কিছু স্বপ্ন দেখি। স্বপ্নগুলো অনেক সুন্দর।
এই পিএল এর মধ্যে আমার একটি সাধারন দিন। যারা আমার মত প্রথম শ্রেনীর অলস তারা মিলিয়ে দেখেন আমার সাথে কতটুকু মিলে।
ঘুম ভাঙ্গল সকাল(!) ১১.৩০ টায়।
একটা মধুর স্বপ্ন দেখছিলাম। ঘুমটা ভেঙ্গে গেল একদম ক্লাইমেক্স এর ঠিক আগে। স্বপ্নটা রি-স্টার্ট মারার ট্রাই দিলাম অনেক্ষন ধরে, কিন্তু লাভ হল না। মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল। এদিকে তলপেটে প্রচন্ড চাপ পরেছে।
ধুর ছাই!কেন যে বাথরুম চাপল এই রকম একটা সময়ে। মনে মনে ভাবলাম বাথরুম থেকে ফিরে আবার ঘুমটা রি-স্টার্ট মারতে হবে। অনেক কষ্টে দুলকি চালে বিছানা ছেড়ে উঠলাম।
আয়নায় নিজেকে দেখে চমকে উঠলাম। মাথা ভর্তি উষকো খুষকো চুল।
মুখে খোচা খোচা দাড়ি। চোখের নিচে কাল দাগ। আমাকে একটা কিম্ভুতকিমাকার জন্তুর মত লাগতেছে।
সাবানের কেসটা হাতে নিয়ে ঢুলতে ঢুলতে হাটতেছি। গন্তব্য ২০৬ নম্বর রুম থেকে বাথরুম।
অনেকটা পথ হাটতে হবে। এই হাটতে হাটতে একটা ছোট্ট ঘুম দিয়ে দিলে কেমন হয়? একচোখ খোলা রেখে আমি ঘুম দেয়া শুরু করলাম।
বাথরুমে গিয়ে দেখি তিনটা টয়লেটই বুকড। শুরু হল এক বিচ্ছিরি অপেক্ষা। জগতের সবচেয়ে বিপদজনক অপেক্ষা কারে কয়!নিজেকে সান্তনা দিলাম প্রেমিকার জন্য প্রেমিকের অপেক্ষা নিশ্চয় আরও যন্ত্রনাদায়ক।
অনেক্ষন পর জুনিওর একটা ছেলে বের হল টয়লেট থেকে। আমাকে দেখেই সালাম দিয়ে বসল। টয়লেটের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে সালাম দিলে কি করা উচিৎ, বুঝতে পারলাম না। কোন কথা না বলে নিজ কর্মে মন দিলাম।
ওম শান্তি! শান্তি! শান্তি! জগতের সকল প্রানি শান্তি লাভ করুক।
রুমে ফিরে দেখলাম ঘুমের সেই নেশাটা আর নেই। স্বপ্নের ডাটাগুলোও হারিয়ে গেছে। কিছুতেই মনে করতে পারলাম না। কিন্তু মনটা বেশ ফুরফুরে লাগছে।
ক্যাফেটেরিয়াতে সকালের নাস্তা সেরে যখন ফিরি তখন ঘড়িতে ১২.৩০ টা বাজে।
এদিকে হল-এর দুপুরের ডাইনিংও চালু করে দিয়েছে। একে ব্রেকফ্রাস্ট বলব নাকি ব্রেকলাঞ্চ বলব বুঝতেছি না।
দুপুর ২.৩০ টার সময় ডাইনিং-এ খেতে গেলাম। খেতে খেতে আমার মনে হচ্ছিল যেন আমি লবন ছাড়া ঘাস খাচ্ছি। আফসোস হল, ইস! যদি গরু হতাম এই ঘাস-ই আরাম মত খেতে পারতাম।
যাহক, অনেক কষ্টে বমি আটকে রেখে এই একপ্লেট ঘাস-ই ডাল দিয়ে চোখবুজে খেয়ে ফেললাম।
রুমে ফিরে দুপুরের ঘুমের ইন্তেজাম শুরু করলাম। আহ কি শান্তি! আয় ঘুম আয়!
ঘুম থেকে উঠে দেখি বিকাল হয়ে গিয়েছে। আমরা তিনজন রুমমেট একসাথে বের হলাম। পলাশীতে গিয়ে আমার জনৈক রুমমেট সিদ্ধ ডিম খাওয়া শুরু করল।
তিনি সাথে সাথে এর পুষ্টিগুন এবং উপকারিতা সম্পর্কে তার জ্ঞানভান্ডার আমাদের সামনে তুলে ধরতে লাগলেন। আমি মুগ্ধ হই তার এই জ্ঞানগর্ভমুলক কর্মকান্ডে। বেশী কথা না বাড়িয়ে আমিও একটা নিলাম। দেখি কেমন উপকার হয়।
সন্ধ্যা ৭.০০ টার দিকে রুমে ফিরে আসলাম।
এখন মুভ্যি দেখার সময়। আমার আরেক রুমমেট তামিল মুভ্যির খুব ফ্যান। শুরু হল তামিল মুভ্যি …………………………
(তারপর আর মনে নেই)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।