বিশ্বটাকে সুন্দর করে সাজানোর জন্যই এত কথা বলি.. । এতকাল তো রুপকথার গল্পে মজার মজার দেশের কথা পড়েছেন, শুনেছেন। তেমনই এক মজার দেশের মজার মজার গল্প শুনাবো আপনাদের- তবে মনে রাখবেন, সে দেশটা রুপকথার দেশের থেকেও সুন্দর ও সব চরিত্র কাল্পনিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত।
সেদেশের এক মন্ত্রী সদ্য অন্য মন্ত্রণালয় থেকে বিতাড়িত হয়ে ডিজিটাল মন্ত্রণালয়ে যোগ দিলেন।
অফিসের প্রথম দিন- সবার সাথে পরিচিত হয়ে তিনি নিজের রুমে ঢুকলেন, এক ক্লাস ঠান্ডা পানি খেয়ে কম্পিউটারের দিকে ফিরলেন,
-একি! এর বোতাম গুলো সব উল্টাপাল্টা লাগানো কেন? কোন বেকুব এটি বানিয়েছে তাকে ৪৮ ঘন্টার মাঝে এনে ঠিক করানো উচিত।
মন্ত্রী প্রথমদিন অফিসে এসেই কি এমন কাজ করছেন তা দেখার জন্য তার জানালার সামনে কর্মকর্তারা ভিড় করতে লাগল। কারও সাথে কোন কথায় বলছেন না মন্ত্রী কাজের ঠেলায়। সবাই খুব খুশি হলেন তা দেখে।
কাজ শেষ করে যখন বাইরে আসলেন মন্ত্রী মহোদয়, তখন তার পিএস জানতে চাইলো,
-স্যার, এই মন্ত্রণালয়ে তো তেমন কোন কাজ নেই, আপনি কি এত করছিলেন মনোযোগ দিয়ে?
-কোন বেকুব কম্পিউটারের কি-বোর্ড আবিস্কার করেছে? ঠিক মত ইংরেজি বর্ণ গুলোও সাজাতে পারে না। তাই আমি সারাদিন বসে বসে কি-বোর্ডের বর্ণ গুলো সারিবদ্ধভাবে সাজিয়েছি
-এ............!
তো, সেই দেশে ছিলেন আরেকজন বিরাট ধনী মন্ত্রণালয়ের ধনী মন্ত্রী যার কাছে টাকা হল পানি ভাত।
গ্রামের এক স্কুল পরিদর্শনে গেলেন তার মন্ত্রণালয়ের এক অফিসার।
ক্লাসে ঢুকে এক ছাত্রকে জিজ্ঞেস করলেন বলতো, খোকা সোমনাথের মন্দির কে ভেঙ্গেছে?
ছাত্র বললো, আমি ভাঙিনি স্যার!
পরিদর্শক রেগে শিক্ষককে বললেন আপনার ছাত্র এ সব কী বলছে!
শিক্ষক নরম গলায় বললেন স্যার, আমি জানি ও মন্দির ভাঙার মতো ছেলেই না।
পরিদর্শক গেলেন প্রধান শিক্ষক এর কাছে নালিশ দিতে, আপনার ছাত্র শিক্ষক এসব কি বলছে তারা নাকি সোমনাথের মন্দির ভাঙেনি!
শিক্ষক বললেন জি স্যার আমি জানি আমার ছাত্র শিক্ষক এমন কাজ করতেই পারেনা।
পরিদর্শক রেগেমেগে গেলেন সেই মন্ত্রীর কাছে। ।
গিয়ে সব খুলে বলেন এবং স্কুলটাকে বাতিল ঘোষনা করতে বললেন।
মন্ত্রী বললেন,সামান্য একটা মন্দির ভাঙার জন্য এত কথা! টাকা নিয়ে যান নতুন একটা বানিয়ে দেন!!
সে এক আজিব দেশরে ভাই, দুঃভাগ্যক্রমে সে দেশে আরেকজন ভিতু মন্ত্রী ছিলেন, যিনি নড়াচড়া ভয় পেতেন।
তো তিনি যাচ্ছিলেন একবার বিদেশ ভ্রমণে। বিমানে তাদের সাথে যাত্রী ছিল এক মা ও তার ৫ বছরের বাচ্চা। বিমানটি যখন আকাশে আরামচে যাচ্ছে তখন বাচ্চা ছেলেটি বিমানের ভিতর দৌড়াদৌড়ি খেলতে লাগল।
উড়ন্ত অবস্থায় বিমান নড়াচড়া করে এটিই স্বাভাবিক, কিন্তু মন্ত্রী মহোদয় ভাবলেন ছেলেটির দৌড় খেলার কারণে বিমান কাপঁছে!
তিনি বাচ্চাকে ধমক দিয়ে বললেন,
-এই ছেলে বাইরে খেলতে যাও। বাইরে খেলতে পারো না!
মন্ত্রীদের সৌভাগ্য ছিল বলা যায়, কারণ তাদের দেশে যে বিরোধীদল ছিল বা যারা মন্ত্রীদের কাজের ভূল গুলো ধরিয়ে দিবে তারা তখন ছন্নছাড়া উটপাখি। নিজেদের বাঁচাতে গর্তে বসে থাকেন। আর দুষ্টু দুষ্টু বুলি আওরান। যেন ক্ষমতায় না যেতে পারলে দেশের জন্য কিছুই করার নেই, কিছুই দেখার নেই।
বাইরেই বের হওয়া ছেড়ে দিতে থাকলেন তারা।
তো তাদেরই এক নেতা অন্য আরেক নেতার বাসায় গেলেন দেখা করতে।
কলিং বেল টেপার পর ভিতর থেকে জানতে চাইলেন
-কে?
-আমি
-আমি কে?
-আপনি কে তা আমি কি করে জানবো!
তবে মজার ও আর্শ্চয্যের বিষয় ছিল, সে দেশের মানুষ গুলো খুবই রসিক প্রকৃতির ছিল। শুধু মজার সন্ধানে থাকতো।
মজা পাওয়ার জন্য এবং মজার স্বাদ পরিবর্তনে তারা ৫বছর পর পর নতুন দল নির্বাচিত করতো।
তারপর নিশ্চিন্তে মজা নিতো মজা মেরে।
এই মজা মারার দিন বেশি দিন মনে হয় টিকবে না সে দেশের মজাদার মানুষ গুলোর!
শোনা যাচ্ছে নতুন এক তরুণ দল তৈরি হচ্ছে, এরা কিছুতেই মজা পছন্দ করে না। উল্টা মজা দিতে এলে প্রতিবাদ করে বসে! কি সাংগাতিক কথা তাই না?
তারা মানুষ গুলোকে নিজেদের মাধ্যমে নিজেদের মজা দিতে উৎসাহিত করে।
সে দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার নয়, আলোকিত হবে বলেই মনে করেন সে দেশের বুদ্ধিজীবিরা, যদিও তারা নিজেরাও মজা পাওয়ার জন্য পাগল প্রায়, যে যেভাবে পারে মজা উঠিয়ে নিতে চায়।
দেখা যাক সে দেশের ভাগ্য কোন দিকে যায়!
বি:দ্র: আমি যে এতক্ষণ সে দেশ নিয়ে কথা বলেছি এটা কিন্তু কাওকে বলবেন না।
সেদেশের মন্ত্রী, মানুষ ও তরুণ সব বিষয় কাল্পনিক, কারও সাথে মিলে গেলে কাক-কোকিল তালিয় মাত্র। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।