পর্ব : ১*০= ০
যাহা বলিব তাহা সত্য বলিব, সত্য বই মিথ্যা বলিব না। কিন্তু বঙ্গদেশে সত্য বলাটা খানিক বিব্রতকর, শাস্তিযোগ্য অপরাধ ও বটে। দেশের মহান চেয়ারগুলোতে যে সব রথি মহারথিগুলান বসে আছেন, ত্যানারা আমাদের মত শুদ্রদের ভাগ্য বিধাতা হিসেবে নাজিল হবেন আজ বা কাল। তাই তাদের বিরুদ্ধে বলা, বেয়াদবি করা খানিক ঝুকির ও! দেশ আজ পালে পালে বুদ্ধির বাটখাড়াদের জন্ম দিচ্ছেন, যারা সব জানেন, সব বোঝেন। আর তারা দেশের মিডিয়া মার্কেট, সাহিত্য মার্কেট, সংস্কৃতির হাট, ছাগল উৎপাদন কেন্দ্র (বিশ্ববিদ্যালয়)সমূহ দখল করে রাখছেন।
এক মুরব্বি বুজুর্গ টাইপের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার তো এখন পশ্চিমা সাহিত্য বঙ্গীকরনে মাস্টারপিস হয়ে উঠছেন। তারা পরামর্শ বাতলান, হে মূর্খ বঙ্গবাসী, তোমরা লালন বোঝো না। লালন কে বুঝতে হলে তোমাদেরকে লাকা পড়িতে হইবে। যে লাকাকে জানিবে না, সে লালনকে বুঝিবে না। কই, আমার বাউল, চায়ের দোকানদার তো লাকাকে চেনে না, কিন্তু লালন শুনতে শুনতে সে তো মগ্ন হয়ে যায়।
হয়ত বুজুর্গের মতে কৃষকেরা সব মুর্খ গোয়ার, চায়ের দোকানদারেরা হাবিজাবি নইলে মহাত্মা লালনকে এই রকম আসমানি বয়ানের আলোকপাত কেন। দেশীয় জ্ঞানকান্ডের মাথায় এখন পশ্চিমকে না ঝুলাইলে ব্যবসাটা জমে ওঠে না। তাই নব্য প্রজেক্ট আনো আর দেশীয় জ্ঞানকান্ডের পোঁদে পশ্চিমকে ঢুকাই দিয়া বেতন বাড়াও। চেয়ার আরোহন সহজতর কর। (চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।