১৯৯৩ সালের পয়লা এপ্রিল (সত্যিকারের এপ্রিল ফুল !) চাকরের খাতায় নাম লেখাই। গতকাল দাসজীবনের সতের বছর পূর্ণ হয়েছে। আজ থেকে শুরু অষ্টাদশ বছর।
এরশাদীয় স্বৈরশাসন আর সে দু:শাসন থেকে মুক্তির সংগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ে জীবনের সবচেয়ে স্বর্ণালী সময়ের বাড়তি ৫টি বছর অপচয় হয়েছে। চাকরী জটে গেছে আরো আড়াই বছর।
তারপর জীবনের জন্য থিতু হবার স্বপ্ন শুরু। কিন্তু এই চাকরের জীবনের ব্যস্ততা নিজের জীবনের বহুসুখস্বপ্ন কেড়ে নিয়েছে। ছুটি পাইনা বলে আত্মীয়স্বজন আর বন্ধুদের সাথে হয়ে গেছে সুদূরের সম্পর্ক। আপনজনরাও কাছে কম পেয়ে ত্যক্তবিরক্ত।
যে চাকুরীর জন্য এই জীবনপাত সে এই ক্ষুদ্র জীবনের সব শুষে নিলেও বিনিময়ে দেয়নি কোন সত্যিকারের ন্যূনতম কোন আর্থিক নিরাপত্তা।
দেয়নি একফালি বসবাসের ঘর। খোদা না করুন, বড়ো কোন বিপদআপদ মোকাবেলার মতো অর্থও নেই। হাতপাততে হবে চাকরজীবনের ব্যস্ততার জন্য দূরে সরে যাওয়া স্বজনদের কাছে।
কোন কূক্ষণে চাকরজীবনকেই জীবনের সর্বোত্তম চরিতার্থতার উপায় বলে স্বপ্ন (!!!!!!!!!!???????) দেখেছিলাম। কেন দেখেছিলাম ?
এখন আমার দুই ছেলেকে আর চাকরজীবনের স্বপ্ন দিয়ে কুপথায়িত করতে চাই না।
আমার জীবনের মতো, হোক না অতিতুচ্ছ এই জীবন, তাদের জীবনটা অপচয়ের খাতায ঢুকে যাক এটা আমি আর চাই না। আমি চাই ওরা ব্যবসা করুক। অথবা কোন সৃজনশীল পেশা (কম্পিউটারবিজ্ঞান/ স্থাপত্য/ গান/খেলা/অভিনয় ইত্যাদি) গ্রহণ করুক।
যে অনিশ্চয়তা আর সমস্যার ভয়ে তথাকথিত নিরাপদ জীবনের দু:স্বপ্ন দেখেছি তার ফল তো হাতে নাতে পেলাম।
এখন শুধু জীবনের অবধারিত কর্তব্য আর মৃত্যুর পথ চাওয়া।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।