saving the world by sleeping
আসুন রচনা লিখি
আমি অনেকদিন থেকে রচনাটা লেখার পরিকল্পনা করতেছিলাম । কিন্তু ব্যস্ত থাকা সময় করে বসতে পারতেছিলাম না । যাই হোক ব্লগে লগইন করতেই এক ব্রাদারের খোলা চিঠি (স্টিকি পোস্ট) পাইলাম । ঐটারে প্রিয়তে এড করে এখন রচনাটা লিখতে বসলাম ।
ইতিহাস:
বাঙালী জাতি সময়ের কদর করতে শিখে গেছে ।
আগে তাদের সময়ের মূল্য জ্ঞান ছিল না । এই বদনাম গোচানোর জন্যই বাঙালীরা উঠে পড়ে লেগে গেছি ।
কি উপায়ে :
প্রথমত, আমরা নিজেদেরকে সময়ের আগে নিয়ে যেতে সক্ষম হলাম । এই বিশ্বব্রমান্ডের চাঁদ, সূর্য় তাবৎ কিছুকে কলা দেখিয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি । এমনকি যুগ য়ুগ ধরে মনি ঋষিদের হিসাবকষা সময়ের ভুল ধরিয়ে আমরা নিজেদেরকে অগ্রজ জাতি হিসেবে প্রমাণ করেছি ।
দিতীয়ত, ডিজিটাল পদ্ধতি অবলম্বন করে আমরা বিদ্যুতের সময় নির্ধারণ করছি । একদম খাটি বাইনারি উপায়ে ।
বর্ণনা :
ছোটবেলা থেকে সময়ের মূল্য রচনা পড়েই আসছি। শুধু এই একটা ক্ষেত্রেই দেখি বইয়ের পড়া বাস্তব জীবনে এক বিশাল প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি । আমরা এই প্রবাদে বিশ্বাসী
"Early to bed and early to rise
Makes a man healthy, wealth and wise... "
আমরা যে কি পরিমাণ জ্ঞানী তা নিশ্চয় প্রমাণের দরকার নাই ।
সূর্য়িমামা ছয়টায় উঠলেও আমরা তার আগেই আমাদের কাজের পরিকল্পনা গুলো করে ফেলি ।
এই পদ্ধতি আমাদের কতটা উপযোগ বয়ে এনেছে তার কোনো দলিল বা দস্তাবেজ না থাকলেও আমরা নতুন আরেকটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করে ফেলেছি । আগে যেখানে অনেক এলাকাতেই সারাদিনে এক কি দুই ঘন্টা বিদ্যুত না থাকলেও, এখন পুরো সিস্টেমটাকে আমরা ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় এনে ফেলেছি । বাইনারীর বেসিক বা মূল হল ০ এবং ১ । এখন প্রশ্ন হতে পারে বিদ্যুত আসাকে ০ না ১ ধরব ।
এটা আমরা আমাদের বিশেষজ্ঞ টিমের উপর ছেড়ে দিই ।
আমরা এখন সবকিছুই করছি ঘড়ি ধরে । কারেন্ট আসবে কয়টায় । ঠিক ১২টায় । আসার দুঘন্টার মাঝেই আমরা বিদ্যুত সংশ্লিষ্ট যাবতীয় কাজগুলো করে ফেলছি ।
কে বলে আমরা অলস জাতি ? আবার সবকর্মগুলো গুছিয়ে বিদ্যুতকে বিদায় জানাবার জন্যে ঘড়ি ধরে বসে থাকি । এইনা হলে সময়ের মূল্য বোঝা যায় ??
উপকারিতা :
আমরা দেশের সম্পদ বাচাইতেছি । মানে সংরক্ষণ করছি । উপরওয়ালাদের অপকর্মের দায়ভারগুলো আমরা বন্টন করে নিতেছি । আমরা আমাদের কৃষকদের বিশাল কদর করতেছি ।
অপকারিতা :
এর কোনো অপকারিতা কারও নজরে আসে নাই ।
উপসংহার :
আমরা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে একটা কংকালসার দেশ উপহার দিয়ে যাইতেছি । এ নিয়ে আমার কোনো আক্ষেপ নাই । কারণ আমি জানি উপরের দিকে থুতু থুতু ছিটালে সেটা নিজের গায়েই পড়ে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।