h
‘রা’
প্রতিটি সত্ত্বার আকুতিই হচ্ছে Ñ বিস্তার এবং আধিপত্য। ইহার পরিপোষণ করাই ধর্ম। এই অস্তিÑবৃদ্ধির মঙ্গল অভিযাত্রার পথ প্রদর্শক যিনি, তিনিই পরম পুরুষ। তাঁর বার্তাবাহক স্বরুপ ইষ্টায়ণীর প্রকাশ। যা প্রতি প্রত্যেকের মঙ্গলের পথে চলার সহায়ক হবে।
তাঁর অমৃতনিষ্যন্দী জীবনাচরণ, যে মঙ্গল প্রদীপের প্রজ্জলন করেছে, সেই জীবন বৃদ্ধির অমোঘ পথে আমরাও যেন ভাসাতে পারি আমাদের জীবন তরী। জীবন যজ্ঞে ইষ্টই যেন হয় আমাদের একমাত্র আলোর কবিতা।
সসীমের মাঝে অসীমের প্রকাশ, সত্তার মধ্যে ব্রহ্মজ্ঞাণের নব উন্মেষ। সকল সত্ত্বাই পরম সত্ত্বার অংশ তাই সবার লক্ষ্যও সেই তাঁর সাথে মিলিত হওয়া। ঐকান্তিক ভালবাসা ও আপ্রাণ লেগে থাকাই প্রতি-প্রত্যেককে করে তুলতে পারে সত্যিকারের মানুষ।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, আঙুরের ক্ষেতে চাষী কাঠি পুঁতে দেয়; তারই উপর আঙুর লতিয়ে উঠে আশ্রয় পায়, ফল ধরায়। তেমনি জীবনমাত্র সবল সফল করবার জন্যে কতকগুলি রীতিনীতি বেঁধে দিতে হয়। এসব রীতিনীতির অনেকগুলিই নির্জীব-নিরস, উপদেশ-অনুশাসনের খুটি বলে মনে হয়। কিন্তু বেড়ায় লাগানো জিয়লকাঠের খুঁটি যেমন রস পেলেই বেঁচে উঠে, তেমনি জীবনযাত্রা যখন প্রাণের ছন্দে শান্ত গমনে চলে তখন শুকনো খাঁটিগুলো অন্তরের গভীরে পৌঁছার অবকাশ পেয়ে ক্রমেই প্রাণ পেতে থাকে। সেই গভীরেই সঞ্জীবনরস।
সেই রসে তত্ত্ব ও নীতির মত পদার্থও হৃদয়ের আপন সামগ্রীরুপে সজীব ও সজ্জিত হয়ে উঠে। মানুষের আনন্দের রঙ তাতে লাগে। এই আনন্দের প্রকাশের মধ্যেই চিরন্তরতা। একদিনের নীতিকে, আর-একদিন আমরা গ্রহন নাও করতে পারি। কিন্তু সেই নীতি যে প্রীতিকে, যে সৌন্দর্য্যকে, আনন্দে সত্য ভাষাকে প্রকাশ করেছে সে আমাদের কাছে চির নতুনই থাকবে।
যাঁর ছোঁয়াতে তা ঘটে তিনিই পরম পুরুষ।
পরমপিতার ‘রাতুল’ চরণে আমার একান্ত প্রার্থনা, প্রিয় পরমের পঁথে চলার পথ প্রদর্শক শ্রীশ্রীআচার্য্যদেবের আশির্বাদ বহন করে আমরা যেন প্রকাশনার মাধ্যমে পৌঁছে দিতে পারি, তাঁরই মঙ্গলবার্তা।
শ্রীরামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য্য (সহপ্রতিঋত্বিক)
শ্রীহট্ট সৎসঙ্গ বিহার, সিলেট
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।