মোনে আমার শিক্ষার ক্ষুদা মিটাবেন কি মোনের জ্বালা।
ধনকুবেরের সম্পদের পরিমাণ ৪ হাজার ৭শ’ কোটি ডলার। বার্কশায়ার হাতাওয়ে নামের একটি বিখ্যাত কোম্পানির তিনি সিইও (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা)। মাসে বেতন পান ১ লাখ ডলার। তিন সন্তানের জনক বাফেট মাত্র ছয়বছর বয়সে বিনিয়োগ করেন ২৫ সেন্ট।
পিতামহের মুদি দোকান থেকে ছয় প্যাকেট কোকাকোলা কিনে তা বিক্রি করে জীবনে প্রথম মুনাফা অর্জন করেন ৫ সেন্ট।
তারপর এ অবধি তিনি বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করেছেন কোটি কোটি ডলার। মুনাফা হিসাবে ফেরত এসেছে লাখ লাখ ডলার। পুরো জীবনে না হোক; একটি সপ্তাহ জুড়ে, এমনকি মাত্র একটি দিন অঢেল সম্পত্তির মালিক হতে হয়তো অনেকেই বাসনা করে থাকেন। কাড়ি কাড়ি টাকা হাতে নিয়ে যথেচ্ছ খরচ করতে চান।
বিলাস ব্যসনে যাপন করতে চান জীবন। কিন্তু বিশ্বাস করুন আর নাইবা
করুণ ধনকুবেরদের অধিকাংশই জীবন-যাপন করেন অত্যন্ত সাধারণভাবে। ইনভেস্টোপিডিয়ায়
এমন পাঁচজন ধনকুবেরের মিতব্যয়ী জীবনের বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে।
ওয়ারেন বাফেট
ওয়ারেন এডওয়ার্ড বাফেটের জন্ম ১৯৩০ সালের ৩০ আগস্ট যুক্তরাস্ট্রের নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্যের ওমাহা শহরে। বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সবচেয়ে সফল এই মার্কিনীর আছে আলিশান বাড়ি ও আনুষঙ্গিক জৌলুসপূর্ণ মালসামানা।
অথচ অত্যন্ত সাধারণভাবে জীবন-যাপনে অভ্যস্ত এই ধনকুবের। পঞ্চাশ বছর আগে ওমাহা শহরে মাত্র ৩১,৫০০ ডলার দিয়ে কেনা একটি সাদামাটা বাড়িতে সস্ত্রীক বাস করেন তিনি। খাবারের মধ্যে পছন্দ চিকেন ফ্রাইসহ বার্গার। পানীয় চেরি কোক।
কার্লোস ি ম
লেবানীজ বংশোদ্ভূত মেক্সিকান ধনকুবের কার্লোস ি ম বিশ্বে ধনীর তালিকায় শীর্ষে থাকা বিল গেটসকে টপকে তার স্থান দখল করে নিয়েছেন।
তার সম্পদের পরিমাণ ৫ হাজার ৭শ’ কোটি ডলার। অথচ বাফেটের মতোই অতি সাধারণ জীবন-যাপন করেন তিনি। অথচ তার যে সম্পদ আছে তা ব্যয় করে সম্ভাব্য সব ধরনের মনোবাসনা পূরণ করার সামর্থ্য রাখেন মেক্সিকান এই ধনকুবের। বাফেটের মতোই চল্লিশ বছর ধরে একেবারে সাধারণ গোছের একটি বাড়িতে তিনি বাস করেন। নেই নিজস্ব বিমান।
এমনকি ইয়ট নামের ছোট্ট নৌযান। দামি খাবারের প্রতি লোভ তার নেই বললেই চলে। সাধারণমানের খাবারে ক্ষুণিœনিবৃত্তি করতে পারলেই চলে যায় দিন।
ইঙ্গভার ক্যাম্পরাড
ইঙ্গভার ক্যাম্পরাডের জন্ম ১৯২৬ সালে সুইডেনের একটি পল্লীতে। ছেলেবেলায় বাইসাইকেলে করে গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে দিয়াশলাই বক্স বিক্রি করতেন তিনি।
এক সময় একই পদ্ধতিতে বিক্রি করতেন মাছ। ১৭ বছর বয়সে ‘আইকা’ নামে একটি রাসায়নিক পদার্থের (যা ফার্নিচারের জোড় লাগাতে ব্যবহৃত হয়) কারখানা গড়ে তোলেন ইঙ্গভার। বর্তমান তার সম্পদের পরিমাণ ৩ হাজার ৬শ’ কোটি ডলার। অথচ অতি সাধারণভাবে জীবন-যাপন করেন এই সুইডিশ ধনকুবের। বিমানে সাধারণ যাত্রীদের মতোই করেন ভ্রমণ।
ব্যবসার প্রয়োজনে শহরে বের হতে হলে পাবলিক বাসে, কখনও কখনও ১৫ বছরের পুরানো ভলবো ২৪০ জিএল তার বাহন।
চাক ফিনি
আইরিশ আমেরিকান চাক ফিনি ১৯৩১ সালের ২৩ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে জন্মগ্রহণ করেন। কোরীয় যুদ্ধের সময় তিনি মার্কিন বিমান বাহিনীতে কাজ করেন রেডিও অপারেটর হিসাবে। ডিউটি ফ্রি শপার গ্রুপের (ডিএফএস) তিনি কো-ফাউন্ডার। বর্তমান তার সম্পদের পরিমাণ ২ হাজার ৬শ’ কোটি ডলার।
অথচ অতি সাধারণ বেশে তিনি চলাচল করেন। বিমানে ও পাবলিক বাসে যাত্রী হন ইঙ্গভারের মতোই। পরিধেয় পোশাক-আশাক ক্রয় করেন ছোটখাটো দোকান থেকে। খাবার গ্রহণ করেন অন্য দশজনের মতোই স্বাভাবিকমানের।
ফ্রেডারিক মেইজার
মার্কিন ধনকুবের ফ্রেডারিক মেইজারের সম্পদের পরিমাণ ৫শ’ কোটি ডলার।
অথচ বাফেট, কার্লোস, ইঙ্গভার ও ফিনির মতোই অতি সাধারণ জীবন-যাপনে অভ্যস্ত তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।