খুশী হতে পারে আমি সেদিন দেখেছিলাম। হবে নাইবা কেন? প্রায় তিন দশক একটি দেশকে তিনি আতংকিত করে রেখেছিলেন। শ্রীলংকার যে সার্বিক ক্যারিশমা আছে তাতে দক্ষিণ এশিয়ার সব চেয়ে উন্নত দেশ হয়ে উঠা এখন কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র। গত বছর ২০ মে সরকারী ভাবে পালিত হয়েছিল বিজয় উৎসব।

এ বছর প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা হওয়ায় সময় মতো কিছুই হতে পারেনি। তবে রাষ্ট্রীয় প্যারেড আর উৎসব পরে হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে কোথাও প্রভাকরণের সমর্থনে একটা পোস্টারও চোখে পড়েনি। প্রভাকরণের কেউ কি নেই নাকি? এক বছরেই তিনি হারিয়ে গেলেন। মানুষ কি ভুলে গেল এই গেরিলা নেতাকে? তামিলদের বঞ্চনা আর শোষিত হবার নানা দিক নিয়ে এই ব্লগে অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট রচিত হয়েছে।

আমি সেই জটিল আলোচনায় যাব না। আমি শুধু এখানকার সাধারণ মানুষের অনুভূতিটা সামান্য দেখানোর চেষ্টা করব। দক্ষিণ এশিয়ার বৃত্তম দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলংকা। আয়তন ২৫,৩৩২ বর্গমাইল বা ৬৫,৬১০ কিমি । আয়তনের দিক দিয়ে এটি বিশ্বের ১২১ তম দেশ।

আযতনে ছোট হলও দেশটিতে ৯ টি প্রদেশ রযেছে। প্রদেশগুলোর আবার রয়েছে আলাদা সরকার। জেলা মাত্র ২৫ টি। ১৯৪৮ সালে বৃটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে সিলন(Ceylon) নাম নিয়ে। ১৯৭২ সালে এর নতুন নামকরণ করা হয় শ্রীলংকা (Democratic Socialist Republic of Sri Lanka )।

বর্তমান লোক সংখ্যা ২০.২ million (ইউএন, ২০০৯). প্রধান ভাষা সিনহালা, তামিল ও ইংরেজি। প্রধান ধর্মীয় জনগোষ্ঠী হচ্ছে’ বৌদ্ধ ৬৯.১%, হিন্দু, ৭.১%মুসলিম ৭.৬%ও খৃস্টান ৬.২% অন্যান্য ১০% । শিক্ষার হার ৯০.৭%। ২০০৭ সালে আমি শ্রীলংকায় আসি। তখন পুরো দেশ এক ভয়ের দেশ ।

কখন কে কোথায় মারা যায় তার ঠিক নেই। তখন তখন যেখানে সেখানে চলত বোমা হামলা। বাসে, হাটে, মাঠে, ঘাটে সর্বত্র। এলটিটিই এর বিমান বাহিনী ২০০৭ সালের ২৫ মার্চ রাতে কলম্বো বিমানবন্দরে (Bandaranayake International Airport)হামলা চালায়। অবশ্য চালক সহ দুটি বিমানই ধবংস হয়।

পুরো বিমান চলাচল ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে। কলম্বো থেকে রাতের সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়। নির্বিচারে আক্রমণ চালায় যেখানে সেখানে। মারা পড়ে সাধারণ মানুষ। ফলে এলটিটিইর প্রতি কারো সহানুভূতি আর থাকে না।

১৯৯৩ সালে মে দিবসের রেলিতে আত্নঘাতী বোমা হামলা চালায় এলটিটিই ক্যাডাররা। ফলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন রেলিতে নেতৃত্বদানকারী সদা হাসি-খুশী প্রেসিডেন্ট রানাসিঙ্গে প্রেমাদাসা। ১৮ ডিসেম্বর ১৯৯৯ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এক র্যলিতে এলটিটিই হামলা চালালেও প্রাণে বেঁচে যান সাবেক প্রেসিডেন্ট ম্যাডাম চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা। তবে তার ডান চোখটি অকেজো হয়ে যায়। একই দিনে আরেকটি নির্বাচনী রেলিতে হামলা চালালে ৩৮ জন নিহত হন তাদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল লাকি আলাগামা নামের সাবেক এক জন সেনাপ্রধানও ছিলেন।

তামিল জাতি থেকে আগত এক জন সম্মানিত ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত পররাষ্ট্র মন্ত্রী লাক্সমান কাদিরগামারকে ২০০৫ সালের ১২ আগস্ট তার বাসভবনে গুলি করে হত্যা করে এলটিটিই ক্যাডাররা। ফলে দিনে দিনে মানুষের মন বিষিয়ে উঠে। আমি যাবার পরপরই বেশ কিছু বড় অমানবিক হামলা পরিচালনা করা হয়। কলম্বোতে বড় কাচা বাজার খুব একটা নেই। ফোর্ট রেলওয়ে স্টেশনের কাছে এক ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটানো হয়।

তার মাত্র আধা ঘন্টা আগে আমি বাজার করে ফিরছিলাম। । বাসায় আসার পরপরই মোবাইলে ব্রেকিং নিউজ আসল: ফোর্ট রেলওয়ে স্টেশনের আত্নঘাতী বোমা হামলা: নিহত ১৮! একদিন খবর ছড়িয়ে পড়ল এলটিটিই কলম্বোর পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় বিষ ঢুকিয়ে দিয়েছে!ভয়ে ট্যাপের পানি ধরিনি প্রায় ৭/৮ ঘন্টা। রাতে টিভিতে বিশেষ ব্রেকিং নিউজের মাধ্যমে সরকার জনসাধারণকে বলে যে পানি ঠিকই আছে। তবে সাবধানে পান করতে হবে।

কি যে ভয়াবহ দিন গেছে! সংখ্যালঘু তামিল জনগণের অধিকারের প্রতি সাধারণ মানুষের সহানুভতি যা ছিল তা ক্রমশই নষ্ট হয়ে যায় নির্বিচারে বোমা হামলার কারণে। অসংখ্য মানুষ মারা পড়েছে তাদের আক্রমণে । তারা নির্দোষ। ২০০৫ সাল পর্যন্ত এলটিটিইর ছিল কেবলই শুভ দিন। তারা ক্রমাগত ভাবে দখল করে চলছিল এলাকার পর এলাকা।

সরকারী বাহিনী কিছুই করতে পারছিলনা। পুরো উত্তরাঞ্চীলয় প্রদেশ আর পূর্বাঞ্চলী প্রদেশের প্রায় সব এলাকাই তখন এলটিটিইর দখলে। তাদের সেই জয়-যাত্রা অব্যাবহত থাকলে রাজধানী কলম্বো দখল করতে তাদের খুব বেশী সময় লাগত না। এরই মাঝে ২০০৫ সালে অনুষ্ঠিত হয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বিজয়ী হন তুখোর নেতা মাহিন্দা রাজাপাকসা।

এই নেতা জয়ী হয়েই শুরু করেন অভিযান। তার অভিযান ছিল দ্বিমুখী। দেশের বাইরে কুটনীতি আর দেশের ভেতরে পরিকল্পিত হামলা। ফলে প্রভাকরণের খবর হয়ে যায়। পিছু হটতে থাকেন তিনি।

প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসার সব চেয়ে বড় সাফল্য কুটনীতিতে । তিনি সারা বিশ্বকে বুঝাতে সক্ষম হন যে এলটিটিই একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সন্ত্রাসী সংগঠন। ফলে এলটিটিই বর্হিবিশ্বে তার সমর্থন হারায়। প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে হত্যা করার পর ভারতের কোনর প্রকার সহযোগিতা আশা করা ছিল এলটিটিই র জন্য এক দুরাশা। ফলে মাহিন্দা রাজাপাকসা যখন মহাপরিক্ল্পনা নিযে আক্রমণ করেন তখন এলটিটিই কেবলই পিছু হটতে থাকে ।

তুখোর নেতা রাজাপাকসা সিনহাল, তামিল আর ইংরেজিতে একটানা বক্তব্য রাখতে পারেন। তিনি একজন দূরদর্শী নেতা। ২০০৯ সালে এলটিটিই সর্বশেষ মরণ কামড় দেবার চেষ্টা করে । এরই ধারাবাহিকতায় তারা রাজধানী কলম্বোতে বিমান হামলা করে। সেই রাতের কথা মনে হলে এখনো শিহরিত হই।

প্রতি দিনের মতো সেই দিনও সন্ধ্যা বেলায় ঘুরতে গেছি। রাত সাড়ে আট টার দিকে হঠাৱ বোমার শব্দ । সেই সাথে পুরো কলম্বোর সব বাতি এক সাথে নিভে গেল। চারিদিক থেকে অজস্র গুলাগুলির আওয়াজ আসতে লাগল । আকাশের দিকে তাকালেই যেন গুলির মিছিল।

কোথাও একটু আলো নেই। সব অন্ধকার। মোবাইল বের করে দেখি কোন নেটওয়ার্ক নেই। রাস্তায় কোন গাড়ী নেই। নিমিষেই সব যেন হাওয়া হয়ে গেল।

প্রায় আধা ঘন্টা পর গুলাগুলির আওয়াজ একটু কমতেই বাসার উদ্দেশ্যে হাটতে শুরু করলাম। ইতোমধ্যে দু'একটা গাড়ী সামনের কেবল হলুদ লাইট কোন রকমে জালিয়ে বের হযেছে। বাসায় গিয়ে দেখি ল্যান্ড ফোনও বন্ধ করে দেয়া হযেছে। রাত ৯টার পর বিদ্যুত এলে দ্রুত টিভি অন করলাম। পরপর তিন ভাষায় ( প্রথমে সিনহালা তারপর তামিল আর শেষে ইংরেজি) ব্রেকিং নিউজ দেখানো শুরু হল।

জানা গেল এলটিটিই র বিমান বাহিনী প্রথমে কলম্বোতে অবস্থিত বিমান বাহিনীর সদর দপ্তরে হামলা করার চেষ্টা করে। কিন্তু পাল্টা আক্রমণে বিমানটি বিধস্ত হয় অপর একটি গুরুত্বর্পূণ ভবনের উপর। একাধিক ব্যক্তি নিহত হন। বিমানের চালকও নিহত হন। অপর আক্রমনটি পারিচালিত হয় কলম্বোর বিমান বন্দরে।

সেখানে পাল্টা আক্রমণে পরাস্ত হয় এলটিটিই। ক্রমাগত পরাজয়ের ফলে এ সময় তাদের রাজধানী কিলিনোচ্চিও হাতছাড়া হয়ে যায়। তাদের এক মাত্র ঘাটি মোল্লাইতিভু থাকে বাকি। কিন্তু ২০০৯ সালের ১৮ মে এখানে এক ভয়াবহ লড়াইয়ে পরাজিত হন প্রভাকরণ বাহিনী। একটি এম্বুলেন্সে করে পালিয়ে যাবার সময় নিহত হন কিংবদন্তীর গেরিলা প্রভাকরণ যিনি কিনা ছিলেন সবার ধরাছোয়ার বাইরে।

যখন প্রভাকরণ নিহত হন তখনই প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসা তার দুবাই সফর অসমাপ্ত রেখে দেশে চলে আসেন। ঘোষণা করেন আনুষ্ঠানিক বিজয়। ঘরে ঘরে উড়ে পতাকা। জরুরী অবস্থা শিথিল করা হয়। রাস্তায় নামে আনন্দের মিছিল।

মানুষ যেন মুক্তির স্বাদ পেতে চলেছে। মিছিলের পর মিছিল আসে। মানুষ যেন আনন্দে পাগল হয়ে গেছে এমন ভাব। কেন জানি না, আমারও খুব আনন্দ লাগল। আর আমাকে বোমার আতংকে থাকতে হবে না।

যখন তখন আর বোমা ফাটবে না। কত প্রাণ যে ঝরে গেছে ২৬বছরের গৃহ যুদ্ধে। মানুষ তাই স্বেচ্ছায় নেমে এসেছে রাজপথে। সেদিন তাদের যেন বিজয়। যেমনটি ছিল বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর।

আমি বাংলাদেশর বিজয় উৎসব দেখিনি। তবে এখানে মানুষের যে উচ্ছাস দেখেছি তাতে মনে হয় মুক্তির আনন্দ না জানি কত গভীর। হঠাৎ করেই অনলাইনে এলটিটিইর পক্ষ থেকে জানানো হয় প্রভাকরণ বেঁচে আছেন। আনন্দে যেন খানিকটা ভাটা পড়ে। সরকারও কম যায় না।

টিভিতে বিশেষ ব্রেকিং নিউজের মাধ্যমে দেখানে হতে লাগল নিহত প্রভারকণের মৃতদেহ। তাকে দেখলে যে কারারই মায়া লাগার কথা। আজ এক বছর পরে শ্রীলংকা দারুণ রকম শান্ত। বোমার আতংক নাই। কোথাও কোন ভয় নাই।

যেই জাফনায় যাওয়া ছিল কল্পনারও অতীত সেখানে এখন প্রতি দিনই বাস যায়। মানুষ যেন বেচে গেছে এক ভয়াবহ যুগ থেকে। তারা হাসছে আনন্দের হাসি। এখন আমার কথা হল প্রভাকরণ যে সব দাবী নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন কেন সেগুলো ব্যর্থ হল? প্রথমত, তিনি সরাসরি অস্ত্রের পথে গেছেন। মানুষের সহানুভূতি হারিয়ে ফেলেছেন।

দ্বিতীয়ত তিনি আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন ধরে রাখতে পানেনি। একটি বৌদ্ধ রাষ্ট্র হয়েও মাহিন্দা রাজাপাকসা ধর্মীয় নেতাদের সমর্থন আদায় করতে পেরেছেন। ফলে অহিংস বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী হয়েও মেরে সাফ করে ফেলেছেন এলটিটিই কে। এখন কাগজে কলমে হয়তো এলটিটিই হয়তো থাকবে। কিন্তু তারা আর কোন দিন এই রকম মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারবে না যেমন টি তারা প্রায় ২৬ বছর ধরে করছিল।

একটি রাষ্ট্রকে ভেঙ্গে দুটি রাষ্ট্র করতে গেলে যে প্রক্রিয়া যাবার দরকার তারা সেই প্রক্রিয়ায় যায়নি। সত্তরের দশকে বাংলাদেশে শেখ মুজিব যেটা করতে পেরেছিলেন প্রভাকরণ তা পারেননি। ফলে তার স্বাধীন ভূমির স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে। বর্তমান সরকার যদি সবার অধিকারের ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে পারে তাহলে মানুষ কিন্তু বুঝতে পারবে প্রভাকরণের বিষয়টি। যিনি শ্রীলংকাকে অনেক পেছনে গিয়ে গেছেন।

শোনা যেত, তার কাছে নাকি সায়ানাইড ক্যাপসুল রাখা ছিল যাতে ধরা পড়লে তা খেয়ে মারা যেতে পারেন। কিন্তু তার দেহে কোন সায়ানাইড ক্যাপসুল পাওয়া যায়নি। তবে তিনি জীবিত ধরাও দেননি। অবশ্য জীবিত ধরা দিলেও সৈন্যরা তো তাকে মেরেই ফেলত। তাকে বাঁচিয়ে রাখার ঝুঁকি কেউ নিতে চাইত বলে মনে হয়না।

এলটিটিইর একটি আলাদা রাষ্ট্রীয় কাঠামো ছিল। ছিল জাতীয় পতাকা, বিচার বিভাগ, ব্যাংক সব। মুলত শ্রীলংকার উত্তরাঞ্চলে দ্বৈত শাসন চলত। একদিকে সরকারী শাসন। অন্যদিকে এলটিটিই র শাসন।

প্রভাকরণ মানুষকে উজ্জীবিত করতে পেরেছিলেন। শোনা যায়, কোন পরিবারে যদি ২ টি সন্তান থাকে একটি সন্তানকে এলটিটিইতে পাঠানো বাধ্যতামূলক ছিল। নাবালক যোদ্ধার সংখ্যা তাই ছিল প্রচুর। কেউ না কেউ মারা পড়ত। ফলে বংশানুক্রমে সরকারের প্রতি একটি ঘৃণা জাগিয়ে রাখার চেষ্টা ছিল প্রভাকরণের।

এ কাজে তিনি সফল হয়েছিলেন। আজ প্রভারকরণ নেই। একদম শান্ত শ্রীলংকার উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত। তবে প্রভারকরণ এক জন সাহসী যোদ্ধা হিসাবে মানুষের মনে হয়তো বেঁচে থাকবেন অনেক দিন। যিনি ছিলেন এক রহস্য মানব।

ধরা ছোয়ার অনেক বাইরে। যার স্বপ্ন ছিল একটি পৃথক বাসভূমির।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।