আর কটা দিন সবুর করো মরিচ বুনেছি..
'৭১ সালে পাকিস্তানের অখন্ডতার পক্ষে তথা, বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে গোলাম আযম-নিজামীই কেবল নয় এমন আরো অনেকেই ছিলেন যারা পরবর্তীতে শুধু এমপি মিনিস্টাটারই হননি, প্রধান মন্ত্রী-প্রেসিডেন্টও হয়েছেন। অতএব স্পষ্টই বুঝা যাচ্ছে ‘‘ডালমে কুছ কালা হ্যায়’’। খোদ রাষ্ট্রপ্রধানের সিদ্ধান্তে তিন যুগ আগে যে বিষয়টির ইতি ঘটানো হয়েছে সেই মৃত ইস্যুটিকে আবার বিচারের আওতায় আনার মাধ্যমে তাঁর সিদ্ধান্তের প্রতি অবমাননা করা হচ্ছে কি না তা ভাববার সময়ও যেন সরকারের নেই। এ ধরনের হঠকারিতার আরো একটা মারাত্মক ক্ষতির দিক এই যে, এর ধারাবাহিকতায় আগামী দিনেও বিচার ফয়সালাকৃত ইস্যু পুনর্বিচারের জন্য উত্থাপিত হতে থাকলে অবস্থাটা কি দাঁড়াবে? যেমন ধরুন সম্প্রতি ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের দায়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে পাঁচজনের ফাঁসি কার্যকর হয়ে গেল, ৩৫ বছর পর। ৫০ বছর পর এ ধারাবাহিকতায় এ মামলা যদি কেউ পুনর্বিচারের জন্য নতুন করে বিশেষ আদালত গঠন করে ‘‘তথ্য বিভ্রাট বা রায়কে প্রভাবিত করার অভিযোগে’’ এবং সে বিচারে বর্তমান রায়ের বিপরীত কোন রায় আসে তখন অবস্থাটা কেমন হবে? সুতরাং মাঠ প্রতিপক্ষ শূন্য অনুকূল ভেবে এক তরফা খেলে জয়লাভের যে স্বপ্ন ক্ষমতাশীনরা দেখছেন তা মাত্র একফলা বৃষ্টি বা ঝঞ্জা রায়ুতেই দুঃস্বপ্নে পরিণত হতে পারে বৈকি?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।