বাধঁ জোড়ার আওয়াজ > With Great Power, Comes Great Responsibility
দলের খেলোয়াড় পরিবর্তন এত ঘন করা হয় না । যেভাবে ব্লগারা একের পর মনগড়া দল তৈরী করছে । তা না হলে নড়াইল এক্সপ্রেস, ধুতরাফুল, ঘুর্ণি তামিম, কপাল দাদারা এত চান্স পায় ন ।
আমার মতে কাপাল দাদা এত দুরন্ত খেলোয়াড় না তবুও রাখা হয় ।
আর ধুতরাফুলের সাহসের কারণে বলকে হিট করতে পারে ।
আর অবাক করা শট খেলে । কিন্তু সব সময় কি ভাগ্য সহায় হয়?
আর নড়াইল দাদা ভাল বলার(আন্তর্জাতিক মানের) তবে অসিদের রুখে দেওয়ার মত না । তবুও তাকে রাখা হয় ।
তামিমের অবস্থা ধুতরাফুলের মত । সাহস বেশী তবে টেকনিকে আর অভিজ্ঞতায় ধুতরাফুল এগিয়ে ।
এসব কারণেই দলে রাখা হয় আপনার এই মনগড়া দলের জন্য নয় ।
যদিও দলীয় বোঝাপড়ার একটা ব্যাপার আছে কিন্তু তা প্র্যাকটিস সেশনেরই একজন আরেকজনকে বুঝতে পারে সুতারাং বাড়তি এক সাথে বেশীদিন দলীয় বোঝা বনানো নিষ্প্রয়োজন ।
মনে রাখবান তারা মানুষ বৈ রবোট নয় যে, অনেকদিন একসাথে খেললেই জয় পাবে । সুতরাং কারেন্ট ও পূর্বের পারফরমেন্স বিবেচনা করা দল গঠন করা হয় ।
কাপালির সূচনা হয় যখন তার ডেব্যু হয় ।
যখন সে ৭মে নেমে ৮০ এর কাছাকাছি রান করে আর টেস্ট এ হেট্রিক করে । কিন্তু তার ব্যাটিং কিন্তু আহামরি নয় আর বোলিং অবশ্যই আহামরি নয় । এমনকি রাজ্জাকের বোলিং ও কাপালির থেকে অনেক ভাল । আশারাফুলের গুগলিও ভয়ংকর শতগুনে কাপালির থেকে ।
আর আজকাল ৫০ আর ২০ বলি দুইটাইতেই দরকার চৌকস হিটার ।
পাওয়ার প্লে এর বদৌলতে । সুতরাং সেখানে মুশফিক আনফিট তবে তবুও সে মাঝেমাঝে সাহস করে শট খেলে । মূল কথা অকুতোভয় হয় হতে হবে মাশরাফির মত । মাশরাফি হিট করে উড়া ধুড়া নির্ভীকভাবে , তেমনি খেলে আশরাফুল আর তামিম আর নাফিস আর সাকিবও । সে কারণেই তাদের দলে প্রায়ই রাখা হয় ।
আমি যে ফরমেট দিলাম নিচে । তা কারেন্ট ও পূর্বের পারফরমেন্স বিবেচনা করে দল গঠিত ।
৫০ ওভার ও ২০ ওভার ম্যাচ এর জন্য প্রযোজ্য !
শুধু ব্যাট হাতে (। )
শুধু বল হাতে (০)
এবং অলরাউন্ডার(। ০।
)
বিশেষ যারা মাঝে মাঝে বল নিয়েও জ্বলে উঠে (*০। )
বিশেষ যারা মাঝে মাঝে ব্যাট নিয়ে জ্বলে উঠে (/০)
১/ তামিম ইকবাল(। )
২/ শাহরিয়ার নাফীস বা জুনায়েদ (। )
৩/?আফতাব আহমেদ(। ০।
) {ইমরুল কায়েস (। ) শুধুই ব্যাটসম্যান } অথবা (নাঈমকে(*০। ) নামিয়ে দেখা যেতে পারে **)
৪/ আশরাফুল (*০। )
৫/ সাকিব (। ০।
)
৬/? মাহমুদুল্লাহ (। ০। ) {ইমরুল কায়েস (। ) } অথবা (নাঈমকে(*০। ) নামিয়ে দেখা যেতে পারে **)
৭/ মুশফিকুর রহিম {কিপার(।
)} (জহিরুল ইসলামকেও সুযোগ দেওয়া যেতে পারে**)
৮/ মাশরাফি (/০)
৯/ রাজ্জাক (০) (জুনিয়র এনামুলকে(০) আবার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে**)
১০/? শাহাদাত (০) {জুনিয়র এনামুলকে(০) আবার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে** যখন স্পিন ভিত্তিক দল গঠিত হবে তখন ২য় স্পিনার হিসেবে}
১১/রুবেল (০) {শাইফুল ইসলাম(০) কে নামিয়ে দেখা যেতে পারে}
উপরের দলটি তে আমরা চোখ বুলালে দেখতে পারব যে ৬ জন ব্যাটসম্যান আছে যার মধ্যে ৩ জন অল রাউন্ডার । একজন উইকেট কিপার তার + পয়েন্ট সে একজন নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান । ৪ জন বোলার যার মধ্যে সেখানে ১ জন স্পিনার আর ৩ জন পেসার । আমার দল গঠন মূলত আক্রমনাত্নক ব্যাটিং ও পেস এ্যাটাক নিয়ে । কিন্তু এতে দুইজন অলরাউন্ডার আর অনিয়মত বোলার আশরাফুল আছে যাতে স্পিন ভিত্তিক আক্রমন চাইলে রচনা করা যাবে আর তাতে সহায়তা করবে স্বীকৃত স্পিনার রাজ্জাক।
আর যদি স্পিন ভিত্তিক দল গঠিত হয় তাহলে ১০/ শাহাদাত এর স্থলে জুনিয়র এনামুলকে আবার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে ২য় স্পিনার হিসেবে । আর যদি পেস এ্যাটাক করা হয় তাহলে আফতাব অলরাউন্ডার হিসেবে মিডিয়াম পেইস করতে পারে । তবে তার মিডিয়াম পেস তেমন আক্রমনাত্নক নয় । আমাদের সবচেয়ে ভাল দিক হল আমাদের দল অলরাউন্ডারে পরিপূর্ণ । স্কোয়াড অনুযায়ী ,যেমন: ভাল করে ব্যাট ধরতে পারবে ৮ জন আর বল ধরতে পারবে ৮ জন আর উভয়ই ধরতে পারবে ৫ জন ।
** নাইম তার ৩৪ ম্যাচে মাত্র একটা (১)টি অর্ধ শতক করে! সুতরাং তাকে দলে রাখা ঠিক হবে কি না তাই প্রশ্ন । তবুও সুযোগ দেওয়া যাবে ।
? ৩, ৬, ১০ পজিশনগুলো পরীক্ষামূলক খেলোয়াড়দের জন্য
ওয়ানডে ম্যাচে শাহাদাত পায় ৪৬ ম্যাচে ৪২ উইকেট আর রুবেল ১৫ ম্যাচে ১৫ উইকেট । আর উইকেট ভিত্তিক রানের এভারেজও প্রায় একই সুতরাং দুইজন একই ধাচের খেলোয়ার । পরিস্যাংখান তাই বলছে আর এদিকে শাইফুল ইসলাম ৮ ম্যাচে ১১ উইকেট পান ।
ওয়ানডে ৩৪ ম্যাচে ৪৯৪ রান করে (১৩ ছক্কা আছে যা তাকে হার্ড হিটার এর পরিচয় দেয়)নাঈম আর ইমরুল কায়েস ১৩ ম্যাচে ৪০৯ (৩৯ বাউন্ডারী আছে যা তাকে হার্ড হিটার এর পরিচয় দেয়) তাই তাকেও সমান ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে । পাথ্যর্ক হল ইমরুল শুধুই ব্যাটসম্যান আর নাঈম সাথে পার্ট টাইম বলার !
কিন্তু আমাদের দরকার খেলোয়াড় তৈরী করা । থানা ভিত্তিক পেসার হান্ট, স্পিনার হান্ট, হার্ড হিটার তৈরী করতে হবে । এর জন্য সময় প্রয়োজন তাই দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়া উচিত । শুধু স্পিড দিয়েই বোলার সিলেকশন করা উচিত নয় বরং তার সুইং করানোর ক্ষমতা ঠিক জায়গায় পিচ করানোর উপরও খেয়াল রাখা উচিত ।
কেননা ঠিক পিচের পজিশনে বল ফেললে সাধারণ একজন স্পিনারও ভয়ংকর হয়ে উঠে তা পেসের জন্যও প্রযোজ্য আর তাই পেসার হান্টার নামে যে স্পিডার হান্টার না করা হয় । ঠিক সেই রকমই হার্ড হিটার মানে ভাল খেলোয়াড় নয় বরং তাকে ক্রিজে থাকতে হবে । রান কে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এজন্য দরকার ধৈর্য । তাই সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে ।
আমাদের ব্যাটসম্যান এর অভাব নাই ।
তাই এই পরিসংখ্যান তাইই দেখা যাচ্ছে । তবে বাংলাদেশ ২০১০ টি২০তে অসিদের বিরুদ্ধে কিভাবে আউট হয় প্রথম সারির ব্যাটসম্যান গুলো তাও ভাবিয়ে তুলে । তাই ব্যাক আপ হিসেবে আমি মিডল অর্ডারকেও শক্তিশালী করে তুলেছি । তবে আমাদের বোলিং লাইন খুবই দুর্বল যদিও আমরা স্পিন এ্যাটাক এ মোটামোটি আছি তুলনায় পেস এ্যাটাক অনেক খারাপ যদিও ম্যাশ কিছুটা হলেও হাল ধরেছে । কিন্তু আমাদের উচিত আরো মানসম্মত বোলার তৈরী করা ।
তবে নাফিস ইকবালকে অনেক মিস করছি যে অনেকটা আফতাবের মতই অলরাউন্ডার ।
>অলোক কাপালিকে আমি টেস্টের মনোনীত করছি কারণ Click This Link
যদিও সে একজন লেগ স্পিনার কিন্তু সে অবশ্যই রাজ্জাকের বা এনামুল হক জুনিয়র এর জায়গা নিতে পারবে না অথার্ত তাদের তুলনায় সে পিছিয়ে । ব্যাটিং এর ক্ষেত্রেও তার এই দীঘ ধৈর্যশীলতা টেস্ট এর জরুরী কিন্তু ওয়ানডেতে বা টি২০তে অবশ্যই না । তাকে মুশফিকের জায়গায় রাখা যেতে পারে কিন্তু সেই জায়গাটি উইকেট কিপার এর । এখন যদি প্রশ্ন করা হয় কেন অলোক কে রাখব না?ওয়ানডে বা টি২০ স্কোয়াডে তাহলে উত্তর হবে যে, স্কোয়াডে স্পিনার দরকার কিন্তু বর্তমান স্পিনারদের তুলনায় অলোক দুবর্ল ৬৫ ওয়ানডেতে মাত্র ২৪ উইকেট ! আর যদি বলেন সে একজন অলরাউন্ডার তাকে আমরা অলাউন্ডার হিসেব রাখতে পারি তাহলে তাকাতে হবে ব্যাটিং এর দিকে যা ৬৫ ম্যাচে ১১৭০ রান ।
হাজার রান তবে আমার তৈরী স্কোয়াডে প্রথম ৫ জনের ব্যাটিং লাইন আবশ্যই অলোকের থেকে অনেক গুনে ভাল । অল রাউন্ড ফিগারও । তবে ৩য়, ৬ষ্ঠ, ১০ম ফিগারকে রাখা হয়েছে শুধু মাত্র নতুনদের জন্য । সেখানেও রাখা যাবে না । কারণ সে নতুন নয় বরং যথেষ্ট পুরনো ।
এখনে ইমরুল, মাহমুদুল্লাহ, নাঈম, তুলনায় নতুন ।
আমি টেস্ট এর জন্য স্কোয়াড প্রকাশ করতে পারছি না কারণ এর জন্য দীর্ঘ ডাটা পর্যালোচনা করতে হবে । সেই তুলনায় ওয়ানডে আর টি২০ সহজ ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।