উন্নত দেশে ব্যক্তি স্বাধীনতা
টরন্টো থেকে হংকং উড়ে আসার পথ ১৫ ঘন্টা। পনের ঘন্টা উড়ু পথ ইকনমি ক্লাশে একটু কষ্টেরই বটে। সময় কাটানো আর ঘুমানো নানা উপায় বের করতে হয়। তাই সময় কাটানোর জন্য উড়ু জাহাজের প্রবেশ পথে দুটো ইংরেজী দৈনিক নিয়েছিলাম। তার একটি ছিল সম্ভবত নিউইয়র্ক টাইমস ফাইনান্সিয়াল এক্সপ্রেস বা ঐ ধরনে কিছু একটা।
ঐ পত্রিকার প্রথম পাতায় যে সংবাদটা পরিবেশন করা হয় তার শিরোনাম পড়ে তো রীতিমত থ হয়ে গেলাম।
নাক বোচা অধিকাংশ যাত্রীদের দ্বারা উড়ু জাহাজ পরিপূর্ণ। ক্যরী লাগেজ গুলো উপরের কম্পার্টমেন্টে রাখতে সকলের হিমসিম খেতে হচ্ছে। একটি বিষয় খুব ভাল করে নজরে পড়ল। এই চিনি এয়ার হোস্টেস গণ লম্বায় একটু খাটো হলে কি হবে।
উপরের কম্পার্টমেন্ট গুলো লাগেজ ভরে দিতে নিজে সীটের স্টীল ফ্রেম এ দাড়িয়ে উচ্চতার স্বল্পতাটুকু কমিয়ে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে আর সবগুলো উপরের কম্পার্টমেন্টগুলো মেয়েদেরকেই গুছিয়ে হ্যন্ড লাগেজগুলো রেখে বন্ধ করে দিচ্ছে। অবশ্য বিমানের মেয়েদের এভাবে কাজ করতে এখনও দেখিনি।
উড়ু জাহাজ টেক অফ আর ল্যন্ডিং এর সময় আমি মনে মনে সব সময় সৃষ্টিকর্তাকে বিশেষভাবে স্মরন করি এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি ঐ সকল উড়ুজাহাজী প্রকৌশলীদের যারা এটা ডিজাইন করে এত বড় দৈত্যকে আকাশে উড়তে ও নামতে সাহায্য করেছেন। এবং ইন্সট্রুমেন্টাল ল্যন্ডিং প্রকৌশলীদের কাছেও কৃতজ্ঞ যারা এর মাধ্যমে রাতের অন্ধকারে একটি বিমানকে অবতরনে সাহায্য করেন।
টেক অফ এর পাঁচ কি ছ মিনিট পর পত্রিকার ভেতরের পাতায় আসল সংবাদ পড়ার জন্য মেলে ধরলাম।
সারাংশ হোলঃ যেহেজু চীনাদের সংগ এই এলাকার বানিজ্য ভবিষ্যতে বাড়তেই থাকবে, প্রাইমারী স্কুলে ম্যন্ডারিন ভাষা শিক্ষা চালু করেছে ইন্দোনেশিয়ার ঐ প্রদেশ। এতে করে দশ বছর পর চীনাদের সংগে বানিজ্যে এদের অসুবিধা হবে না।
আমরা কি এ বিষয়ে কিছু করছি?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।