আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই নির্বাচন কমিশন কে 'না' বলুন...



১/১১ সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন কারনেই তার নিরপেক্ষতা হারিয়ে ফেলেছে অনেক আগেই। ১/১১ সরকারের সময় মেজর হাফিজকে আলোচনার চিঠি দিয়ে বি এন পি র ভাঙ্গনকে প্রভাবিত করা থেকে শুরু করে, বিভিন্ন কথা বার্তায় আওয়ামী লীগের প্রতি তার দূর্বলতা প্রকাশ করা (যেমনঃ আওয়ামী প্রতিনিধিদের তিনি বিগলিত হয়ে একবার বলেছিলেন আপনাদের জন্যেই তো আমরা এই সরকার (১/১১) পেয়েছি), ভোলাতে বি এন পি প্রার্থীর অভিযোগ স্বত্ত্বেও যোগ্যতাবিহীন প্রার্থীকে আওয়ামী দলের পক্ষে অনুমোদন দেওয়া এবং পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে তাদের অনিয়ম ধরা পড়া ইত্যাদি বিভিন্ন কারনেই বর্তমান নির্বাচন কমিশন বিতর্কিত হয়ে পড়েছে। সর্বশেষ সংযোজন ভোলা-৩ উপনির্বাচনের প্রহসন। বিরোধীদলের প্রার্থী বা কেন্দ্রীয়ভাবে করা বিভিন্ন অনুরোধ এবং দাবীর কোনটাই তারা শেষ পর্যন্ত রাখে নাই এবং বলার বা বোঝার অপেক্ষা রাখেনা যে তা করা হয়েছে নির্বাচনে কারচুপি করার সুবিধার্থে। এমনকি সেনা মোতায়েন সম্পর্কে সি ই সি ইসলাম ধর্মকে অবমাননা মূলক কথা পর্যন্ত বলেছে।

এরপর বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া তে ভোটের কারচুপি ও অনিয়মের তথ্য প্রকাশিত হলেও এই নির্বাচন নাকি তাদের কাছে সুষ্ঠু হয়েছে। আমি জানিনা দেশবাসীকে (আওয়ামী কট্টর সমর্থক ছাড়া) তারা আবাল মনে করে কিনা কিন্তু এই উপ-নির্বাচন তাদের কাছে যদি সুষ্ঠু হয়ে থাকে তাহলে আর বোঝার অপেক্ষা রাখেনা তাদের তত্ত্বাবধায়নে ভবিষ্যতের নির্বাচন কি হবে?? তাদের খুব সৌভাগ্য যে দেশে এখন বিরোধী দল বি এন পি যারা রাজপথের মার-মার, কাট-কাট রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের মত পারঙ্গম না। আজ এখানে আওয়ামী লীগ হলেই দেখা যেত এতদিনে কয়টা ভলভোতে আগুন লাগতো আর নির্বিচারে হরতাল-ভাংচুরের রাজনীতি করা হতো। বড় বড় বিজ্ঞ/সুশীল/গুনীজনেরা রাজনৈতিক দলদের সহিস্নু হতে বলেন কিন্তু কখনো তুলনামূলক বিচার করে বলেন না কারা সহিস্নু আচরণ বেশি দেখায়। আর সহিস্নুতা দেখানোর উপহার হলো ভোলা-৩ উপনির্বাচনের অস্বাভাবিক ফলাফল।

আর বি এন পির ও বোঝা উচিত তার দলের নেতৃস্থানীয় পোস্টগুলো কি পরিমাণ সুবিধাবাদি দিয়ে ভরা, কেউ মাঠে নামার সাহস পায়না বরং দেশের এই পরিস্থিতিতেও কে মহানগরীর দায়িত্ব পাবে (উদাহরন) তা নিয়ে স্নায়ুযুদ্ধে পড়ে থাকে। যাই হোক, শোনা যাচ্ছে ৫ ই মে র রাজশাহী মহাসমাবেশ থেকে বিরোধী দলের নেত্রী সরকার পতনের ডাক দিতে পারেন। এটা একটা দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক প্রক্রিয়া এবং এতগুলো আসন পাওয়া আওয়ামী লীগকে এত সহজে সরানো যে সুবিধাবাদী বি এন পি নেতা-কর্মী দের নিয়ে একটা অসম্ভব কাজ হবে সেইটা বুঝতে খুব কষ্ট হয়না কারন ১৯৯৬-২০০১ এ বি এন পি আরো শক্ত বিরোধী দল হয়েও আওয়ামী লীগকে ৫ বছরের এক দিন আগেও নামাতে পারেনি। তারপরও শুভ কামনা রইল বি এন পি সরকারবিরোধি আন্দোলনের জন্যে যদি তা গনমূখী হয়। কিন্তু এখন যেটা সবচেয়ে বেশি জরূরী তা হলো এই নিকৃষ্ট নির্বাচন কমিশনকে সরানো।

সেই আন্দোলনই ত্বরান্বিত করা উচিত। ৩ মে নাকি নি/ক অভিমূখে বি এন পি র যাত্রা আছে এবং অবশ্যম্ভাবীভাবে এই যাত্রা কে শাহবাগের আগেই কোথাও থামিয়ে দেয়া হবে এবং সি ই সি দের ...ও ছেড়া যাবেনা তা দিয়ে। চাই আরো শক্ত আন্দোলন...এই সি ই সি সহ নির্বাচন কমিশন আর না.....কারন ভোলা নির্বাচন সম্পর্কে তার উক্তি ছিলো "স্বয়ং আল্লাহ নেমে আসলেও নাকি কিছু করতে পারবে না" তাইলে তো তাকেতো আরো দরকারই নাই। তাই আসুন সবাই মিলে এই নির্বাচন কমিশন কে 'না' বলি...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।