ঢ
চোখের সামনে অনেক কিছুই ঘটে যায়। অনেক কিছু দেখেও না দেখার মত করে চলে যাই। সবাই যায়। আমিও যাই। আজ আর যেতে পারলাম না।
ফুটফুটে দুটো বাচ্চাকে ওভার ব্রীজের ওপর শুয়ে থাকতে দেখে চোখ আটকে গেল। এটি নতুন নয় বটে। দু' সপ্তাহ আগেও এই শিশুদের দেখেছি । আজকের দেখায় আমার চোখে বাচ্চারা অনেক শুকিয়ে গেছে আগের তুলনায়।
মরিয়মের বাড়ি ময়মনসিংহে।
বুদাপুর থানা। কৈলাসপুর গ্রাম। বাচ্চা দুটোর মা সে।
আমার সংগে কথা বলতে চায়নি প্রথমে । বেশ লজ্জিত সে।
স্বমী অসুস্থ। বাচ্চাদের এবং মরিয়মকে দুমুঠো ভাত জোগাড় করে দিতে পারে না মরিয়মের স্বামী। তাই সে ঢাকায় এসে আশ্রয় নিয়েছে।
আমার একটি প্রশ্ন ছিল এইরকম, ' আপনি কাজ না করে ভিক্ষা করছেন কেন?'
'কী করব। এটি করেই ৪ ছেলে ২ মেয়ে শিশুদের খাবার জোগাড় করি।
' বুঝলাম তার আরো ক'টা বচ্চা আছে।
মরিয়ম জানাল কাজ সে করতে চেয়েছিল কিন্তু একমাস কাজ করার পর মাত্র ৪ বা ৫ শ টাকা দেয় মানুষ। এই টাকা দিয়ে আমি কী করব?
'থাকেন কোথায়? ব্রীজের ওপরেই?'
'না শনির আখড়া থাকি '
মরিয়মের সংগে আর কথা বলে তাকে আরো লজ্জা দিতে ভাল লাগছিল না। এইসব শুনে আমি কীইবা করতে পারবো। ভেবেছি আমার দেশ তার সন্তানদের এভাবেই বোঝা বানিয়ে ফেলল।
এসব কি আমার এবং আপনার জন্য লজ্জা নয়?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।