আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সময়ের কসম

আমরা কি সময়কে দাম দিচ্ছি? সময়কে যে যত বেশি গুরুত্ব দেবে সে তত বেশি এগিয়ে থাকবে। সূরা আল-আছর এর শুরুতেই আল্লাহ সময়ের কসম খেয়েছেন। সূরা আল-আছর এর বাংলা অনুবাদঃ "সময়ের কসম। মানুষ আসলে খুবই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। তবে তারা ছাড়া যারা ঈমান এনেছে ও সৎকাজ করতে থেকেছে এবং পরস্পরকে হক কথার ও সবর করার উপদেশ দিতে থেকেছে।

"
সময়ের লাগাম টেনে ধরার মন্ত্র দিয়ে গেছেন আইনস্টাইন। আলোর গতিবেগের বর্গ গতিবেগে দৌড়ুতে পারলে সময়কে স্থির করে ফেলা যাবে। সময়ই তখন শক্তির পিছে দৌড়ুবে। এখন যেমন অপশক্তির পিছে সময় দৌড়ুচ্ছে। কারণ আইনস্টাইনের এ তত্ত্ব ব্যবহার করে ক্ষতিকর পারমাণবিক বোমা বানানো হয়েছে।

অপশক্তির কাছে জিম্মি হয়ে মানুষ আসলেই খুব ক্ষতির মধ্যে রয়েছে।
বর্তমানে ১ সেকেন্ডে একটি আন্তঃ মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ১০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারে। এই গতিতে ক্ষেপনাস্ত্রের আগায় পারমানবিক ওয়্যারহেড লাগিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যেই পুরো পৃথিবী ধ্বংস করে দেওয়া সম্ভব। পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলো ক্ষেপনাস্ত্রের গতি বাড়ানোর চেষ্টায় কোটি কোটি ডলার খরচ করে যাচ্ছে। গতি বাড়াতে পারলে সময় আরও নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

পারমাণবিক ক্ষেপনাস্ত্রের আঘাতে যত কম সেকেন্ডে একটি দেশ ধ্বংস করা যাবে সে সক্ষমতার দেশই পুরো পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করবে। তাই মানুষ আসলেই খুব ক্ষতির মধ্যে রয়েছে।

একটি যানবাহনের গতি বাড়ালে সময়ের গতি কমবে। ধরা যাক একজন মাত্র মানুষ বহনকারী একটি ড্রোন বানানো হলো। ১ মিনিটে ১০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয়।

তাহলে পুরো ঢাকা শহরটা চক্কর দিতে কতক্ষণ সময় লাগবে! পুরো বাংলাদেশ ঘুরে আসতে কয় মিনিট সময় যাবে! এরকম একটি বাহনে চড়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কোনো ব্যক্তি ৭ বিভাগে ৭টি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করতে পারবেন একদিনেই। সময়কে এভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে কাজের গতি বেড়ে যাবে বহুগুণ।

বিজ্ঞানীরা নিশ্চয়ই বসে নেই। ড্রোন যখন আবিষ্কৃত হয়েছে, একজন মানুষ বহন উপযোগী যানবাহন আবিষ্কৃত হয়ে যাবে অচিরেই। গতি বাড়ানোর লক্ষ্য হবে সময়কে যথোপযুক্ত ভাবে ব্যবহার করা।

আজকাল ইন্টারনেট তথ্য কিংবা ছবির আদান-প্রদানে সময়কে অনেকটা স্থির করে দিয়েছে। সেকেন্ডেরও ভগ্নাংশ সময়ে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে তথ্য পাঠানো যায়। আলবার্ট আইনস্টাইনের ফোটো-ইলেক্ট্রিক এফেক্ট অনুযায়ী আলো ধাতব যে কোনো বস্তুর ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র উপাদানকে স্থানান্তর করতে পারে৷ এ সূত্র ধরে ভবিষ্যতে আরও নতুন কোনো প্রযুক্তির কল্যাণে পুরো বস্তুটিই স্থানান্তরিত হয়ে যেতে পারে।

সময়কে নিয়ন্ত্রণ করার কথা ভাবতে হবে জ্ঞান দিয়ে। জ্ঞান-বিজ্ঞানে মানুষ যত গতি বাড়াবে ততই সময় নিয়ন্ত্রণে এসে যাবে।

সময়কে নিয়ন্ত্রণে এনে মানুষের কল্যাণে কাজ করা সম্ভব। আর মানুষের কল্যাণে যা করা হবে তা অবশ্যই সৎ কাজ। এরকম কাজই মানুষকে ক্ষতির বাইরে রাখবে। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।