আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাল ডিপজলের সিনেমা দেখতে যাচ্ছেন তো ??(ফেসবুকের আলোচনাসহ)

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই । কাদঁতে আসিনি ফাসিঁ দাবী নিয়ে এসেছি ।

উপমহাদেশের চলচ্চিত্র আমদানির অনুমতি আবার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সোমবার বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, "চলচ্চিত্র শিল্পের ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ সরকার করবে না। বাংলাদেশে যাতে উপমহাদেশের অন্যান্য দেশের চলচ্চিত্র না আসতে পারে সে ব্যবস্থা নেবো আমরা।

" উপমহাদেশের চলচ্চিত্র আমদানির সিদ্ধান্তে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট এমনকি চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট নন শুধু দর্শক তবে সে কোনদিন হলে বসে বাংলা সিনেমা দেখেননি এমন দর্শকরাই ভীষণ প্রতিবাদে ফেটে পড়লেন । ভারতীয় চলচ্চিত্র এলে এদেশের চলচ্চিত্রশিল্পের বারোটা বাজবে । এই প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে সরকার সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেন । এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদকারীরা সুকৌশলে উপমহাদেশের স্থলে শুধু ভারতীয় শব্দটি ব্যবহার করে একটি রাজনৈতিক চাতুরতার আশ্রয় নিয়েছিল । বলা বাহুল্য সেই চাতুর্যে তারা শতভাগ সফল ।

কেননা এদেশে ভারত এলার্জি রয়েছে । সেটাই তারা কাজে লাগিয়েছে । প্রসংগে আসি । অনেকেই সরকারকে সাধুবাদ দিচ্ছেন । সরকার চলচ্চিত্রের মতন এতো বড় শিল্পকে নিজ হাতে গলা টিপে হত্যা করছিল সেটা এখন না করার জন্য তারা খুব খুশি ।

কিন্তু সেই চলচ্চিত্রপ্রেমী দেশপ্রেমীরা কি কখনও চলচ্চিত্র শিল্পকে চাঙ্গা করতে কখনও সিনেমা হলে গিয়েছিলেন ?? না গেলে আসুন আগামী কালই যাই । দেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে আরো সমৃদ্ধ করি । যাবেন তো ডিপজলের ছবি দেখতে ?? উত্তরটা আমি দিচ্ছি । উত্তরটা হবে না । কেন ?? সে বিষয়ে হাজারো যুক্তি আছে আর সবগুলোই হয়তো গ্রহনযোগ্য ।

তবে উপায় ?? আপনি আমি সিনেমা হলে না গেলে কি সিনেমা চলবে না ?? চলবে । তবে চলচ্চিত্রের মতো এতো বিশাল শিল্প আগের মতোই খুড়ে খুড়েই চলবে । এতো সম্ভাবনাময় বিশাল শিল্পটিও রুগ্ন শিল্পের মতোই চলবে । এই শিল্পে কালোটাকার মালিকরা কালো টাকা সাদা করার জন্যে লগ্নি করবেন, ফুর্তির জন্য নায়িকা বানাবেন, চলচ্চিত্র সম্পর্কে আ ও ক খ না জানারাই সিনেমা বানাবেন, পরিবেশকরা সব ছবির সাথে এক্সাটা কাটপিস দিয়ে দেবেন, হল মালিকরা সেই সিনেমার সাথে পর্ণো কাটপিস লাগিয়ে সেটা হলে দেখাবেন আর দেশের হতদরিদ্র বিনোদনহীন মানুষ সেই স্হুল নায়িকার স্থুল বুকপেট দেখে খুশিতে শীষ দিয়ে উঠবেন । আর আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প আরো স্থুলদের দখলে চলে যাবে ।

দীর্ঘ ৪০ বছর ভারতীয় তথা বিদেশী সিনেমা না দেখিয়ে আমাদের অর্জন হলো এই । এই চক্রে যে মাফিয়া ডনরা নিয়ন্ত্রন করছেন তারা এই চক্র কোনভাবেই ভাংগতে দেবেন না । তাই তাদের প্রতিবাদ কি অযৌক্তিক ?? আরো আছেন হাল আমলের ছোটপর্দার মালিকদের চলচ্চিত্র প্রযোজক হয়ে ওঠা । মাত্র ৩০ লক্ষ টাকা লগ্নি করে এফিডিসির সিনেমার চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করে তারা নির্মান করছেন তথাকথিত ভালো চলচ্চিত্র যার ৯০ শতাংশই অন্যসময় হলে স্রেফ টেলিভিশনের নাটক হিসেবেই প্রচারিত হতো । সেই ৩০ টাকার লগ্নিসহ লাভ উঠে আসে এক তথাকথিত প্রিমিয়ার শোতেই আর সেই চলচ্চিত্র দেখার মানে হলো বিজ্ঞাপন বিরতির মাঝে সিনেমা দেখা ।

আর এরপরের ২-৪ টা সিনেমা হলে চললে তো বোনাস । এফডিসিকে গালি দিয়ে সেই টেলিভিশনের নাটককে যারা সিনেমা বলে হালাল করছেন তারা সেই এফডিসির অশিক্ষিত কিংবা স্বল্পশিক্ষিতদের সিনেমার কলাকৌশলের কাছে নিতান্তই না বালক । এই চক্রটি ও চায় না তাদের সেই জমজমাট রমরমা সিনেমা সিনেমা খেলার ব্যবসাটা বন্ধ হয়ে যাক । অথচ চলচ্চিত্রের মতোন এই বিশাল শক্তিশালী গণমাধ্যমটিকে যেমন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সক্ষম আবার ঠিক তেমনি দেশের ভাবমুর্তিকে শক্তিশালী করতেও সক্ষম । স্রেফ ভারত-ইরান কিংবা চায়নার চলচ্চিত্র শিল্পের ক্ষমতা তো কারো অজানা নয় ।

আর এদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের এই করুণ দায়সারা গোছের কাজের জন্য দায়ী তাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রিত চক্র । যে চক্রটি তাদের নিজেদের স্বার্থে এই শিল্পের বিকাশকে রুদ্ধ করে রেখেছে । তারা চায়না তাদের এককছত্র আধিপত্যে কোন প্রতিদ্বন্দী আসুক । আর যদি বিদেশেী সিনেমা এদেশে অবাধ প্রদর্শন করা যেত তবে অবশ্যই তা এদেশের চলচ্চিত্র কলাকুশলী দর্শককে সমৃদ্ধ করতো । চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা তাদের মোনটনাস রীতিকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে শিখত ।

আর অস্তিত্বের স্বার্থেই ভালো সিনেমা নির্মানে আগ্রহী হতো । কেননা মানুষের মেধা বিকাশে চাই উন্মুক্ত পরিবেশ, চাই উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা । মনেরাখা দরকার ফাঁকা মাঠে গোল দিতে স্ট্রাইকারের দরকার নেই, বলে লাথি দিতে জানলেই চলে । আর নইলে সবকিছু নষ্টদের অধিকারেই চলে যাবে । আর আমরা যারা মধ্যবিত্ত যাদের বিনোদনের বড় অভাব তারা সেই ১৫ ইঞ্চি বাক্সের মাঝেই জীবনের সব বিনোদন খুজি ।

আর নইলে এদেশের সকল বিবাহিত মানুষের স্রেফ সংগম ছাড়া আর কোন তো বিনোদন নাই । ফেসবুক নোটসের মন্তব্য গুলো আলোচনার সুবির্ধাতে শেয়ার করলাম। Kazi Mamun ওহ আপনিও লিখছেন, অপেক্ষা করছিলাম, পড়ে নেই আগে মন্তব্য করছি। Yesterday at 9:54am • Rubina Khanam জটিল! যদি উন্মুক্ত করা হয় তাহলে সবারটাই করা উচিত। Yesterday at 10:00am • Kazi Mamun প্রথমতঃ নোটটা পাবলিক করেন সবাই যেন পড়তে পারে, আমি শেয়ার করছি।

একটা কথাই আমি বারবার বলছি- প্রতিযোগীতা ছাড়া শিল্পের বিকাশ অসম্ভব। কুয়োবন্দি করে আর যাই হোক সিনেমা ইন্ডাস্ট্রী কে ডিপজল দের দখল মুক্ত করা যাবে না। আমি আপনি বলে যে খুব একটা লাভ হবে তাও না, তারচে আমি অপেক্ষা করছি একটা এম সিক্সটিন এর। Yesterday at 10:02am • Vashkar Abedin রাসেল আমার মনে হয় তোমার নিজের আসলে এই দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি বিষয়ে কোন ধারণা নাই। এই দেশের সিনেমায় কবে রমরমা ব্যবসা হইছিলো সেইটা মনে হয় রমা'রাও ভুইলা গেছে।

এখন সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি কেবলি কিছু মানুষের মনোরঞ্জনের ক্ষেত্র, কিছু লোকের রাষ্ট্রীয় কর ফাঁকি দেওনের বৈতরনি। এর বাইরে যেইটা ঘটে সেইটা মূখ্য হইলেও আমাগো মধ্যবিত্ত প্রাণ যুক্তিতে তারা কেবলি অদৃশ্য মানব। সেইসব খাইটা খাওয়া মানুষেরা, যারা দিন আনে দিন খায় এই ইন্ডাস্ট্রির বরাতে, তাগো নিয়া আমরা ক্যানো ভাবুম! আমরা দেশের সংস্কৃতি একজন ডিপজল কতোটা খাইলো, একজন যশপাল কতোটা খাইবো সেইসব নিয়া আলোচনা করুম... আমাগো আলোচনায় ভারতীয় চলচ্চিত্র এই দেশে প্রদর্শনের অনুমতি পাইলে দেশের ডিপজলীয় সংস্কৃতি কতোটা প্রান্তিক সংস্কৃতি হইবো সেই বিষয়ক আনন্দ উল্লাস থাকবো। ভারতীয় চলচ্চিত্র বেশি দামে টিকেট কিনা দেখুম আমরা, গরীবের জন্য ডিপজলরেই না হয় ত্রাতা বানাইলাম...এই আলোচনায় আমরা তুমুল তর্ক করতে রাজী আছি। শহরে যা ঘটে সেইটাই তো একটা জাতি রাষ্ট্রের মূল এক্সপ্রেশন! তাই শহরকেন্দ্রীক নতুন প্রজন্মের বাংলারে আমরা দিবো আল ইয অয়েল...আর গ্রামের কৃষকের দরকার রাইত বারটার পরে নায়িকার ঘরে যাওনের আহ্বান।

পরিমাপটা এমন ডিসক্রিমিনেটিভ হওয়াটাই প্রয়োজন...Yesterday at 10:10am • Kazi Mamun @Vashkar Abedin- বুঝতে পারিনি আপনার ভাষ্য!Yesterday at 10:15am • Arif Jebtik প্রথম কথা হচ্ছে আমি ডিপজলের সিনেমা দেখতে যাব না, কারন ওটার টার্গেট ক্লাসে আমি পড়ি না। কিন্তু তাই বলে বিদেশী চলচিত্র আনার ফতোয়া কিভাবে জায়েজ হয়ে যায় তাও বুঝলাম না। সরকারের যদি সিনেমা শিল্পের উন্নতির জন্য প্রাণ কাঁদে তাহলে তারা এফডিসিতে প্রচুর টেকনলজির উন্নতি করতে পারে, সিনেমা এবং হলের কর কমানোর চিন্তা করতে পারে। কিন্তু অসম প্রতিযোগিতায় দেশি সিনেমার বিকাশ হবে না। আপনি কি মনে করেন, হিন্দী সিনেমা কি ইংরেজী সিনেমা চললেই আমাদের ঝন্টু-মন্টু-নান্টু পরিচালকরা তারপর থেকে ভালো সিনেমা বানাতে লেগে যাবেন নাকি ৩০ লক্ষ টাকার বড় নাটক বানানো বন্ধ হয়ে যাবে ? Yesterday at 11:30am • Kazi Mamun@Arif Jebtik- Its about art, no history ensures that privilege can save any art development. Thats why we do not have any 'satyajit ray' or 'Jahir Rayhan' now. A coward director means he will feel identity crisis in open market, A coward director means he will not allow open competition. Yeah we are proud, we are getting thousands of coward ... See Moredirector every year, we are giving privilege last 40 years and the result is- still wiki says: " Viewership of Bangladeshi films has dropped, and the industry has been criticized for producing low-quality films whose only appeal is that of sex, violence, or melodrama."Yesterday at 11:35am • Arif Jebtik একজন কাওয়ার্ড ডিরেক্টরকে শায়েস্তা করার জন্য আপনি একটি অসম প্রতিযোগিতা তৈরী করতে পারেন না।

বিষয়টা মার্কেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এখানে আপনি একটা বাংলা সিনেমার পেছনে যখনই দেড় কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করবেন, আপনার বাসা বাড়ি বন্ধক রাখতে হবে। কারন মার্কেট খুব ছোটো। মেগা হিট না হলে আপনার ছবির পক্ষে গড়ে ১ কোটি টাকার উপর ব্যবসা আসবে না। হিন্দী সিনেমা তৈরী করা হয় অনেক বড় মার্কেটের জন্য।

সেই বিগ বাজেটের ছবির ক্যামেরা দামী, আর্টিস্ট দামী, ডিরেক্টর দামী, লোকেশনের জন্য তারা সপ্ত সিন্ধু পাড়ি দিতে পারে। এখন বাজার অর্থনীতিতে আপনি সেই চকচকে মাল আমার সিনেমা হলে ঢালবেন, তো দর্শক ঐদিকেই ছুটবে। তখন দেশি চলচিত্রের কী হবে ? আমি রাশেদ হাফিজের কথা মেনে নিচ্ছি, এই প্রোটেকশন থেকে আমাদের দেশে গত ৪০ বছরের অর্জন উল্লেখযোগ্য কিছু নয়। আমাকে বুঝান, টালিগঞ্জে তো উন্মুক্ত হিন্দীর বাজার, সেখানে টালিগঞ্জের সিনেমা কী বিকাশ লাভ করেছে। ওদের অবস্থা তো নান্টু-ঝন্টুর চাইতেও খারাপ।

Yesterday at 11:43am • Kazi Mamun @Arif Jebtik- শিল্পে সম-অসম প্রতিযোগীতা বলে কিছু নেই। পশ্চিম বাংলায় অসম প্রতিযোগীতার মুখেই গড়ে ওঠছে অপর্না সেন, বুদ্ধদেব দাশগুপ্তা 'Hrituporno Ghosh', ইরানের দিকে তাকান অল্প বাজেট এ মুক্ত বাজারে হলিউডি-বলিউডি সিনেমার সাথে প্রতিযোগীতা করেই ওরা মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে, যেখানে খোদ ইরানেই ভারতীয় ছবির রমরমা ব্যবসা। Yesterday at 11:53am • Imran Firdaus Kazi maun er shathe shohomot .Yesterday at 12:03pm • Rashed Hafiz ভাস্করদা@ তবে শুরু থেকেই বলি । এদেশে যখন সিনেমা ইন্ডাষ্ট্রি ছিল না তার প্রথম অজুহাত ছিল যে এই দেশের আবহাওয়া চলচ্চিত্ররে জন্য উপযোগি নয় । কথাটা বুইঝেন, একটু খেয়াল কইরা ।

আর এদেশের সংস্কৃতি মানে যাত্রা টাইপ যে নাটক তা সিনেমায় লগ্নি করে ভদ্র সমাজে দেখারযোগ্য হবে কিনা অর্থাৎ এতো টাকা লগ্নি করে সেই টাকাই উঠবে না এমন ভুতুরে কথাবার্তাও নাকি প্রচলিত ছিল এক সময় । সেসময় এদেশের বাজারে চলত হলিউড বলিউড আর উর্দু ছবি । শেখ মুজিব তখন জোর কইরা এফডিসি বানাইছিলেন । কিন্তু সেই এফডিসিতেও কিন্তু বানানো হতো উর্দু সিনেমা । আপনি তো বোধহয় জানেন পদ্মা নদীর মাঝি সা বানাইয়া ওই একই কাহিনী হয়ে গেল জাগো হুয়া সাবেরা ।

কারণ একটা কিন্তু ব্যবসা । কিন্তু তার ব্যতিক্রমটাও দেখেন । সালাউদ্দিন বানালেন রূপবান । আপনার সেই প্রান্তিক মানুষের মুখে মুখে ফেরা লোকগাথা । সেই রূপবান বক্স অফিসই শুধু হিট করে নাই ৯০ দশক পর্যন্ত এই সিনেমা থেকে টাকা গুনতেন সালাউদ্দিন ।

তিনি এই সিনেমা নিয়ে বলিছিলেন রূপবান হলো তার সোনার ডিম পারা হাঁস। আপনি কি রূপবান দেখছিলেন । এমন মিউজিক্যাল সিনেমা কি পুরো বাংলায় আর কেউ করতে পারছে ?? ৬৫ সালের আগ পর্যন্ত তো এদেশে হলিউড বলিউড আর উর্দু সিনেমা চলত । আর চলত বলেই জহির রায়হানরা এসেছেন । আর তাদের হাত ধরেই এসেছে কাঁচের দেয়াল ।

কই সেই অসম বাণিজ্য তো বাংলা সিনেমা টিকে ছিল । তখন তো সরকারও চাইত না বাংলা সিনেমা বানানো হোক । এতা প্রতিবন্ধকতার মাঝে তো বন্ধ হয়নাই । কথা সেইটা না । কথা হচ্ছে হ্যাডাম নিয়ে ।

যে পারে সে সবখানেই পারে । যদি সিনেমা নিয়ে বাণিজ্যই করতে চান তবে হ্যাডামওয়ালা মানুষ দরকার। সাহসী মানুষ দরকার । এইসব কাপুরুষ দিয়ে পর্দা সুপুরুষ একজন ডিপজলই হবে । আর কিছু না ।

নো বাণিজ্য নো সুস্থ বিনোদন । Yesterday at 12:18pm • Vashkar Abedin তথ্য উপস্থাপন রীতি আসলে পাল্টানো দরকার। ইরানে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতাতেই সেই অঞ্চলের প্রথা নির্মাণের মতোন ছবি গুলি তৈরী হইছে। আর আমাগো দেশের সরকার বিনিয়োগ করে ৩০ লাখ টাকা, যা আবার প্রযোজক বা নির্মাতা ৩০ লাখ খরচ করনের পর। যেই দেশে চলচ্চিত্রের উন্নয়ণে সরকারের কোন ভূমিকা নাই।

যেই দেশের সরকারী মন্ত্রীরা পর্যন্ত ঘুষ খাইয়া ছবিরে সেন্সর সার্টিফিকেট দেয়, ধানের... See More শীষ বা নৌকার ইমেজ থাকলে সেন্সরশীপ আরোপ করে, সেই দেশে চলচ্চিত্র শিল্পরে মানে আর্টরে নিয়া ভাবলে চলে না। ভারতীয় ছবি উন্মুক্ত করলে কাগো ছবি ডিস্ট্রিবিউট করন শুরু হইবো সেই বিষয় কি ঠিক হইছিলো? চোলি কা পিছে কা হ্যায় টাইপ গানওয়ালা ছবি আমদানী করাতে বেশি আগ্রহ হইবো মানুষের নাকি যেই ছবি ভারতেও মানুষ দেখতে চায় না সেই ছবি আমদানী হইবো? আর্ট শিল্প আর ব্যবসা শিল্প যে এক না সেই কনসেপ্টের জায়গা আগে পরিষ্কার হওনটা জরুরী। আলোচ্য নোটের লেখক রাসেল এবং বিশিষ্ট চলচ্চিত্র, সংস্কৃতি আর ভাষা আন্দোলক কাজী মামুন কি মনে করেন যে ভারত থেইকা সব সুস্থ্য ধারার চলচ্চিত্র আসবো এই দেশে? বা কোন পর্যন্ত দেখাইলে সুস্থ্য ধারা হয় সেইটার মাপকাঠি বিষয়েও জাননটা জরুরী... Yesterday at 12:19pm • Arif Jebtik @ কাজী মামুন, ইরানের চলচিত্র বিকাশে নিশ্চয়ই ভারতীয় সিনেমার রমরমা বাজারের অবদান বেশি; এটা কি বলা হচ্ছে ? আমি বুঝতে পারি নি ব্যাপারটা। এবার আসেন পাকিস্তানের দিকে তাকাই। সেখানে হিন্দী সিনেমার দাপটে পাকিস্তানি সিনেমা শিল্পের ত্রাহি দশা চলছে।

এখন চিন্তা হচ্ছে ভারতীয় সিনেমা আমদানি বন্ধ করে দেওয়ার। আপনি আর্টকে ব্যবসার জায়গা থেকে আলাদা করে রাখতে পারবেন না। আর্থিক প্রনোদনা না থাকলে আর্টের বিকাশ দুঃসাধ্য। বিদেশী চলচিত্র তো এই দেশে আসে, ডিভিডি ফর্মেটে আসে। তো, আমাদের কী উন্নতিটা হচ্ছে সেই সিনেমা দেখে সেটা কিন্তু এখনও দৃশ্যমান নয়।

রাশেদ হাফিজের কথা মতোই বলতে হয়, আসলে হ্যাডমঅলা মানুষ দরকার। কিন্তু সেই হ্যাডম আলা মানুষ যদি বিদেশী সিনেমা না আসার কারনে এখনও ঘরে বসে থাকেন, তাহলে তাদের হ্যাডম নিয়া সন্দেহ জাগে। তারা অদূর ভবিষ্যতে বিদেশী সিনেমার বাজারকে চ্যালেঞ্জ করার আশা নিয়ে বসে না থেকে এখনই যদি নান্টু মন্টু ঝন্টুকে প্রতিহত করতে এগিয়ে আসেন তাহলেই তো সহজ হতো ব্যাপারটা। Yesterday at 12:38pm • Rashed Hafiz জেবতিক@ আপনাকে বলতে বাধ্য হচ্ছি শোনা কথায় কান দিবেন না । এফডিসি সম্পর্কে আপনার ধারণা নাই ।

আমাদের এফডিসিতে যে প্রফেশনাল ক্যামেরা (খুব সম্ভবতঃ Olympus Wide DLX... See More ৯৮ মডেল) ছিল তা ব্যবহার না করার জন্য নষ্ট হয়ে গেছে । এমন আরো এমন টেকনোলজি ব্যবহারের অভাবে তথা ব্যবহারকারী অভাবে নষ্ট হয় । সেক্ষেত্রে তাদের কথা আমাদের টেকনিক্যাল লোক নেই, এজন্যই ব্যবহার হয় না । কথা কি সেটা ?? যদি আপনি ব্যবহারের প্রয়োজন নাই হয় তবে টেকনিক্যাল লোক তৈরী হবে কিভাবে ?? ল্যাব আধুনিক নয় । আমাদের যে সুযোগ সুবিধা আছে সেটা ব্যবহার করার লোক কি আছে ?? তারপর তো উন্নতি সাধনের প্রয়োজনিয়তা আসে ।

আর এই সুযোগের মধ্যেও আমাদের পরিচালক আর প্রযোজকদের ধান্দা এফডিসি থেকে কতো রিল ফিল্ম মেরে দিবে । আপনার ঝন্টুদের তো দরকার নাই । তাদের ক্যামেরা একশ্যান তো ত্রিভুজ খাজের মাঝেই সীমাবদ্দ আর চিন্তা শক্তি ও ওতোটুকুই । আর আমাদের মহান ত্রাতা বড় নাটক ওয়ালার প্রযোজক হয়েছেন আর তাদের বাণিজ্যে কিন্তু ৩০ লক্ষ বেশি লগ্নি করার ইচ্ছা নাই কেননা প্রয়োজন তো হচ্ছে না । বাঘহীণ বনে তো মিয়ালই রাজা।

আপনাকে এতাটুকু বলতে পারি ঝন্টু মন্টুরা হয়তো জহির রায়হান হবে না কিন্তু সালাউদ্দিন তো হতে পারেনই । শুধু তাই হলে চলবে । আমাদের মার্কেটটা কিন্তু খুব ছোট নয় । মার্কেট নিয়ে আপনাকে একটা উদাহরণ দেই । আমার বন্ধু আছে এক লাটভিয়ার চলচ্চিত্র পরিচালক ।

তাদের মার্কেট হলো মাত্র ১০ লক্ষ মানুষের । তবে সে কিন্তু তার সিনেমা শুধু ১০ লক্ষ মানুষের বাজারের কথা চিন্তা করে তৈরী করে না । তৈরী করে কোটি মানুষের জন্যই । Yesterday at 12:39pm • Arif Jebtik চলচিত্রের বিকাশের জন্য বিদেশী সিনেমা আনা দরকার; এরকম কথা না বলে সরকার যদি একটা দুইটা ভালো ফিল্ম ইন্সটিটিউটের জন্য বিনিয়োগ করেন, তাহলে ভবিষ্যতে কিছু ভালো মানের লোকজন পাওয়া যাবে এই শিল্পে। Yesterday at 12:41pm • Vashkar Abedin রাসেল তুমিও শোনা কথায় কান দিতেছো মনে হয়।

এফডিসিতে Arri 435... See More বইলা দুইটা ক্যামেরার একটা নষ্ট হইছে। ব্যবহার না করনের লেইগা নষ্ট হয় নাই, সঠিক ট্রেনিঙের অভাবে তার অপব্যবহার হইছে বইলা নষ্ট হইছে। পরিচালক প্রযোজকগো ধান্দা থাকে ফিল্ম মাইরা দেওনের কিন্তু এইটা আসে বিনিয়োগ আর প্রাপ্তির ফারাকটা খুব বেশি বা অনেক সময় ভালো না হওনের লেইগা। কিন্তু আমলাতান্ত্রিকতা যেইটা সরকার খুব সহজেই প্রভাবিত করতে পারে সেই জায়গায় দূর্নীতি হয় বেশি। আমার পেশার কারনেই এফডিসিতে যাইতে হয় বইলা জানি এফডিসিতেই এখনো চলচ্চিত্র নির্মাণের বেসিক এখনো অনুসৃত হয়।

আমাদের দেশে কোন ইন্সটিটিউট নাই চলচ্চিত্র শিক্ষার লেইগা যেইটা লাটভিয়াতেও আছে। একটা দেশের পরিস্থিতির সাথে আরেকটা দেশের তুলনা করতে হইলে তার অবকাঠামোগত বিষয়টা মাথায় রাখা দরকার। Yesterday at 12:54pm • Arif Jebtik রাশেদ হাফিজ, আমার প্রশ্নটা হচ্ছে সালাউদ্দিন হতে তাদেরকে আটকাচ্ছে কে ? " যা দিচ্ছি তাই খাচ্ছে" এই মনোভাব ? এই মনোভাব তো একদিনে আসেনি। মধ্যবিত্তরা আগে সিনেমা হল ছেড়েছে তারপর ডিপজল এসেছে। ডিপজলের ধাক্কায় মধ্যবিত্তরা সিনেমা হল ছেড়ে আসে নি।

এখানে পুরো বিষয়টাকে অনেক বড় আকারে বোধহয় দেখতে হবে। এই সময়ে টিভির-ডিভিডির সহজলভ্যতা, মধ্যবিত্তের অন্যান্য নতুন জটিলতা এসব কারনেই মধ্যবিত্ত হল বিমুখী। এখন ভ্যাকুয়ামে ঝন্টু মন্টুরা করে খাচ্ছে। নিম্নবিত্তরা সিনেমা হলের বিনোদন পাচ্ছে। এর জন্য বিদেশী সিনেমা আনার শর্তটা বোধহয় জরুরী নয়।

৩০ লক্ষ টাকার বড় নাটক তো সিনেমাই নয়, এটা ব্যবসার নতুন একটা ফর্ম, সেটাকে এখানে উদাহরন হিসেবে টানছি না। Yesterday at 12:57pm • Kazi Mamun @Vashkar Abedin-তথ্য উপস্থাপন রীতি আসলে পাল্টানো দরকার। "ইরানে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতাতেই সেই অঞ্চলের প্রথা নির্মাণের মতোন ছবি গুলি তৈরী হইছে। " আবার সেই সরকারই ছবি ব্যানড করছে- Dariush Mehrjui's seminal film Gaav (The Cow, 1969) is now considered a pioneering work of the Iranian New Wave. The film was sponsored by the state, but they promptly banned ... See Moreit upon completion because its vision of rural life clashed with the progressive image of Iran that the Shah wished to project, while its prominence at international film festivals annoyed the regime. [53] After the Iranian revolution, filmmakers experienced even more restrictions. Several films now regarded as the seeds of a renaissance in Iranian art films, such as Bahram Beizai's Cherikeh-ye Tara (Ballad of Tara, 1980) and Marg-e Yazd-e Gerd (Death of Yazd-e Gerd, 1982), and Amir Naderi's Jostoju (Search, 1982), were banned in Iran. Since the mid 1980s, Iran's policy on film censorship has been changed in order to promote domestic film production: the strict censorship eased a little after December 1987. Old directors resurfaced and new ones emerged. [53] However, the application of the rules is often inconsistent. Several films have been refused release inside Iran, but have been given export permits to enter international film festivals. Even here, the censorship is inconsistent: May Lady by Rakhshan Bani-Etemad (1998) got through but her contribution to Stories of Kish (1999) did not. [54] All of Jafar Panahi's films, including his recent film about female football fans[55], Offside (2006), have been banned from public theaters in Iran. [56] Offside was relegated to "a guest slot" at the International Fajr Film Festival. "It was not shown as an important film," says Panahi. "They didn't give any value to it."[56] Several of Mohsen Makhmalbaf's films are also banned in Iran. For example, Time of Love and The night of Zaiandeh-rood were banned for dealing with physical love and for raising doubts about the revolution.[57] In 2001, feminist filmmaker Tahmineh Milani made The Hidden Half, which was accused of presenting the anti-revolutionary forces in a positive light. Milani was jailed and her belongings stolen. Many Iranian and international artists and filmmakers protested and demanded her release. Eventually President Khatami and the Minister of Culture were able to secure her release. Of a subsequent film, Two Women, Milani has said "[it] was banned for seven months and before I could even start on it my script was banned for seven years. It was eventually released and was a box office hit in Iran.[58] Among Iran's censorship rules is a ban on the depiction of women without headscarves. Joy of Madness, a documentary about the process of casting At Five in the Afternoon, was banned when Samira Makhmalbaf's own headscarf was deemed "insufficiently modest".[59] Tahmineh Milani's Kakadu, which was about the environment, was banned and still cannot be seen in Iran because it depicts a beautiful eight-year old girl who is not wearing a headscarf. In Nargess, Rakhshan Bani-Etemad who is a pioneer of Iranian cinema, pushes censorship codes to the limits, questioning the mores of society, showing desperate people overwhelmed by social conditions and a couple living together without being married.[60]Yesterday at 1:08pm • Rashed Hafiz সরি, Arri 435 । ভুলে গেছিলাম ।

ধন্যবাদ । আমাকে বলেন দেখি এই ক্যামেরা চালানো সঠিক লোক নাই ক্যান , ব্যবহারের লোক না্ই এইজন্যই তো । আর টেকনিক্যালে এফডিসি হয়তো বলিউড নয় কিন্তু টালিগঞ্জের থাইকা কি কম । তাইলে আমাগো গৌতম, ঋতুপর্ণ কিংবা বুদ্ধদেব এর মতন পরিচালক হইলো না ক্যান । হেগো তো হিন্দি ছবির দৌরত্মের কাছে আগেই দুই হাত তুলো স্যারেন্ডরি করণের কথা ।

Yesterday at 1:10pm • Rashed Hafiz জেবতিক@ আমাদেরকে কারো আইসা আটকাতে হয় না । জানেন তো আমাগো দোজগে নাকি কোন পাহারাদারও লাগে না । আর ভাস্করদা@ এফডিসিতে চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিচালক-পরিবেশকদের যে চক্র আছে সেটা তো জানেন । তাদের কথা নু শুনলে কি হয় সেটা তো সূর্য দীঘল বাড়ির সময়ই দেখা গেছে । Yesterday at 1:11pm • Kazi Mamun @Arif Jebtik-"চলচিত্রের বিকাশের জন্য বিদেশী সিনেমা আনা দরকার" আমাদের বলার কথা তা নয়, আমাদের বয়াল্র কথা হলো- শিল্পের বিকাশের জন্য উন্মুক্ত প্রতিযোগীতা দরকার, একে গার্মেন্টস সেক্টর এর সাথে গুলিয়ে ফেললে হবে না যে আহারে বাইরে থেকে কাপড় আসলো আর আমার কাপড় ধংশ হয়ে গেল।

আরে ভাই ধংশ হওয়ার আর কি বাকি আছে? আপনি কি নিয়ে ভয় পাচ্ছেন? পাকিস্থানের কথা আপনি বলছেন? পাকিস্থানে আগেও কোনো জহির রায়হান ঋত্বিক ঘটক ছিল বলে আমার জানা নেই। 'হেডম থাকলে সমুদ্রেই সাঁতার দিতে পারবে, না থাকলে কুয়োতেই ডুইবা যাইবো'Yesterday at 1:16pm • Rashed Hafiz আসলে চলচ্চিত্রের বিশাল শিল্প (দুই অর্থেই) নিয়ে আলোচনা করতে গেলে কুল কিনারা থাকব না । আসলে জায়গাটা স্পেসিফিক হওয়া দরকার । আমার আলোচনার বিষয়বস্তু কিন্তু একটাই ছিল বিদেশী সিনেমা আসলে কেন বাংলা সিনেমা শিল্প ধ্বংস হবে ?? Yesterday at 1:19pm • Kazi Mamun রাসেল ভাই তার আগে আমাকে বলেন বাংলা সিনেমা ধংশের কি বাকি আছে যে নতুন করে ধংশ হবে?Yesterday at 1:20pm • Vashkar Abedin ইরানের যেইসব ব্যান খাইছে তার বড় একটা অংশ সরকারী পৃষ্ঠপোষকতাতেই বানানো হইছে। Yesterday at 1:26pm • Rashed Hafiz মামুন@ বিদেশী সিনেমা আনলে দেশে দেথালে বাংলা চলিচ্চত্র শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে ।

বাংলা চলচ্চিত্রের ভবিষ্যত নিয়া যারা উদ্বিগ্ন তারাই বলতে পারবেন এখনও এই শিল্পে ধ্বংসে আর কি বাকি আছে । আর কতখানি তা দিয়ে ব্যবসা হচ্ছে । Yesterday at 1:27pm • Rashed Hafiz দেখুন আমরা নিয়ম করে বিদেশী সিনেমার প্রদর্শন বন্ধ রাখতে পারি । কিন্তু চোখ বন্ধ করে রেখে লাভ কি ?? প্রতিযোগিতায় নামার আগেই যদি দুই তুলে আত্মসর্ম্পন করি তবে সেই তেলপোকা হয়ে বেচে থাকার কি দরকার ?? আপনার দেশের মধ্যবিত্তের সবচেয়ে বিনোদনের বিষয় এখন হিন্দি সিরিয়াল , কই সেজন্য তো আমাদের টিভি চ্যানেল গুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে না । মোদ্দা কথা হলো বিদেশী সিনেমা আনা... See More যাবেনা বিষয়টা সেটা হওয়া উচিত ছিল না ।

বরং একটা সুষ্ঠু নীতিমালা প্রনয়নের প্রয়োজন ছিল কি কি সিনেমা কি নিয়মের ভিত্তিতে এদেশের প্রেক্ষাগৃহে চলতে পারত । তাতে আর কিছু না হোক মধ্যবিত্তের বিনোদনের একটা জায়গা তৈরী হতো । তাতে বোধকরি দেশের অর্থনীতিতে কিছুটা হলেও সামান্য কিছু রাজস্ব যোগ হতো । Yesterday at 1:43pm • Kazi Mamun @Vashkar Abedin- কথা উল্টান কেন বস? আগে ছবি বানানো হয় নাকি আগে ব্যান খায়? বরং বলেন যে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় বানানো ছবিও ওরা ব্যান করেছে কিন্তু তাও ইরানী চলচ্চিত্রের অগ্রযাত্রা রুদ্ধ করতে পারেনি। Yesterday at 1:44pm • Kazi Mamun "হেডম থাকলে সমুদ্রেও সাঁতার কাটতে পারে (মুক্ত বাজার এবং সরকারী একের পর এক ব্যান ও ইরানী চলচ্চিত্র'র অগ্রযাত্রা রুধতে পারেনি) আর হেডম না থাকলে কুয়োতেই ডুইবা মরে(যেমন করে গত ৪০ বছর ধরে কুয়োতে আটকে ডুবিয়ে মারা হচ্ছে বাংলা চলচ্চিত্রকে)" Yesterday at 1:49pm • Rashed Hafiz Oniket Alam April 27 at 12:43pm bhalo ekta post lekhar jonne dhonnobad. protection dia film industry ke rokha kora jabe na. theatre gulo bondho hoye gele amra kothay cinema dekhbo? ar middle class er to kono matha betha nai. karon amra already hindi film dekchi dvd ar cable e. so ekhon amra riksha owla der jonne kumirer kanna kadchi. Yesterday at 1:51pm • Rashed Hafiz Arif Jebtik @ মানুষ বিশেষ করে আমাদের দেশের মানুষ দেয়াল পিঠ না ঠেকা পর্যন্ত ভালো করে রিএক্ট করতেও জানে না ।

একবার দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে দেন দেখবেন তখন তার কি রিএ্যাকশন...প্রতিযোগিতা ছাড়া কি প্রতিভার বিকাশ হয় সহজে ?? Yesterday at 2:23pm • Arif Jebtik "ধ্বংস" বিষয়টা আপেক্ষিক, ঐ আলোচনায় এখন যাচ্ছি না। আমি বরং একে বলব বিবর্তন। মার্কেটের চাহিদার সঙ্গে মিলে বিবর্তিত হয়েছে। কথা হচ্ছে আরো অনেক ভালো মানের সিনেমা এখানে তৈরী হওয়ার কথা ছিল যা হচ্ছে না। কিন্তু আমার কথা তা নয়, আমার কথা হচ্ছে এই "ধ্বংস থেকে উত্তরনে" বিদেশী সিনেমা কিভাবে বড় সহায়ক হতে পারে, অন্তত বর্তমান পরিস্থিতিতে সেটা বুঝতে চেষ্টা করা।

উত্তরনে যে উৎসাহ দরকার সেটা কিভাবে আমাদের হলগুলোতে হিন্দি সিনেমা না দেখানো পর্যন্ত শুরু হবে না, সেটা আমার এখনও বোধগম্য হয়নি। আমার তো মনে হয় আমাদের সিনেমাকে সত্যিকার অর্থেই সিনেমা হিসেবে একটা বড় ইন্ড্রাস্টি করার ক্ষেত্রে বিদেশী সিনেমা আমদানিটা বড় কোনো শর্ত নয়। আমি জোর দিচ্ছি সরকারের চলচিত্র প্রেম ( যদি সত্যি থেকে থাকে ) সেটাকে সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে। আমার কিছু প্রস্তাব হচ্ছে , ১. আমাদের দেশে জাতীয় চলচিত্র পুরস্কারটাকে যে স্তরে নেয়া হয়েছে, সরকার সেটাকে অনেক শক্তিশালী করতে পারে। ভালো গল্প, ভালো মেকিং এর জন্য শুধু ক্রেস্ট আর সামান্য কয়টি টাকা সহ একটি সনদ নয়, বরং বড় আকারে পুরস্কার দিতে হবে।

পুরস্কারের গ্ল্যামার আসলে মেকারদের মাঝে প্রতিযোগিতা আসবে। ২. সেন্সর বোর্ড এবং ইত্যকার সরকারি কাজকর্মকে ঠিকঠাক করতে হবে। ৩. ব্যক্তি মালিকানাধীণ স্টুডিও এবং অন্যান্য অবকাঠামোকে প্রনোদনা দিতে হবে। ৪. কঠোর ভাবে পাইরেসি বন্ধ করতে হবে। বিনিয়োগ ফেরত আসার ক্ষেত্রে এটি একটি বড় ঝুকি।

৫. ফিল্ম ইন্সটিটিউটের বিষয়টা আগেই উল্লেখ করেছি। ৬. তরুণ ভালো মেকারদের জন্য কোনো ধরনের আর্থিক সুবিধা দেয়ার কথা ভাবা যেতে পারে। আমাদের শর্ট ফিল্মগুলোতে অনেকগুলো ভালো কাজ হয়। এদেরকে মেইনস্ট্রিমে আনার জন্য কী করা যায় সেটা ভেবে দেখা যেতে পারে। এই কাজগুলো করলে একটা পরিবেশ তৈরী হবে।

এরকম আরো অনেক কাজ বাকি রয়ে গেছে, যেগুলো হয়তো বোদ্ধারা ভালো বলতে পারবেন। এসব করে আমাদের চলচিত্রকে শক্তিশালী করার ভিত আমাদের আগে তৈরী করতে হবে, এবং সেই ভিত তৈরী না করলে শুধু বিদেশী সিনেমা আমদানি করে দেশি সিনেমার উত্তরন কতোটুকু সম্ভব, সেটা নিয়ে আমার সন্দেহ এখনও রয়ে গেছে। Yesterday at 2:34pm • Kazi Mamun @Arif Jebtik- আপনার প্রস্তাবনা গুলো ভালো কিন্তু বাংলাদেশের জন্য বা বাঙালীর জন্য দেয়ালে পিঠ ঠেকার বিকল্প নেই, প্রতিযোগীতা ছাড়া শিল্প বিকশিত হয় না, privilege দিয়ে দুনিয়ার কোথাও শিল্পের উন্নয়ন করা যায় নি, বাংলাদেশেতো এটা ধ্বংশই টেনে এনেছে। Yesterday at 2:39pm • Rashed Hafiz স্যরি...এখন উঠেত হচ্ছে...পরে এস মন্তব্য করব.. Yesterday at 2:40pm • Kajal Abdullah বাহ! ভালোই তো এই লেখাটি একযোগে তিনটি পেক্ষাগ্রহে মুক্তি পেয়েছে!ভালো লেগেছে। Yesterday at 6:41pm • Fahmidul Haq এখানে ভালো আলোচনা হচ্ছে।

একটা তথ্য শোধরানো দরকার, আরিফ জেবতিক, পাকিস্তানে ভারতীয় সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে চলছে বেশি দিন নয়। পাকিস্তানের চলচ্চিত্রশিল্প ধ্বংসের কিনারায় এসে দঁাড়িয়েছিল অনেক আগেই, ভি্সিআর আসার আগে, ১৯৭৯ সালে জিয়াউল হক সরকার ক্ষমতায় আসার পর। ঐ সরকারের ইষলামাইজেশনের জোশের প্রথম কোপটা পড়ে চলচ্চিত্রের ওপর। ১৯৭৯ সালে নির্মিত ছবির সংখ্যা ছিল ৯৮,... See More পরের বছর ৫২ বা ৫৩। ভারতীয় বা বিদেশী ছবি আমদানিতে আমাদের চলচ্চিত্র-শিল্পের উন্নয়নের নিশ্চয়তা যেমন দেয়না, তেমনি ধ্বংষও নিশ্চিত করেনা।

এই মুহূর্তে যারা করে-কেটে খাচ্ছে, তারা মূল প্রতিবাদকারী। সঙ্গে আছেন ভারত ও ভারতীয় পণ্য নিয়ে আতঙ্কে থাকা সিভিল সোসাইটির এক অংশ (আতঙ্কের কারণও আছে, অবশ্য)। আমরা ভারতীয় বা ইংরেজি বই পড়ি। আমাদের প্রকাশনা-শিল্প যা ছিল বা যেমন থাকার কথা তেমনই আছে। ভারতীয় বইকে তো হুমকি হিসেবে দেখি না, কারণ পাঠক হিসেবে ভারতীয় বই পড়ার একটা ধারাবাহিকতা আছে।

ভারতীয় ছবি বন্ধ করেছিলেন আইয়ুব খান, ১৯৬৫ সালে যুদ্ধ শুরু হবার পরপরই। আঞ্চলিক রাজনীতির কারণে এটা হয়েছে। আবার বঙ্গবন্ধু সরকার উর্দু ছবি বন্ধ করেন ১৯৭২ সালে। কারণ জাতীয়তাবাদী রাজনীতি, আঞ্চলিক রাজনীতি। কিন্তু আমি ভারতীয় হিন্দি-বাঙলা কেন, যদি সাবিহা সুমারের উর্দু ছবি 'খামোশি পানি' দেখতে চাই বড় পর্দায়।

'মাটির ময়না' দেখলে পাকিস্তানিদেরও ১৯৭১ বা তার পূর্বের ঘটনা সম্পর্কে ভুল ভাংবে। সব ধরনের বিদেশী ছবি আমি সিনেমা হলে দেখতে চাই। 'অবতার' আমি ডিভিডিতে দেখেছি, কিন্তু বড় পর্দায় দেখতে চাই। থ্রি ইডিয়টস তিনবার দেখেছি ডিভিডিতে, প্রেক্ষাগৃহে আবার দেখতে চাই। এটা অধিকার।

আইয়ুব খানের দেশ ব্যান উঠিয়ে নিয়েছে, আর আমরা আইয়ুববিদ্বেষী হবার পরেও আইয়ুব খানের জারিকৃত আদেশ সংরক্ষণ করছি। এখন কোনো ভারত-বান্ধব সরকার যদি সেই সুযোগ করে দেয়, আমি স্বাগত জানাবো। রাহা, শিরোনাম পছন্দ হয়েছে। Yesterday at 9:00pm • Arif Jebtik @ফাহমিদুল হক, আমরা ভারতীয় বই পড়ি ঠিকই, কিন্তু যখনই আনন্দবাজার গোষ্ঠি এখানে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান খুলতে চায়, তখন শাহবাগের প্রকাশক পাড়া কিন্তু তার বিরোধিতা করে। বিষয়টা রুটি রুজির জন্যই।

Yesterday at 9:56pm • Arif Jebtik আচ্ছা, প্রাসঙ্গিক একটা ব্যাপার মনে পড়ল। স্টার সিনেপ্লেক্সে কিংবা মধুমিতায় যে ইংরেজী ছবিগুলো দেখায় তার ব্যাপারে নিয়ম কী ? মানে এই নিষেধাজ্ঞা কি ভাষা ভিত্তিক নাকি দেশ ভিত্তিক ? সব আমদানি নিষিদ্ধ হলে স্টার সিনেপ্লেক্স কিংবা মধুমিতা কিভাবে আনছে ? কেউ জানলে একটু আলোকপাত করেন। Yesterday at 9:58pm •

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।