রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ চাই
কারো প্রতি আমার কোনো বিদ্বেষ নাই। তারপরও মিরপুরের বাঙলা কলেজের কোনো ছাত্রের মতামত পেলে খুশি হব। তাদের চিনেন কিনা জানাবেন।
গতকাল বিকেল বেলার ঘটনা। মিরপুর সুপার লিংকে উঠলাম আজিমপুর থেকে।
গন্তব্য শ্যামলী। আমার পাশে একটা ছেলে বসল। দেখে ভদ্রই মনে হলো, ছোট করে চুল ছাটা, একটা টুপি পড়া। হেল্পার ভাড়া তুলছিলো। সর্বনিম্ম ভাড়া ৫টা, শ্যামলী পর্যন্ত।
এরপর দুরত্ব ভেদে ১০ টাকা ও ১৫ টাকা।
ঐ ছেলে ( দেখতে ছোট খাটো, বয়স বেশী হলেও ২২-২৩ এর বেশী হবে না। ) বলল, সে ভাড়া পরে দিবে । হেল্পার তাড়া দিলে সে পরে বলে ভাড়াই দিবেনা। হেল্পার বলল, ভাই ৫টাকা হলেও দেন।
ঐ ছেলে এমন ভাব করল, যেনো কোনো কথাই সে শুনছেনা। হেল্পার মনে মনে কিছুক্ষন গজ গজ করল।
যাই হোক, আমি শিশুমেলাতে আসলে সিট থেকে উটে গেটে গিয়ে হেল্পারের কাছে জানতে চাইলাম আসল ঘটনাটা কি?
যা শুনলাম, তাতে আক্কেল গুড়ুম। ঐ ছেলে মিরপুর বাঙলা কলেজে পড়ে। মনে হয় কোনো নেতা কি তেনা হবে।
তাই ভাড়া দিবে না। এবং হেল্পার বাঙলা কলেজের ১৪ গুষ্টি ধরে কয়েকটাও গালি দিলো।
ব্যাপারটা আমার পছন্দ হলো না। সে ছাত্র কিংবা নেতা হিসেবে ৫টাকার ও সুযোগ নিচ্ছিলো। ঐ ছাত্রের জন্য (গেটআপ ও মোবাইলের মডেল দেখে মনে হলো) ৫টাকা কিংবা ১০ টাকা কোনো ব্যাপারই না।
মুষ্টিমেয় কয়েকজনের জন্য সমগ্র বাঙলা কলেজের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে ছাত্র সমাজের সুনাম।
কেনো এমন হচ্ছে? ছাত্র সমাজের এতো দুরঅবস্হা কেনো?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।