আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সৃষ্টি প্রক্রিয়া- হোমাঙ্কিউলি

হিন্দু না ওরা মুসলিম ঐ জিজ্ঞাসে কোনজন, কান্ডারি বলো ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মা'র

আমাদের সভ্যতার গল্প শোন। ১৯১৫তে পেট পুড়ে গ্যাস খেয়ে, সারাদেহ কালো আর নীল রঙে রাঙিয়ে, ছোট্ট জীবনটাকে আরো ছোট করেছিল তরুণ সৈনিকেরা। ১৯৪৫এ ঝলসেছিল হিরোসিমা, ঝলসেছিল মানুষের মুখ, কবির আত্মা। তারপর থেকে প্রতিরাত ওয়ালাপার্গিসের রাত, পৃথিবী শাসন করে সব মাথামোটা ইপসিসিমাসের দল, মহান বিজ্ঞানীরা সব ব্লাক মাস আবৃত্তি করে, দারিদ্র্য, ক্ষুধা আর দুর্যোগ-বিপর্যয়ের মাঝে সবচেয়ে বড় প্রার্থনা আজ ধ্বংসের সাবাথ। তারপর একদিন আবার ঝলসাবে পৃথিবী।

তোমার দরজায় করা নাড়বে প্লেগ, দ্যা ব্লাকডেথ। তোমার সুন্দর মুখ ছেয়ে যাবে গুটি বসন্তে। বুকভরে অক্সিজেনের বদলে আমরা নেব- রাইসিন, ট্রাইকোথেসিন মাইকোটক্সিন। স্বর্বশেষ কবিতার খাতা হবে কংক্রিটের দেয়াল, কালি হবে রক্ত। কমলা আকাশের নিচে, ঠিক ডায়নোসরদের মতো ধুঁকে ধুঁকে, নিঃশেষ হবে স্বর্বশেষ মানুষের দল।

২১বছরের তরুণী বসুন্ধরার গলা কাটবে লুসিফার, আকণ্ঠ রক্ত পান করে, তারপরই জন্ম নেবে, সেই বীভৎস সৃষ্টি, হোমাঙ্কিউলি। আমাদের সভ্যতার গল্প শোন। । তারিখঃ ২৬-১১-২০০১ [ ২০০০ থেকে ২০০২, অদ্ভুত একটা সময় পার করেছি। তখনো কৈশোর পেরোয়নি, অথচ গাঢ় এক নিহিলিজমের জগতে ছিল বসবাস।

সভ্যতা এবং মানব জাতির ভবিষ্যত নিয়ে এক চরম নৈরাশ্যবাদী চিন্তা চেতনা ধারণ করতাম। মানব জাতির কোন ভবিষ্যত আছে বলে মনে হত না, পৃথিবীর বুকে দূষণ আর বিকৃতির জন্ম দেয়া বর্বর আর বীভৎস এই জন্তু মানুষ একবিংশ শতকের চৌকাঠ পেরোতে পারবে এমন ধারণা করতাম না। আমি নিজের অবস্থান করে নিয়েছিলাম এই সমাজ সভ্যতার বাইরে। সেই বাইরে থেকে কিছু কবিতা লিখেছিলাম, নৈরাশ্য আর না-বাদএর কবিতা। এইসব কবিতা কখনো কোথাও ছাপতে দেই নাই।

ঘনিষ্ঠ কিছু বন্ধু ছাড়া কেউ পড়ে নাই। এখন আর এমন গাঢ় নৈরাশ্য আর নৈরাজ্যের জগতে বসবাস করিনা। হঠাৎ করেই ইচ্ছা হলো ঐসময়ের কিছু কবিতা প্রকাশ করার। আপাতত সামুকেই বেছে নিলাম। ]


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।