আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শেখ মুজিবুর রহমানই ১৯৭২ সালের সংবিধানকে অকার্যকর করার জন্য সর্বপ্রথম বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন-----বদরউদ্দীন ওমর

সত্য সব সময়ই সত্য, তবে আপেক্ষিকতার নিরিখে।

শেখ মুজিবুর রহমানই ১৯৭২ সালের সংবিধানকে অকার্যকর করার জন্য সর্বপ্রথম বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন-----বদরউদ্দীন ওমর। http://www.biplobiderkotha.com তিনি ওই সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী পাস করে তার চার স্তম্ভের অন্যতম গণতন্ত্র বিধ্বস্ত করেন। এই সংশোধনীর জোরে তিনি নিজেদের দল বাকশাল ছাড়া অন্য সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করেন। সরকারি দু-একটি পত্রিকা বাদে সব পত্রপত্রিকা, এমনকি মাসিক পত্রিকা পর্যন্ত নিষিদ্ধ করেন এবং নিজের দল বাকশালের দরজা আনসার, মিলিটারি, পুলিশ ইত্যাদির জন্য উন্মুক্ত করে সশস্ত্র বাহিনীকে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণের পথ প্রশস্ত করেন।

১৯৭৫-পরবর্তী সময়ে যে জিয়াউর রহমান সামরিক কর্তাব্যক্তি হিসেবে ক্ষমতায় বসেন তিনি ছিলেন শেখ সাহেবের ‘বাকশাল’-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। এদিক থেকে বলা চলে, শেখ সাহেব যে বীজ বপন করেছিলেন, জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসন আমলেই তা প্রস্ফুটিত হয়েছিল। কিন্তু এটা মনে করা আবার এক চরম মূর্খতা যে, শেখ সাহেব শুধু একজন স্বৈরতন্ত্রী ছিলেন বলেই তিনি চতুর্থ সংশোধনী পাস করে এক চরম অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তৈরি করেছিলেন। এ চিন্তা অবাস্তব। সংক্ষেপে বলা চলে, আওয়ামী লীগের তিন বছরের শাসনকালের মধ্যেই সরকার থেকে নিয়ে ক্ষমতাসীন দল ও নব্য শাসকশ্রেণীর সমগ্র অংশ লুটতরাজ, চুরি, দুর্নীতি, প্রতারণা ইত্যাদির মাধ্যমেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল যা সামাল দেয়ার জন্য শেখ মুজিবকে চতুর্থ সংশোধনী পাস করতে হয়েছিল।

স্বৈরতন্ত্রের তাগিদ সেই পরিস্থিতির মধ্যেই ছিল। কিন্তু পরিস্থিতির মধ্যে আরও পরিবর্তন ঘটতে থাকায় তার শেষ রক্ষা হয়নি। চতুর্থ সংশোধনীর ধারাবাহিকতা রক্ষা করেই পাস হয়েছিল বিভিন্ন সরকারের আমলে একের পর এক অগণতান্ত্রিক সংশোধনী।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।