কোন একদিন.. এদেশের আকাশে... কালেমার পতাকা দুলবে, সেদিন সবাই ... খোদায়ী বিধান পেয়ে দু:খ বেদনা ভুলবে..
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী তাঁর কাস্টমার এর দেয়া HSBC ব্যাংকের চেক নিয়ে গুলশান শাখায় গেলেন। গিয়ে যথারীতি টাকা তুলে ফিরে এলেন তাঁর প্রতিষ্ঠানে। তাঁর ভাস্তে যখন টাকাটা গুনতে গেল তখন সে ঐ টাকার বান্ডিলে খুঁজে পেল একটা নকল নোট। সাথে সাথেই বান্ডিল নিয়ে সেই ব্যবসায়ী দ্রুত ফিরে গেলেন ঐ ব্যাংকে। ব্যাংকের যে কাউন্টার থেকে তিনি টাকার বান্ডিলটা নিয়েছিলেন তাকে নকল নোটসহ বান্ডিলটি দেখাতেই সে কোন রা না করে বান্ডিলটা নিয়ে নতুন আরেক বান্ডিল টাকা দিয়ে দিলেন।
তার দুয়েকদিন পর আবারও আরেকটা চেক ভাঙিয়ে ফিরে এসে তিনি আরেকটা নকল নোট দেখতে পেলেন। এবারও ব্যাংকে গিয়ে জানাতে না জানাতেই কোন কথা না বাড়িয়ে কাউন্টারম্যান টাকাটা পরিবর্তন করে দিল।
আজ আবার ঘটল একই রকম আরেকটা ঘটনা এবং একই স্থানে। এবার একই ব্যবসায়ী ঐ একই ব্যাংক হতে চেক ভাঙিয়ে টাকা তুলে পাশের আরেক ব্যাংকে নিজের একাউন্টে টাকাটা জমা দিতে গেলে ঐ ব্যাংকের কাউন্টারম্যান সেই টাকাতে একটা জালনোট দেখতে পেলেন। টাকাটার উৎস সেই HSBC ব্যাংকে ফেরত দিতে গেলে এবার কাউন্টারম্যান টাকাটা পরিবর্তন করে দিতে অস্বীকার করল।
তবে ব্যাংকের ঐ শাখার সুপার ভাইজারকে নোটটা দেখাতেই তিনি কোন যাচাই না করে, এমনকি সংশ্লিষ্ট কাউন্টারম্যানের সাথে কোন কথা না বলে এটাকে ভাল নোট বলে তা রেখে দিয়ে আসল আরেকটা নোট দিয়ে বিদায় করে দিলেন।
উপরোল্লিখিত তিনটি ঘটনায় কিছু মিল রয়েছে:
১. প্রতিবারই ক্লায়েন্ট ব্যাংক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর নকল নোটটি সনাক্ত করতে পেরেছে, অথচ ফেরত দিতে আসলে তা নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য করেনি কর্তৃপক্ষ। তাহলে নিশ্চয়ই তারা তাদের ব্যাংক থেকে নকল নোট যেতে পারে বলে স্পষ্ট ধারনা রাখে।
২. নকল নোট পাওয়া মাত্র তা নষ্ট করে ফেলার নিয়ম রয়েছে ব্যাংকে। অথচ সেই নিয়ম কোনবারই অনুসরন করেনি কর্তৃপক্ষ।
তারা নোটটি নষ্ট না করে বরং তা সংরক্ষন করে রেখেছে।
৩. তৃতীয়বার স্পষ্ট নকল নোটকে ভাল নোট বলে আখ্যায়িত করে, নোট পরিবর্তন করে নকলটি রেখে দিয়েছে।
এইচ এস বি সি ব্যাংকের সাথে যেকোন লেনদেন এর ব্যাপারে সবাইকে সাবধান থাকতে অনুরোধ করছি। বিশেষ করে এর গুলশান সার্কেল এক শাখার ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।