বই পড়া, ভ্রমণ আর কৃষকদের নিয়ে থাকা; এ-ই আমার ছোট জীবন। *সমস্যা: আমি মুরগি পালন করতে চাই, প্রথমে কি করকে হবে জানাবেন।
*সমাধান: মুরগি পালন ছোট পরিসরে না বড় পরিসরে করবেন তা বলেন নি, যদি বাণিজ্যিক ভাবে বড় পরিসরে মুরগি পালন করতে চান তবে, প্রথমে অভিজ্ঞ লোকের সাথে কথা বলতে হবে অথবা কোনো যুব উন্নয়ন থেকে ট্রেনিং নিতে হবে অথবা উপজেলা পশু সম্পদ অফিসের সাথে যোগাযোগ করে সঠিক পরামর্শ নিতে হবে।
*সমস্যা: মুরগির বাচ্চা হয় এবং বাচ্চা অবস্থায় বাচ্চার চোখে ফোট আকৃতি হয় চোখ বন্ধ হয়ে পরে মাড়া যায়।
সমাধান: অসুস্থ্য মুরগীকে আলাদা করে রাখতে হবে।
আক্রান্ত মুরগীকে ফাউল পক্স ভেক্সিন (বোতলেরে সাথে নির্দেশিকা মোতাবেক) দিতে হবে।
*সমস্যা: দেশী মুরগী (৫-৭ টি) খাবার খায় না, নাক দিয়ে পানি পরে, ঝুটিতে পক্স হয়েছে, শ্বাস কষ্ট আছে , হাল্কা চুনা পায়খানা করে, করনীয় জানাবেন।
সমাধান: ডক্সিভেট/টাইরোসেফ আধা কেজি সমপরিমান ভাতের সাথে ৫-১০ গ্রাম ঔষধ মিশিয়ে রোগাক্রান্ত মুরগীগুলোকে খাওয়াতে হবে। অথবা রেনামাইসিন টেব্লেট (২ টি) আধা কেজি সমপরিমান ভাতের সাথে গুরা করে খাওয়াতে হবে।
*সমস্যা: মুরগী জিমায়, চুনা চুনা পায়খানা করে, অবশেষে মারা যায়।
করনীয় জানাবেন।
সমাধান: রেনামাইসিন ১ লিটার পানির সাথে ১ গ্রাম হারে মিশিয়ে পরপর ৫ দিন খাওয়াতে হবে।
*সমস্যা: মুরগী চোখে গুটি, চোখ ফুলে বন্ধ হয়ে গেছে। করনীয় জানাবেন।
সমাধান:
১. পভিসেট তুলা দিয়ে আক্রান্ত স্থানে পরিষ্কার করতে হবে সকাল ও বিকালে।
২. ডিসপ্রিন ১টি টেবলেট পানিতে গুলিয়ে সকালে ১ বেলা খাওয়াতে হবে।
*সমস্যা: মুরগী ঝিমায়, চুনা চুনা পায়খানা করে, অবশেষে মারা যায়। করনীয় জানাবেন।
সমাধান: রেনামাইসিন ১ লিটার পানির সাথে ১ গ্রাম হারে মিশিয়ে পরপর ৫ দিন খাওয়াতে হবে।
*সমস্যা: পোল্ট্রি মুরগীর রক্ত আমাশয়।
সমাধান:
১.প্রতি লিটার খাবার পানিতে দুই গ্রাম ‘ইএসবি-৩’ ৩০% ঔষধ মিশ্রিত করে পর পর তিন দিন খাওয়ানোর পর আরও দুই দিন বন্ধ রেখে তারপর আরও দুইদিন খাওয়াতে হবে এবং তারপর আরও একদিনের খাবার পানিতে প্রতি লিটার দেড় গ্রাম হারে ঔষধ মিশিয়ে খাওয়াতে হবে।
২.’সিকাল রক্ত আমাশয়’ এর বেলায় ৬০ মিলি তরল এমবাজিন ১৩.৫ লিটার বিশুদ্ধ খাবার পানিতে অথবা ৪ এম, এল তরল এমবাজিন ১ লিটার বিশুদ্ধ খাবার পানিতে মিশিয়ে পর পর তিনদিন খাওয়ানোর পর দুইদিন ঔষধ বন্ধ রেখে শুধু পানি মেশানো খাওয়াতে হবে।
৩.আন্ত্রিক রক্ত আমাশয়ের বেলায় ৩০ মিলি তরলড় এমবাজিন।
*সমস্যা: মুরগীর মুখ কালো ও ফ্যাকাশে হয় এবং চুন পায়খানা করে মারা যায়।
সমাধান:ররেনামাইসিন প্রতি চারটি মুরগীর জন্য প্রতিদিন একটি ট্যাবলেট খাদ্য বা পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে পরপর তিন দিন।
*সমস্যা: ব্রয়লার মুরগীর বাচ্চার ১২/১৩ দিন সময় থেকে দেখা যায় খামারে ৫ থেকে ২৫% বাচ্চা দাড়িয়ে থেকে ঝিমায়, বাড়ে না, শুকিয়ে যায়, তলপেটে পানি জমে ফুলে থাকে। অবশেষে মারা যায়। এর প্রতিকার কি?
সমাধান: জেন্টামাইসিন ০.৩ মিলি হারে মুরগীর বুকের মাংসে পরপর ৫ দিন ইনজেকশন দিতে হবে।
*সমস্যা: মুরগীর হঠাৎ করে মুখ চোখ ফুলে গিয়ে মুখ দিয়ে লালা পড়তেছে এবং এভাবে ৫/৬ দিন থাকার পর মুরগীটা মারা যাচ্ছে । খুব দ্রুত এর সমাধান দরকার।
সমাধান: ট্রিমাভেট সাচপেন সন=২ লিটার পানিতে ১ এম এল ট্রিমাভেট সাচপেন সন মিশিয়ে মুরগীকে ৭দিন খাওয়াতে হবে।
*সমস্যা: মুরগী সাদা পায়খানা করে এবং মারা যায় ভোরভোরা হয়ে যায়।
সমাধান: জেন্টামাইসিন .৩ মিলি করে ইনজেকশন দিতে হবে।
*সমস্যা: ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার কোন ধরনের রোগ হয় এবং এর জন্য কোন প্রতিষেধক টিকা দিতে হবে কি?
সমাধান: মুরগির বাচ্চার অনেক রোগ হতে পারে যেমন ম্যারেক্স, গামবুরো, রাণিক্ষেত , কলেরা ইত্যাদি। এর জন্য এক দিন বয়সের বাচ্চা থেকে শুরু করে করে বিভিন্ন বয়সের মুরগিকে টিকা প্রদান করতে হবে।
*সমস্যা: মুরগী চুনের মত পায়খানা করে এবং গলা খক খক করে। ২/৩ দিনের মধ্যে মারা যায়।
সমাধান: জেন্টামাইসিন ০.৩ এমএল এবং মাল্টিভিটামিন ০.১ এমএল মোট ০.৪ এমএল করে ৫ দিন ইনজেকশন দিতে হবে।
*সমস্যা: দেশী মুরগী চূনের পায়খানা করে, এ অবস্থায় ২-৩ দিনের মধ্যে মারা যায়।
সমাধান: আপনার মুরগীর রাণীক্ষেত রোগ হয়েছে।
এ অবস্থায় কোন প্রতিকার নেই। তাই আক্রান্ত মুরগীকে আলাদা করে রাখতে হবে। আর আগে থেকে রাণীক্ষেত রোগের টিকা দিয়ে নিতে হবে।
*সমস্যা: আমি একজন মুরগির খামার ব্যবসায়ী। আমার ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার বয়স ০৬ দিন।
আমি লক্ষ করছি বাচ্চগুলি ঝিমিয়ে আছে। সবগুলি এক জায়গায় একত্রিত হচ্ছে। যার কারনে দু-একটি বাচ্চা মারাও যাচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে ঠান্ডাজনিত কারনে হতে পারে। এতে আমার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এতে আমি কোন পদ্ধতি ব্যবহার করলে ভাল হবে।
সমাধান:
এটা ঠান্ডাজনিত কারনে হয় তাই মুরগীর শেডে ১০০ ওয়াটের বাল্ব (শেড বড় হলে একাধিক) টানা ৬ ঘন্টা জালিয়ে রাখতে হবে।
*সমস্যা: আমি একজন মুরগির খামার ব্যবসায়ী। আমার সেডে জায়গার পরিমান দৈর্ঘ্য ১০ফুট এবং প্রস্থ ২০ ফুট। ১০০০টি বাচ্চা আছে।
বাচ্চার বয়স ১০ দিন। সবগুলি এক জায়গায় একত্রিত হচ্ছে। যার কারনে বেশ কিছু বাচ্চা অন্য বাচচার চাপা পরে মারাও যাচ্ছে। আমি ১০০ ওয়াট ১০টি বাল্ব ব্যবহার করছি। এর বেশি বাল্ব দিলে বাচ্চা হাই ফাই করে।
আমি কতটি বাল্ব ব্যবহার করতে পারি।
সমাধান: আপনি ১০০০ বাচ্চাকে ৫০০ টি করে দুইভাগ করে মাঝখানে পার্টিশন দিয়ে প্রত্যেক ৫০০টি বাচ্চার জন্য ১০০ ওয়াটের ৪টি বাল্ব ব্যবহার করবেন। আপনার মোট বাল্বেও প্রয়োজন হবে ৮টি। খেয়াল রাখতে হবে যেন প্রত্যেক বাচ্চা সমান তাপ পায়।
*সমস্যা: ১৫টি মুরগী আাছে।
বয়স ২ মাস কিন্তু মুরগী গুলো ঝিমাতে ঝিমাতে মারা যায়। চিকিৎসক এর পরামর্শ নিতে গিয়ে বলেছে, রেনামাইসিন খাওয়াতে তাতেও কাজ হয়নি।
সমাধান: কলিপ্রিম পাউডার ১ লিটার পানিতে ১ গ্রাম হারে মিশিয়ে ৩-৫ দিন খাওয়াতে হবে। খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে। জেন্টামাইসিন .৩ মিলি করে বুকের মাংসে ইনজেনশন দিতে হবে।
আপনি দ্রুত ভাল ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।