♠ ব্লগার ইমন জুবায়ের ♠ মেঘের আড়ালে থাকা একটি নক্ষত্রের নাম
বিকাল কে বিকেল কিংবা বৈকাল বলে;
অপরাহ্ন কিংবা দুপুর,সাঝ,আর সন্ধ্যের এক হিসেব মাখায় রেখে;
রাত, রাত্রী বা নিশি, নিশিথে,রজনী,বা তমিস্র বলে ভাবায়।
সকাল কিংবা প্রভাত সূর্য,অর অরুণ সেই রুপে রবি,দিবাকর,ভাস্করের কারুকার্য দেখায়
এক চরনে, এক বুননে;
কখনো মেটাল,রক,পপ,লালন,নজরুল,
কিংবা রবীন্দ্র মিশায় আধুনিক,আঞ্চলিক রাগ সংগীতে,তুলে ঝংকার
সে আর কেউ নয়; সে আমাদের কবি।
মাঝরাতে রোদ দেখে।
দেখে তারা , ঘুড়ি,তালগাছ,বেলগাছ,
আর ঝাড়ি,ঝুড়ি,
কবি’র চোখে আকাঁবাঁকা ছ্যাঁকা সবই এক ভাবে আর ভাবায়।
উপস্থাপনা,ব্যঞ্জনা, গঞ্জনা,সব আসে ক্রমে ক্রমে।
আইনষ্টাইন,ভলেটেয়ার সব এক পাতায়,
হ্যাটেরাস,কুক,চ্যাপলিন,রবিশঙ্কর কখনো বা এক মঞ্চে দেখায়।
কখনো ভাবে ; কখনো ভাবায়
সে আর কেউ নয়; সে আমাদের কবি।
ঠুলি পড়া , খদ্দেরকাটা কাপড় জড়ানো, ঝুলানো-ঝোলা;
মস্তকে কেশের দলা, এই তো বেশ ওহাদের।
কবির চোখে
নদী হয় সাগর,বৃষ্টি-শ্রাবনে ভাসে,
মাঝ রাতে ক্ষিদে পেলে চাঁদ খেতে নেই কুন্ঠা, ধোয়াটে চায়ের কাপে কথার ফুলঝুড়ি
ঝাকা নাকা ড্রেন্সিং, নীল,বেগুনি,চিনি,দারুচিনি বাদ যায় না কিছুই কবি’র কবিতায়।
তিল,তিসি,নাসপাতি,শিশি,কোবরা,ছোবরা,ফনি মনসা , কিংবা মাকড়সা কিছুই ছাড় পাবে না এ তল্লাটে।
সব কিছু আটলান্টিক থেকে বঙ্গোপসাগরে এনে নামায়।
সে আর কেউ নয়; সে আমাদের কবি।
ভয়াবহ বর্ণনায় হস্ত চলে যায় উরসিজে;
কাপড় ভিজে জল নিংরে খায় চামচে;
তবে ভাবনার ভাবাকাশে কবি’র বিলাসে চেয়ার হয় না আর কেদারা।
পাজির পা ঝারা,কিংবা সাপের পাচঁ পা দেখা, হাতের প্যাচ আর বাংলার পাঁচ উঠে আসে কবিতায়।
রজকিনি পায়নি ছাড়; চন্ডিদাশ সেথা কোথা, সুফিয়া লরেন মিশেছে তার দলে;
নিকোল কিডম্যান,মুনির চৌধুরী,রুজভল্ট,কিংবা দ্বারকানাথ কিঞ্চিত হাহাকার করে মরে।
সেই হাহাকারে কবি বাশঁবাশিঁ বাজায় আপন সুরে;
সে আর কেউ নয়; সে আমাদের কবি।
কাঠফাটা রোদ্দুরে বঙ্কিমের কপালকুন্ডলা খান্ডারনি হতে দ্বীধাবোধ করে না কবিতায়।
চোখ তার; সুতোর বাঁধা- ছিদ্র করে চলে নিচে কি আছে দেখতে সে দ্বীপ।
রক্ত না শক্ত,ভক্ত; কখনো অক্তও হয় চরনে চরনে;
ছিলো না জুতো ,হয়েছে কি, যা; তা,
পাদুকা নৃত্য।
চোখের সমুখে , প্রসারিত, মাঠ খাল হতে কতোক্ষণ কবিদের ভূবনে।
পাহাড়,পব্বত, শিলা , মাটি, বায়ু, পানি থাকে না বাদ কিছুই।
টানা হেচড়া চলে; সীতা ,গীতা দন্ডকারন্যে;
কেন বস্ত্র হরণ হয়েছিলো ভাবায় এখনো !!
পৌরানিক সে কবি’র হাত দিজিতালেও দিয়েছে হানা।
জীবন বাবুর সুরঞ্জনা,নীলাঞ্জনা,রুপাঞ্জনা হয়ে শেষে কুলাঞ্জনা হতে
বাকী আর আছে কি?
শাপমোচন,ক্লেশমোচন হয়ে শেষে বাকী আছে ধাপমোচন।
এসবের মূলে আছে বসে কূলে;
সে আর কেউ নয়; সে আমাদের কবি।
দেখি; কবি শেষে ছবি এঁকে দাবী মেটাতে;
পথে প্রান্তরে চলেছে ক্ষীণ পদব্রজে, না উঠিবে সাম্পানে কিংবা নায়ে,পানশি বা ডিঙ্গিতে;
উঠিবে মেঘের ভেলায়।
কল্পনার জগতে তার বিচরণ, তার বিচরণ মুহুর্তে মুহুর্তে
ছাতা বাচাঁয় মাথা; লিখে ভরে পাতা।
সে যে , কবি আমাদের ।
কবিদের আনাগোনা সুচ থেকে বালুকনা পর্যন্ত;
কাব্যের সাগরে তারা জুতো সেলাই থেকে চন্ডিপাঠ অব্দি জানে;
আর না জানলে কি কবি হওয়া যায়।
তাই তো বলি ভাই আমি আর কিছু চাই না একটা কবি চাই?
সাথে পেলে তা,কে আমাকে আর পায়,কে
গাছ কে মাছ ভেবে উড়াবো শঙ্খদেশে,
কল্পনার জগতে মানুষে ফানুষে বাধাঁবো গন্ডগোল,
তালগোল পাকায়ে, রড,লোহা বাকায়ে হাটবো পথ;
কিম্ভূতকিমার বেশে হবো জ্যাকপট।
কাব্য, অলঙ্করন,ছন্দ,বর্নধরন কিছুই নেই তো আমার;
কবি হবার স্বাদ মিটে গেছে
তাই একটা কবি চাই ?
প্রচ্ছদ পরিকল্পনা এবং ডিজাইন - সকাল রয়
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।