যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
ভ্যালপারাইসো যেতে সান্তিয়াগো থেকে দুইঘন্টা লাগে। প্রশান্ত মহাসাগরের পাদদেশে। পাহাড় ও সাগর মিলেমিশে অপূর্ব এক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য তৈরী করেছে। সবচেয়ে বড় কথা ঐখানে পাবলো নেরুদার একটা মিউজিয়ামে আছে - যেখানে তিনি ছিলেন সেই বাড়ীটাকেই যাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়েছে।
যেতে খুব ইচ্ছে করছে, কিন্তু টিকিট রিসিডিউলে প্রচুল ঝামেলা করতে হবে।
কোনো সালায় ইংরেজী বোঝে না। এস্পানিয়ো মানে স্প্যানিশ ছাড়া আর কোনো ভাষা এখানে চলে না। আমরা যেখানে আছি সেটাকে বলে সান্তিয়াগো সেনট্রো, মানে সান্তিয়াগো সেন্টার কিন্তু সেন্টার বললে কেউ বোঝে না, সেনট্রো বলতে হবে। এস্পানিয়ার্ডরা যে ইংরেজীকে লাথি মেরে ভাগিয়েছে বা মোটেও জায়গা নিতে দেয়নি সেটা একদম পরিষ্কার। বালের আমাদের ঔপনেবিশক থাকতে হয়েছে বলেই ইংরেজীর এত দাপোট।
এখন আবার বিবিসি ইংরেজী শেখানোর জন্য বাঙালিদের উপরে ঝাপিয়ে পড়েছে। কিন্তু দক্ষিণ আমেরিকার মত এত বড় একটা মহাদেশের মানুষ যে ইংরেজী শেখে নাই তাতে কোন অসুবিধা হয় নাই তাদের। শহরের প্রধান প্রধান জায়গায় ওয়াইফাই আছে, মেট্রো স্টেশন, সুপার মল, বার ইত্যাদি নানা জায়গায় ইন্টারনেটের অবাধ সংযোগ ও দ্রুত গতি।
তবে এটা ঠিক স্প্যানিশদের যেখানে কলোনী ছিলো সেখানে স্প্যানিশ ছাড়া কোনো উপায় নাই। দক্ষিণ আমেরিকার বেশীরভাগ দেশ স্প্যানিশ ঔপনেবেশিক ছিলো বলে এখানে এসপিনিয়োর আধিপত্য - শুধু আমদের উপমহাদেশের সাথে পার্থক্য হলো এই যে ভারতে বৃটিশরা বসতি স্থাপন করে নাই, শাষণ করেছে এবং স্বাধীনতা দিয়ে ভেগেছে আর দক্ষিণ আমেরিকায় স্প্যানিশ ভাষী লোক এসে বসতি স্থাপন করেছে এবং আদিবাসীদের তুলনায় তারা লোকবলে আধিপত্য স্থাপন করেছে - একমাত্র ব্রাজিল ছাড়া, কারণ সেটা ছিলো আবার পর্তুগীজদের কলোনী।
তবে ঘটনা ঐ একই।
পর্তুগিজ ও স্প্যানিশ ভাষার মধ্যে দারুণ মিল আছে। একে অপরের ভাষা বেশ বুঝতে পারে। পর্তুগিজ সারা যার সাথে আমি গতকাল চমতকার দিন কাটিয়েছি সে বললো ঘটনাটা। যেমন সে বললো পূর্বতিমুর ও ব্রাজিল সহ পর্তুগীজ নানা উপনিবেশ অঞ্চল সম্বন্ধে পর্তুগালের সমাজকর্মীদের বিশেষ আগ্রহ, সে এখন পূর্বতিমুরের জন্য কিছু করার চেষ্টা করছে।
সম্ভবত সারার সাথে আমি যোগ দেবো সেই প্রজক্টে - আমার লোকাল লেবেল এরিয়া ওয়েভের মডেলটা ওর দারুণ পছন্দ হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হলো জ্যানেট - ব্রাজিলিয়ান এই মেয়েটা কারিতাসে চাকুরী করে, একটু মনে হইলো ফাদারস এডভান্স, এইটারে ঝেটিয়ে খেদাতে হবে।
এনিওয়ে থাকবো কি থাকবো না দ্যাটস ইজ দ্যা মেইন কোশ্যেন নাও! সারা সোমবার যাচ্ছে ভ্যালপারাইসো, চিলির একটা বৃক্ষের নিচে বসে ভাবছি যাবো কিনা। বৃক্ষটির নামস আমি জানি না, তবে এই এক প্রজাতির আরভোল বা বৃক্ষই মনে হয় আছে চিলির সর্বত্র জুড়ে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।