আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অভ্র-বিজয় বিতর্কে আব্দুন নূর তুষারের অসার বক্তব্যের জবাব-১

আমার কমেন্টস ব্যান করে দিছে তাই নিজের পোস্ট ছাড়া কাউকে কমেন্টস দিতে পারছিনা

জনাব আব্দুন নূর তুষার অতি সম্প্রতি সাপ্তাহিক নামক পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন লিখেছেন। প্রতিবেদনটি আনিস রায়হানের লেখা আরেকটি আর্টিকেলের সমালোচনা। সম্প্রতি জানতে পারলাম জব্বার সাহেব এই লেখাটি ঘষামাজা করে বিচিত্রায় ছাপার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। বোঝাই যায় লেখকের সাথে জব্বার সাহেবের দহরম মহরম কীরকম এবং কেন লেখাটি পক্ষপাতদুষ্ট। দুই খন্ডে প্রকাশিত এই লেখায় আমি তুষারের লেখাটির পয়েন্ট বাই পয়েন্ট যুক্তি খণ্ডন করব।

এখানে আপাতত আমার অবস্থান পুরোপুরি ব্যাখ্যা করবনা। আমার উদ্দেশ্য আব্দুন নূর তুষারের এই গরু-রচনাবৎ লেখাটির অসারতা তুলে ধরা। 'গরু রচনা' বলতে আমি বুঝাতে চাচ্ছি মুখস্থ/শেখানো বিদ্যাকে যে কোনো সুযোগে ব্যবহার করার অপচেষ্টার কথা। এটি একটি কৌতুক থেকে এসেছে। এক ছেলে গরু রচনা মুখস্থ করে গেছে পরীক্ষা দিতে।

কিন্তু পরীক্ষায় এসেছে নদী রচনা। ছেলেটি কোনোভাবে নদীতে গরুকে পানি খাইতে নিয়েছে রচনায়। তারপর বাকি পৃষ্ঠা ভরেছে গরু রচনা লিখে। আমার কাছে তুষারের যুক্তি প্রদর্শন এই রকমই মনে হয়েছে। আগে থেকেই তিনি বায়াসড ছিলেন।

তাই যুক্তি নামের কুযুক্তি ব্যবহার করে দাঁড় করাতে চেয়েছেন তার বক্তব্য। ব্যক্তি আক্রমণ নিয়ে একটি নোট ব্যক্তি আক্রমণ হচ্ছে সেই প্রক্রিয়া যেখান একটি বিষয়ে তর্কের সময় একজন ব্যক্তির ধর্ম, বর্ণ, কিংবা তার অন্যান্য অসর্ম্পকিত কর্মকান্ডের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যক্তিকে খাটো করা কিংবা বিষয় থেকে সরে যাবার চেষ্টা করা হয়। এই রূপে বিষয়টিতে জিতে যাবার একটা প্রচেষ্টা থাকে। আমার এই বিশ্লষণে আমি সচেতনভাবে এই ব্যক্তি আক্রমণ এড়ানোর চেষ্টা করেছি। ব্যক্তি আব্দুন নূর তুষার সম্মানিত ব্যক্তিত্ব এবং কলামিস্ট।

তার সাথে আমার শত্রুতা নেই এবং সেটা শুরুও করতে চাই না। কিন্তু এমন একটি বিষয়ে তিনি এহেন একটা আর্টিকেল লিখেছেন যে আমি তার যুক্তি গুলো খণ্ডাতে বাধ্য হচ্ছি। প্রসঙ্গতঃ কিছু মন্তব্য চলে এসেছে এই বিষয়টিতে তার জ্ঞানের অসারতা লক্ষ্য করে। কিন্তু সেটা মোটেই তাকে মানুষ হিসেবে খাটো করবার জন্য নয়, কিংবা তাকে অপমান করে জিতে যাবার চেষ্টা করার জন্য নয়। আমার আলোচনার গণ্ডি শুধুমাত্র তার এই আর্টিকেলটাই।

আশা করি তার্কিক আব্দুন নূর তুষার তর্কটাকে তর্ক হিসেবেই নিবেন। তবুও তিনি আহত হলে আমি শুরুতেই তার কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। বিশ্লেষণ ১। প্রথমে আব্দুন নূর তুষার রায়হানের স্ট্যাটিসটিকস তুলাধুনা করেছেন। কিন্তু তুষার কি অবগত আছেন যে মুস্তাফা জব্বার বিবিসিকে বলেছেন যে, 'বর্তমানে কম্পিউটারে বাংলা ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রায় ৯৯ শতাংশ বিজয় দিয়েই কাজ করছেন'? তুষার কি আদৌ জানেন, শতকরা ৯৯ শতাংশের কৃতিত্বের দাবি করতে কত শক্ত পরিসংখ্যানগত ভিত্তি এবং উপাত্ত থাকা প্রয়োজন? পাঠকের গোচরে আনার জন্য বলি, শতকরা ৯৯ মানে একটি ঘরে যদি দশজন বাংলায় কম্পিউটার ব্যবহার করে তাহলে জব্বার সাহেবের দাবি অনুযায়ী তাদের দশজনকে (আরো সঠিকভাবে ৯.৯ জন) ই বিজয় ব্যবহার করে।

চট করে একটা টেস্ট করা যায়। আপনার পাঁচজন বন্ধু, যারা বাংলায় লেখে, তাদের জিজ্ঞেস করুন তারা বিজয় ব্যবহার করে কি না। যদি একজনও বিজয় না ব্যবহার করে তাহলে জব্বার সাহেবের এই দাবি ভুল। কিন্তু তুষারকে এই যুক্তি বোঝাবে কে? তুষার সাহেব রায়হানের তথ্য থেকে বের করলেন, ৬০% (বাংলা) × ১৫% (ইন্টারনেট) × ২০% (ইন্টারনেটে বাংলা) = ১.৮%। কিন্তু রায়হান যে এই হিসেবে বিরাট একটা ভুল করেছেন সেটা লক্ষ্য করলেন না।

রায়হান বাংলা ব্যবহারকারীদের দুবার অর্ন্তভুক্ত করেছেন। সুতরাং সূত্রটা হবে ইন্টারনেটে বাংলা ব্যবহারকারী = X (বাংলা ব্যবহারকারী)% × Y (বাংলায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারী)%। এই হিসেবে শতকরা হিসাবটি আরো বড় আসা উচিত। যদি এই ভুল হিসাবটাই ধরি, শুধুমাত্র ১.৮% লোকই অভ্র ব্যবহার করে; তাহলেও জব্বার সাহেবে হিসেবের ৯৯% লোক বিজয় ব্যবহার করেন না। গুরুর এহেন ম্যানিপুলেশনের জবাবে এখন কী বলবেন তুষার সাহেব? উপরন্তু কিন্তু রায়হান কোথাও দাবি করেন নাই বিজয় কতখানি ব্যবহার করে।

তুষার কেন রায়হানের মুখের উপর কথা বসিয়ে দিতে চাইলেন বোধগম্য হলো না। ২। আমি জানতাম তুষার বির্তক করেন। অভ্রের শ্লোগান কেন আপনার গাত্রদাহের কারণ হল বুঝলাম না। বিতার্কিকরা মূল প্রসঙ্গে যুক্তি না পেলে সম্ভবত এই "রেড হেরিং" উপস্থাপন করতে শেখেন।

অভ্রের শ্লোগানটিকে অভ্রের কৌশল মনে হয়? নাকি একটি সৎ আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ? ৩। সফটওয়্যার সেবা আর সফটওয়্যার পণ্যের মধ্যে পার্থক্য আছে। বিজয় পণ্যটি পয়সার বিনিময়ে দেয়া হয়। সঙ্গে হয়ত কর্পোরেটদেরকে সেবাও বিক্রয় করা হয়। কিন্তু অভ্রে সফটওয়্যারটি এবং সেবা (ওমিক্রনল্যাব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে) দুটোই বিনামূল্যে দেয়া হয়।

অর্থাৎ বিজয় পণ্য এবং সেবা দুটোই বিক্রয় করছে, অভ্র দুটোই ফ্রি দিচ্ছে। তাই আপনার আর্গুমেন্ট ভিত্তিহীন। অভ্র কোনোভাবেই কারো বুদ্ধি ধার করেনি। এই কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ে ন্যূনতম জ্ঞান থাকা মানুষ মাত্রই বুঝতে পারবে। তুষার সাহেব বুঝতে পারেননি।

যদিও মেহদী হাসান খান একজন চিকিৎসক, কিন্তু সব চিকিৎসকই প্রোগ্রামিং সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান রাখেন না, অন্তত 'একজন চিকিৎসক' এ ব্যাপারে চরম মূর্খতার পরিচয়ও দিয়েছেন। তিনি হচ্ছেন আমাদের আলোচ্য তুষার। আফসোস, তিনিও কলম ধরেছেন এই বিষয়ে! ৪। আব্দুন নূর তুষার wrote: সারা পৃথিবীতে এটাই সবচেয়ে জনপ্রিয় লেআউট মাই গুডনেস! চোখে কী আপনার ঠুলি পরা নাকি? বিজয় নাকি সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে জনপ্রিয় লেআউট!!! চাটুকার কি গাছে ধরে? আব্দুন নূর তুষার wrote: এখন সেই জনপ্রিয় লে আউটটির কয়েকটি কী বদলে একটু সুবিধা বাড়িয়ে বা কমিয়ে সেটিকে ফ্রি করে দেয়া কখনোই নতুন কোনো সৃজনশীলতা না। আপনি ওপেন অফিসের নাম শুনেছেন? কিংবা গিম্প? সম্ভবতঃ না।

ওপেন অফিস, মাইক্রোসফট অফিসের একটি ফ্রি অল্টারনেটিভ। আর গিম্প হল অ্যাডোবি ফটোশপের ফ্রি অল্টারনেটিভ। এখন ফ্রি সফটওয়্যারের জন্য মাইক্রোসফটের বা অ্যাডোবির ব্যবসা কি শেষ হয়ে গেছে? হয়ে যায়নি। কেননা তার প্রতিযোগিতায় এইসব ফ্রি সফটওয়্যারের থেকে অনেক এগিয়ে গেছে। প্রতিযোগীতার বাজারে এইটাই সুবিধা - টেকনলজি এগিয়ে যায়।

সুবিধা ভোগ করে উভয়পক্ষই। অপরপক্ষে গত বিশ বছরে কিছু চাটুকার, সুবিধাভোগী হায়েনার সহায়তায় বিজয় বাজার দখল করে আছে একই জায়গায়। নিজেও আগেও বাড়েনি কাউকে আগে বাড়তেও দেয়নি। নতুন কোনো টেকনলজি বাজারে আনেনি, কাউকে আনতেও দেয়নি। আপনার কি ধারণা অভ্র তৈরি করতে শ্রম দিতে হয় নাই? নাকি আপনিও মনে করেন যে অভ্র বিজয়ের কোনো কম্পিউটার থেকে পাইরেট করে তৈরি করে দিয়েছেন।

সফটওয়্যার তৈরির শ্রম বুঝবেন কীভাবে? সফটওয়্যার তৈরি করে দেখেছেন কখনও? প্রক্রিয়াটা সম্পর্কে কোনো ধারণা আছে? অভ্র কোন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ দিয়ে তৈরি, আর বিজয় কোনটি দিয়ে তৈরি, বলতে পারবেন তুষার? ৫। কোনো পণ্য দীর্ঘদিন বাজারে থাকলে এবং তার পাইরেটেড কপি বাজারে থাকলে তার ওপর মানুষের অধিকার জন্মায় না। কিন্তু এটাকে বাজার দখলের নীরব পদ্ধতি হিসেবে লক্ষ্য করা যায়। অ্যান্টিট্রাস্ট আইনের কথা জানেন নাকি তুষার সাহেব? পিসি উত্তরণের সাথে সাথে মাইক্রোসফট উইন্ডোজের মাধ্যমে এক চেটিয়া বাজার দখল করে। তখন থেকে মাইক্রোসফট উইন্ডোজের সাথে বিনামূল্যে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ার সরবরাহ করতে শুরু করে।

শর্ট টার্মে এতে মাইক্রসফটের ক্ষতি। কিন্তু লং টার্মে এটা একটা বিরাট জনগোষ্ঠীকে বাধ্য করবে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহার করতে। সেইসাথে পুরো ইন্ডাস্ট্রি তাদের ইন্টারনেটভিত্তিক প্রোডাক্ট বানাবে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের জন্য। অর্থাৎ মাইক্রোসফট থেকে মুক্তি নেই। এর ফলাফল হল বাজারে অন্যান্য প্রোডাক্টের জনপ্রিয়তা না পাওয়া।

অন্য প্রোডাক্ট দাঁড়াতে না পারা। বিজয় এই দোষে দুষ্ট। এই কারণেই বাজারে দ্বিতীয় কোনো বাংলা প্রোডাক্ট দাঁড়াতে পারছে না। এটা বিজয়ে কৃতিত্ব নয়, এটা বিজয়ের কুচক্র। সমস্যাটির ব্যপ্তিটি ছবিতে দেখুন।

বাংলাদেশের সরকারি ফর্মে দাবি করা হচ্ছে যে বিজয় দিয়ে যেন ফর্ম পূরণ করা হয়। বাংলা লেখার বাজার বিজয়ের এমনই দখলে যে, সরকার পর্যন্ত বিনামূল্যে বিজয়ের বিজ্ঞাপন করছে। কারণ অল্টারনেট সমস্ত প্রচেষ্টাকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। আর এই খুনের রক্ত জব্বার সাহেবের সাথে তুষারের হাতেও লেগে আছে। সরকারি চিঠিতে বিজয় ব্যবহারের নির্দেশসরকারি চিঠিতে বিজয় ব্যবহারের নির্দেশ কিন্তু আফসোসের ব্যাপার হল বাংলাদেশে অ্যান্টিট্রাস্ট আইন নাই।

তাই বিজয় আস্ফালন ঠেকানোর কোনো উপায় নাই। ৬। যাক একটা বিষয় ঠিক হয়নি বলে স্বীকার করেছেন। একটা লিংক দেই এটা শুনুন: Click This Link তাছাড়া মুস্তাফা জব্বারের ব্যক্তিগত পেইজে কিছু আর্টিকেল আছে ওইগুলো পড়ে দেখতে পারেন। ৭।

অভ্র সর্ম্পকে কিছু লেখার আগে আপনারও উচিত ছিলো ভালো করে জেনে নেয়া। অভ্র ডেভলপ করেছে মেহদী হাসান খান। তার সাথে অন্যান্য কয়েকজন আছেন, যাদের নাম আমি এখানে উল্লেখ করতে চাচ্ছি না। অভ্র সফটওয়্যারটিতে লেখা আছে যে এটি ফ্রি। চিরকালের প্রশ্নটি কেন আসছে বুঝছি না - সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে ফ্রি বললে সেটা চিরদিনের জন্যই বুঝায়।

কালকে যদি অভ্র বা অভ্র ক্লোন ফ্রি না হয় তাহলেও অভ্রর বর্তমান ভার্সন ফ্রি থাকবে। আপনার দ্বিমত থাকলে সফটওয়্যার লাইসেন্সের আইনি রেফারেন্স দেখতে পারেন (এবং তার ভিত্তিতে পরবর্তী দাবি করবেন)। বাই দ্যা ওয়ে, আপনার কিন্তু অভ্র বিষয়ে লেখার আগে অভ্রের ডেভলপারের সাথে কথা বলে নেয়া দরকার ছিলো। ৮। ফোনেটিকে বাংলা লিখলে মানুষ বাংলা ভুলে যাবে????? প্রথমতঃ অভ্র ফোনেটিক মানুষকে বাংলা ভোলানোর উদ্দেশ্যে তৈরি হয়নি।

তৈরি হয়েছে বাংলা লেআউটকে সহজ করার উদ্দেশ্যে। এ-এম-আই লিখলে 'আমি' তৈরি হয় কিন্তু 'এ-এম-শিফট-আই' কিংবা অন্য কোন কম্বিনেশনে লিখলে 'আমী' হয়। অর্থাৎ বানানটি কিভাবে লেখা হচ্ছে তার সাথে বানান জানার বিষয়টি সর্ম্পকযুক্ত নয়। 'আমি' লিখতে হলে 'আমি' বানানটাই জানা চাই। অর্থাৎ বানান না জানা থাকলে ফোনেটিকও যা, বিজয়ও তাই।

অভ্র বা বিজয় "কীভাবে" লেখা হবে তার সমাধান দেয়। কিন্তু অভ্র বা বিজয় দিয়ে "কী" লেখা হবে তার দায় বা কৃতিত্ব অভ্র বা বিজয় কোনোটাই দাবি করতে পারে না? অভ্র বা বিজয় দিয়ে লিখে যদি কেউ নোবেল পুরস্কার পায় তাহলে কী এই সফটওয়্যারের কোনোটি তার ভাগ দাবি করতে পারবে? তাহলে ভুল বানানের দায়ই এদের কোনটা বা নেবে কেন? বরং এই ফোনেটিক বিষয় অত্যন্ত এমপাওয়ারিং। যে কেউ যে কোনো কম্পিউটারে বাংলা টাইপিং না শিখেই বাংলা লেখা শুরু করতে পারবে। এটা কম্পিউটারে বাংলা ভাষার ব্যবহারকে কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে। বিদেশে জন্ম হওয়া বড় হওয়া বাচ্চাদের কথা ভাবুন।

শুধুমাত্র ফোনেটিক আছে বলেই অন্তঃত এরা বাংলা লেখার কথা ভাবতে সাহস করবে। এই ফোনেটিক টেকনোলজীটা যে কতবড় একটা রেভোল্যুশন তা বলে বোঝানো যাবে না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ফোনেটিক বাংলা প্রথম ১৯৯৯ সালে আবিষ্কার (উন্মোচন অর্থে) করে ন্যাচারাল বাংলা। পরে স্বতন্ত্রভাবে ২০০২ এ শাব্দিক এবং ২০০৩ এ অভ্র এটি উদ্ভাবন করে। শাব্দিক টিম গবেষণা করে এও দেখিয়েছে যে ফোনেটিক টাইপিংয়ে প্রথাগত টাইপিংয়ের সমমানের গতি আনা সম্ভব।

এই পেপারটি আইত্রিপলীতে প্রকাশিত। বিজয়ের পা চাটতে গিয়ে আপনি তিনটি সফটওয়্যার এবং আইত্রিপলীতে প্রকাশিত একটি পেপারকে শুণ্যমানের বলেছেন। কীসের ভিত্তিতে তুষার সাহেব? ৯। বিভ্রান্তিমূলক প্রচারনা তো করছেন আপনি। জব্বার সাহেব নিজেই স্বীকার করেছেন ৬টি কী তে পার্থক্য আছে (অর্ধসত্য)।

মেহদী দেখিয়েছে ৮ টি কীতে পার্থক্য আছে। আর আপনি বলছেন একটি!!! গুনতে শিখবেন কবে? ১০। মূল লেখার কিছু ইন্ডিকেট করছেন হয়ত। অপ্রাসঙ্গিক বিধায় আলোচনার প্রয়োজন বোধ করছি না। ১১।

বোঝা গেল না এই পয়েন্টটি যুক্তি নাকি পাগলের প্রলাপ। ১২। আব্দুন নূর তুষার wrote: যারা অভ্র ব্যবহার করেন তারা এটা ভালো বলবেন। আপনি অভ্র ব্যবহার না করেই কথা বলছেন? বিজয় ব্যবহার করেন বুঝি? এতো বিবিসির মতো হয়ে গেল - নিজেদের ওয়েবসাইট বিজয় দিয়ে বানিয়ে বিজয়ের গুণগান করা। "কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট" কথাটি শুনেছেন? প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি আমি বিজয় কিংবা অভ্র কোনোটাই ব্যবহার করিনা।

আমি আমার নিজের তৈরি করা সফটওয়্যারে প্রভাত লেআউট ব্যবহার করি। তবে দুটিই দীর্ঘ সময় নিয়ে পরীক্ষা করে দেখেছি। আব্দুন নূর তুষার wrote: ফন্ট কেবল কোডিং না, এটার চেহারাটাই আসল। বলেছেন মহামতি আব্দুন নূর তুষার! আপনার এই দাবিটির পিছনে আপনার কত দিনের ফন্ট তৈরির অভিজ্ঞতা কাজ করছে? ফন্টের কোনো অংশটি আসল দাবি করার আগে ফন্ট তৈরির একটা অভিজ্ঞতা থাকা জরুরি না? আমার তো তা-ই মনে হয়। আপনার যুক্তিতে তো তাহলে জমজ ভাই বোন বা ক্লোনিং করা শিশুরা সব পাইরেটেড! বাই দ্যা ওয়ে সফটওয়্যার পাইরেসির সংজ্ঞা জানেন তো? উপরন্তু ফন্ট নিয়ে এই আলোচনাও হয় "রেড হেরিং"এর অথবা জ্ঞানের অগভীরতার আরেকটি উদাহরণ।

ফন্ট টেকনলজির সাথে অভ্রর কোনো সরাসরি সর্ম্পক নেই। ইউনিকোড টেকনলজিতে তৈরি অভ্র ফন্টের উপর নির্ভর করে না। আবার বলি, ইউনিকোড টেকনলজিতে তৈরি কোনো সফটওয়্যার ফন্টের উপর নির্ভর করে না। এটাই ইউনিকোড টেকনলজির বৈশিষ্ট্য। তাই উপরের সরকারি চিঠির মত কোনো নির্দিষ্ট ফন্টের কথা উল্লেখ করতে হয়না।

ইউনিকোডে লেখা যেমন অমিক্রন ল্যাবের যে কোনো ফন্টে পড়া যাবে, তেমনি একুশ.অর্গের ফন্টে পড়া যাবে; পড়া যাবে মাইক্রোসফটের ভ্রিন্দায়। বিজয়ের সাথে অভ্র এটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পার্থক্য। আব্দুন নূর তুষার wrote: ভিন্ন কোডিংএ একই চেহারার ফন্ট তৈরি করা সম্ভব। সেটাও কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন কারণ সেখানে ডিজাইন নকল করা হয়েছে। পাইরেসি বা কপিরাইট এই বিষয়ের কিছুই যে জানেন না সেটা আপনার এই লাইনটি পরিষ্কার করে দিল।

তুষার সাহেব, কোনো বিষয় নিতে জানতে সেটা নিয়ে একটু পড়াশোনা করে নিতে হয়। নাহলে এইরকম পাগলের প্রলাপ লেখার ছাড়া আর কিছু করার থাকে না। লেখাটির আরেকটি পর্ব আছে যা আজকেই প্রকাশ করবো । লেখা বেশি বড় হয়ে যাবে তাই দুই খন্ডে প্রকাশের চিন্তা। আর লেখাটি লিখেছে সচলায়তনের ডেভেলেপার এবং ব্লগার মাহবুব মোর্শেদ তাই এখানে আমার কোন ক্রেডিট নেই।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।