মাত্র ক’দিন আগে পদ্মার পাড়ে ফরিদপুরের সবচেয়ে বড় যৌনপল্লী ঘুরে গেছেন গার্ডিয়ানের সাংবাদিক জুয়ানা মুরহেড। তার অভিজ্ঞতা নিয়েই ব্রিটিশ জনপ্রিয় দৈনিক গার্ডিয়ানে একটি রিপোর্ট লিখেছেন তিনি। এতে যৌনপল্লীর ৮০০ যৌনকর্মীর করুণ কাহিনী তুলে ধরেছেন তিনি। বলেছেন, অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে ২০১০-এও যৌন ব্যবসা করছে ওরা। শুধু তাই নয় ১৮ বছরের নিচে যৌন ব্যবসায় যুক্ত না হওয়ার কথা থাকলেও অনেকেরই বয়স এর চেয়ে কম।
সরদারনিরা তাদের টাকা দেয় না। ন্যূনতম ১০০ টাকায় তারা খদ্দেরের শয্যাসঙ্গী হয় এমন বিষয় তো মামুলিই। কিন্তু গরুর মতো তাদের খদ্দেরের উপযোগী করতে ওরাডেকসন ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে তাদের শরীরে। যা কি না তাদের জীবনকে হুমকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। নিজেদের অজান্তেই যৌনকর্মীরা তাদের কিডনি সমস্যায় পড়ছে।
এ ওষুধ সেবনে তাদের রক্তচাপ বাড়বে। হরমোনগত অনেক সমস্যা হবে। এ ধরনের ওষুধ সহজেই পাওয়া যাচ্ছে। এটি যে জীবনকে কঠিন করে ফেলেছে সে বিষয়টিও কেউ যৌনকর্মীদের জানাচ্ছে না। কেবল ফরিদপুরের যৌনপল্লীর বাসিন্দারাই যে এ ড্রাগে আসক্ত তা নয়, ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী যৌনকর্মীরা এ ওষুধের একেবারেই সিদ্ধহস্ত।
অবশ্য হাল আমলেও যৌনকর্মীর নিজের অধিকার প্রয়োগের সুযোগ নেই। অন্ধকার জগতে বন্দি জীবনে বাধ্য তারা। আর তাই তিলে তিলে ধ্বংস হচ্ছে নয়া এ বিপদে
দিনের শেষে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।