বুধবার দুপুরে মিরপুর ১০ নম্বর থেকে তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ বলছে, অনুমতি না নিয়ে সমাবেশ করতে চাওয়ায় তাদের আটক করা হয়েছে। ‘ভুল’ স্বীকার করে মুচলেকা দিলে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে।
সরকার সম্প্রতি বলেছে, জানমালের ক্ষয়ক্ষতি, নিরাপত্তাহীনতা কিংবা নাশকতার আশঙ্কা থাকলে সভা-সমাবেশের কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেবে না সরকার।
কার্যত সমাবেশ নিষিদ্ধের এই পদক্ষেপ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে।
বাম মোর্চা বলছে, জোটের নেতা-কর্মীদের আটকের মধ্যদিয়ে সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাবেরই প্রকাশ ঘটেছে।
আটক সাইফুল হক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং জোনায়েদ সাকি গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক।
আটক অন্যরা হলেন- বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা আবু বকর রিপন, হারুনুর রশিদ মাহমুদ, বাসদের কিরণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন মাসুদ, সাদিক রেজা, মোর্শেদ জাহান মিথুন, পরিবহন শ্রমিক নেতা খায়ের, রঞ্জন প্রমুখ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর অঞ্চলের উপকমিশনার ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, অনুমতি না নিয়েই সমাবেশ করতে চেয়েছিলো বাম মোর্চা। সমাবেশ না করার অনুরোধ করা হলেও তারা শোনেনি।
“দুপুর আড়াইটার দিকে হঠাৎ করেই তারা বিকাল সাড়ে ৪টায় মিরপুর ১০ নম্বরে সড়কে পথসভা করবে বলে ঘোষণা করেন। এজন্য তারা পুলিশের কোনো ধরনের অনুমতি নেননি। ”
আটক সবাই মিরপুর মডেল থানায় রয়েছেন। পুলিশ কর্মকর্তা ইমতিয়াজ বলেন, “তারা ভুল স্বীকার করে মুচলেকা দিলে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে। ”
নেতা-কর্মীদের আটকের নিন্দা জানিয়ে বাম মোর্চার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জ্বালাও-পোড়াও-ভাংচুর-সহিংসতা বন্ধের অজুহাত তুলে সমাবেশ বন্ধের যে ঘোষণা দিয়েছেন, তা মূলত জনগণের টুঁটি চেপে ধরারই অপতৎপরতা।
”
বামে মোর্চা অবিলম্বে নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।