কানাডার এসএনসি-লাভালিনের আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিভাগের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রমেশ শাহর ডায়েরির পাতার অনুলিপি (ফটোকপি) হলেও সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরী।
আজ বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের মিডিয়া সেন্টারে নিয়মিত মাসিক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির সচিব এ দাবি করেন।
ফয়জুর রহমান চৌধুরী বলেন, মূলত তদন্তের অগ্রগতির জন্য দুদকের তদন্ত দল কানাডায় গেছে। দুই সদস্যের এ দলটি রমেশের ডায়েরি সংগ্রহের চেষ্টা করছে। যদি তারা ডায়েরি না পায়, তাহলে ডায়েরির সংশ্লিষ্ট পাতা বা কপি হলেও সংগ্রহ করবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদকের সচিব জানান, পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে এসএনসি-লাভালিনের তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদে তদন্ত দলের চেষ্টা চলছে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করতে কানাডায় গেছেন দুদকের আইন উপদেষ্টা আনিসুল হক ও পদ্মা সেতু দুর্নীতির বিষয়ে দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ অনুযায়ী কানাডা পুলিশের কাছে ঘুষের তালিকা রয়েছে। মূলত ঘুষের তালিকার বিষয়ে তথ্য নিতেই দুদকের দুই সদস্যকে কানাডায় পাঠানো হয়েছে। তাঁরা কানাডা থেকে ফিরে এলে দুদক এ বিষয়ে একটি অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেবে।
তিনি জানান, পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলার পুরো বিষয় এখন নির্ভর করছে কানাডায় সংরক্ষিত দালিলিক প্রমাণের ওপর।
গত ৮ থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত কানাডার আদালতে লাভালিনের কর্মকর্তা রমেশ শাহ, মোহাম্মদ ইসমাইল ও কেভিন ওয়ালেসের বিষয়ে প্রাথমিক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর মোট সাতজনকে আসামি করে রাজধানীর বনানী থানায় (মামলা নম্বর ১৯) মামলা করে দুদক। আসামিরা হলেন সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদাউস, সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রিয়াজ আহমেদ জাবের, লাভালিনের স্থানীয় পরামর্শক ইপিসির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মোস্তফা, এসএনসি-লাভালিনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কেভিন ওয়ালেস, আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিভাগের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রমেশ শাহ ও সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাইল। পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের দায়ে সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক কানাডার প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে সচিব এপ্রিল মাসে দুদকের বিভিন্ন কার্যক্রম সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। তিনি জানান, এপ্রিল মাসে দুদকে মোট অভিযোগ এসেছে এক হাজার ১০৪টি, অনুসন্ধানের জন্য ১৫৫টি গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযোগ বাতিল হয়েছে ৯৯১টি। একই সময়ে মামলা অনুমোদন হয়েছে ৪৪টি, আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে ৩০টি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।