আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ম্যানবুকার পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের ছোটগল্পকার দাভিস

তিনি ১৯৪৭ সালের ১৫ জুলাই নর্থহ্যাম্পটনে জন্মগ্রহণ করেন।
খ্যাতিমান ফরাসি ঔপন্যাসিক, সমালোচক, প্রাবন্ধিক মার্শেল প্রুস্তের লিখনশৈলী দ্বারা অনুপ্রাণিত দাভিস বুধবার লন্ডনে ৬০ হাজার পাউন্ড মূল্যমানে বুকার পুরস্কার গ্রহণের পর বলেন, “আসলে আমি যখন প্রুস্তর লেখা অনুবাদ করি, তখন আমি ভাবছিলাম, একটি ছোটগল্প কত ছোট হতে পারে। আমি ভাবছিলাম, তুমি কত অল্পকথায় কার্যকর ভাবে বলতে পারো। ”
দাভিসের বড়গল্পগুলো দুই-তিন থেকে শুরু করে নয় পৃষ্ঠা পর্যন্ত রয়েছে।
দাভিস এ পর্যন্ত তার লেখক জীবনে একটিমাত্র উপন্যাস লিখেছেন।

বুকারের আন্তর্জাতিক বিচারক প্যানেলের চেয়ারম্যান ক্রিস্টোফার রিকস বলেন, ৬৫ বছর বয়সী দাভিসের গল্পগুলো সাহিত্যের অনেক কাঠামো ও গঠনশৈলীকে ভেঙ্গে দিয়েছে। আর এ জন্য তার সাহিত্যকর্মকে একটি সীমিত একক অভিধায় নিয়ে আসা কঠিন।
রিকস বলেন, “আমাদের কি উচিৎ হবে এগুলোকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গল্প অভিধা দিয়ে একটি সরল উপসংহারে চলে আসা?”
দাভিসের একমাত্র উপন্যাসের নাম ‘দ্য এন্ড অব দ্য স্টোরি’। তার সাতটি গল্পগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ‘ব্রেক ইট ডাউন’, ‘অলমোস্ট নো মেমোরি’, ‘স্যামুয়েল জনসন ইজ ইনডিগনেন্ট’ এবং ‘ভ্যারাইটিস অব ডিসটার্বেন্স’ উল্লেখযোগ্য।


২০১৪ সালে তার নতুন গল্পগ্রন্থ ‘কান্ট অ্যান্ড ওন্ট’ যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রতি দুই বছর অন্তর জীবিত কোনো লেখকের সমগ্র সাহিত্যকীর্তির ওপর ভিত্তি করে ‘দ্য ম্যান বুকার ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ’ প্রদান করা হয়। তবে এ ক্ষেত্রে লেখকের ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত বা ইংরেজি অনুবাদে প্রকাশিত সাহিত্যকর্ বিবেচনা করা হয়।
এরআগে সর্বপ্রথম ২০০৫ সালে আলবেনীয় লেখক ইসমাইল কাদারেকে পুরস্কৃত করে ম্যানবুকার পুরস্কার চালু হয়। ২০০৭ সালে নাইজেরিয়ার চিনুয়া আচেবি, ২০০৯ সালে কানানার ঔপন্যাসিক এলিস মুনরো এবং ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ঔপন্যাসিক ফিলিপ রথ এই পুরস্কার অর্জন করেন।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।