কিচ কিচ কুচ কুচ কাচ কাচ কোচ কোচ!!! সালেহ নামের ছেলেটা আমার থেকে ঠিক তিন হাত দূরত্বে বসে আছে। কেমন উদভ্রান্তের মত হাসি তার ঠোঁটে।
আমি বললাম, "কেমন আছো সালেহ?"
সালেহ হেসে উত্তর দিল, "ভালো। তুমি?"
"আমিও ভালো। অনেক ভালো"।
"কিছু খাবে?"
"না"।
"কেন? গরম কফির মাঝে এক চিমটে লবণ না তোমার প্রিয় খাবার?"
"হ্যাঁ", আমি একটু অবাক হয়ে বলি, "তুমি সেটা জানলে কি ভাবে?"
সালেহ হাসল। সাথে সাথেই আমি বুঝতে পারলাম প্রশ্নটা কি ভয়াবহ রকমের অযৌক্তিক ছিল।
সালেহ তো অবশ্যই আমার সবকিছু জানবে। কারণ সে আমারই সৃষ্টি।
আমারই কল্পনা। আমার নেক্সট সাইকো থ্রিলার গল্পের নায়ক সালেহ। যেখানে সালেহ নিজেই থাকবে একজন থ্রিলার লেখক। তাকে আমি তৈরি করেছি বিধাতার মত পরম যত্নে, একটু একটু করে, সাবধানে। সে আমার সবকিছু জানবে না তো কে জানবে?
সালেহ বলল, "আমি জানি তুমি কি ভাবছ"।
"কি ভাবছি আমি?"
"ভাবছ, আমি কেমন করে তোমার মনের কথা পড়ে ফেললাম, তাই না?"
আমি অবাক হতে গিয়েও হলাম না। সালেহ তো আমারই কল্পনা। সে তো আমার সবকিছু জানবেই।
"আসলে", কেমন ফ্যাসফ্যাসে গলায় বলল সালেহ, "তোমার মনের কথা আমি পড়ব না তো কে পড়বে? তুমি যে আমার উর্বর মস্তিষ্কের কল্পনা। তুমি আমার নেক্সট সাইকো থ্রিলার গল্পের নায়িকা।
যেখানে তুমি নিজেই থাকবে একজন সাইকো থ্রিলার লেখিকা। তোমাকে আমি গড়েছি শিল্পীর যত্নে, প্রাণ দিয়েছি একটু একটু করে। তোমার মন বইয়ের পাতার মত আমি পড়ব না তো কে পড়বে?"
আমি হতবাক হয়ে গেলাম। হতাশ হয়ে গেলাম। রাগান্বিত হয়ে গেলাম।
সালেহ হা হা করে হাসতে লাগল। অথবা সালেহ হতবাক হয়ে গেল। হতাশ হয়ে গেল। রাগান্বিত থেকে প্রচণ্ড রাগান্বিত হয়ে গেল সে। আর আমি হাসতে লাগলাম হা হা করে।
হা হা। হা হা। হা হা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।