গোধুলি ভালবাসায় ভিজে একসারা একাকী একজন।
বৃষ্টিধোয়া বিকেল। এক মুঠো রোদ ছড়িয়ে পড়েছে নদীর দুই তীরে। বৃষ্টিতে ভিজে চুপসে গেছে মানুষ গুলো। মুখ বেজার করে গজগজ করতে করতে যাচ্ছে লোকগুলো।
আকস্মিক বর্ষনে শুধু খুব খুশী যেন প্রকৃতি। আর আমিও। প্রবল ঝড় বৃষ্টি আমার খুব ভাল লাগে ঐ সময়ে যেখানেই থাকি না কেন বৃষ্টি আমার ছুঁয়ে দেখতেই হবে। যদি একান্তই ভেজার সুযোগ না থাকে। খুব একা লাগে সারাক্ষণ।
এই নিঃসঙ্গতার রঙ একটু ফিকে হয় যখন এমন অঝরে বৃষ্টি ঝরে। চুপচাপ বসে আছি । কান পেতে শুনছি নদীর কলকল শব্দে ছুটে চলা। আর বুক ভরে নিচ্ছি বিশুদ্ধ বাতাস। ভাল লাগছে।
ভেজা শরীরে হাল্কা শীতশীত ভাব। গোধুলীর আলো মেখে দুরের আকাশ যেন সেজেছে অপরুপ সাজে। মুগ্ধ চিত্তে দু' চোখ ভরে দেখছি।
ইচ্ছে করছে কবিতা লিখি। গাই কোন রবীন্দ্র সঙ্গীত।
আজ আমার মন খুশী তাই অনেক কিছুই ভাবছি। অন্য সময় মনটা কচ্ছপের খোলসের ভেতর যে ঢুকে থাকে হাজার চেঁচামেচি করলেও সাড়া দেয় না।
"আচ্ছা বল তো এখন ঠিক কি করা উচিত ? কবিতা নাকি গান?
ও কি হাসছো কেন? বল না কবিতা নাকি গান?
উমম...কোনটাই না। চুড়ির রিনিঝিনি শব্দে সে বলল ওই যে দেখা যায় দিগন্ত। চল ওখানে যাই।
চল যাই।
জানতে চাইলে না তো কি করে ওখানে যাব...তার গলায় রহস্যের সুর।
হেসে বলি ' কিচ্ছু জানতে চাই না শুনতেও না তুমি শুধু বল দিগন্তকে তোমার পায়ের কাছে এনে দিই। '
তাই? তবে তাই হোক । আমি দিগন্তকেই চাই এনে দাও।
"
খুব হেসেছিলাম সেদিন। না দিগন্তকে এনে দিতে পারিনি আমি । সেই ব্যর্থতায় আজ ও লজ্জিত। আমার অপারগতা তার বুঝি সহ্য হয়নি। আমার জন্য এক নদী জ়ল আর দিগন্তে ডুবতে থাকা সুর্যকে পেছনে ফেলে একদিন সে চলে গেল।
এই নদী চুপচাপ দেখেছে সেদিন সবই। যাবার সময় শুধু বলেছিল বৃষ্টি ভেজা এক বিকেলে সে ফিরে আসবে এখানেই।
নদী যেন খুব হেসেছিল পরিহাসের হাসি। সীমাহীন নিঃসঙ্গতা বুকে নিয়ে বসে থাকি। সে ফিরে আসেনি...
এমন বিকেল গুলোতে তাই যেখানেই থাকি না কেন আমি সব কিছু ফেলে ছুটে আসি এই নদীর কাছে।
কান্নায় গলা বুজে আসছে...।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।