http://www.facebook.com/Kobitar.Khata
আমার বন্ধু জা:চৌধুরী। এক কথায় ভাল ছেলে বলতে যা বুঝায় তার সব গুন ওর মধ্যে আছে। ছাত্র হিসেবে খুবই ভাল ছিল, কেউ কখনও বলতে পারবে না সে কারো সাথে কখনো উচু গলায় কথা বলেছে বা কারো সাথে কোন খারাপ ব্যবহার করেছে। এমনকি সে এত বেশীই ভাল যে জীবনে তাকে কোন খেলাধুলায় অংশ নিতেও দেখিনি। আর কোন মেয়ের দিকে চোখ তুলে তাকানোর তো প্রশ্নই আসে না।
একদিন শুনলাম সেই জা:চৌধুরী প্রেমে পড়েছে। শুনে ভালই লাগল। যাক শেষ পর্যন্ত ছেলেটি “মানুষ” হলো। মেয়েটির সাথে তার পরিচয় বিসিএস পরীক্ষা দিতে এসে। যাহোক, তাদের দিনগুলো ভালই চলছিল।
মেয়েটি ঢাকার বাইরে থাকে বলে যোগাযোগের মাধ্যম মোবাইল ফোন। প্রযুক্তির কল্যানে এখন আর কেউ দূরে নয়। তারাও দূরে ছিল না। প্রতিদিন মোবাইলে কথা হতো। ঘর বাধার স্বপ্ন দেখা হতো।
প্রথম সন্তান ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে এবং তাদের নাম কি হবে তা নিয়ে খুনসুটি হতো। এভাবে দিন যাচ্ছিল। একদিন মেয়েটি ফোন করে বলল “জা:চৌধুরী, আমাকে ক্ষমা করে দিও। বাবা মায়ের কথা ফেলতে পারলাম না, তাই বিয়েটি করে ফেলতে হলো। ” শুনে তো জা:চৌধুরী আকাশ থেকে পড়ল।
মেয়েটি বলে কি!! তারা না দুজন ২দিন আগেও কত লাল, নীল, বেগনী স্বপ্ন দেখেছিল? সেই স্বপ্নের কি হবে? জা:চৌধুরী হতাশায় মুষড়ে পড়ে। কাউকে বলতেও পারে না পরাজয়ের লজ্জায়। পরে শুনতে পায় মেয়েটি যে বলেছিল বাবা মায়ের চাপে বিয়ে করেছিল তা ঠিক নয়। সে সেচ্ছায় সেই বিয়ে করেছিল। কারণ ছেলে ছিল উঠতি শিল্পপতি।
পরে আমার বন্ধুটি দুঃখ করে বলেছিল আমার ভালবাসা টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। একজন শিল্পপতির সাথে কি আর আমার মতো ছেলে ভালবাসার বাজারে টিকতে পারি?
আমাদের দেশের মেয়েদের মধ্যে পাত্রের যোগ্যতার মাপকাঠি হলো কার পকেটে কেমন মাল আছে। সেই মেয়েটিও হয় তো তেমনই ছিল। জা:চৌধুরী বিসিএস এর চেষ্টা করছিল, যদি টিকে যেত তাহলে সে মাসে কয় পয়সা রোজগার করতে পারত? হয় তো সম্মান পেত। কিন্তু সম্মান দিয়ে কি হবে টাকাটাই মূল কথা, মেয়েটি হয় তো এমনটিই ভেবেছিল।
যা বেশিরভাগ মেয়েই ভাবে।
** সব মেয়ে কিন্তু এমন নয়। তবে আমার ধারণা ৯০ ভাগ এমন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।