মানবদেহের যখন কোনও হাঁড় ভেঙ্গে যায় তখন ডাক্তারের সাধারণত সেটিকে সারিয়ে তুলতে পিন অথবা রড ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু এসব ধাতব টুকরোর অনেক সীমাবদ্ধতা আছে হাঁড়ভাঙ্গার এমন চিকিৎসায়। হাঁড় ভেঙ্গে গিয়ে যদি টুকরো টুকরো হয়ে যায় সে অবস্থার কথাই উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে। অনেকদিন ধরেই তাই চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বিকল্প উপায় খুঁজে আসছিলেন। শেষ পর্যন্ত হয়তোবা এর সমাধান পাওয়া গেল আর এই সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন করতে সাহায্য করেছে এক ধরনের সামুদ্রিক কেঁচো।
স্যান্ডক্যাসল’ নামের এই সামুদ্রিক কেঁচোটি জীবনধারা দেখলে সত্যি অবাক হতে হয়। সমুদ্রের গভীরে এরা সাধারণত এদের নিজেদের বাসা তৈরি করে থাকে। আর বাসা বানানোর উপকরণগুলোর মধ্যে রয়েছে সমুদ্রের বালু, শামুকের খোলস এবং অন্যান্য কাকর জাতীয় বস্তু। এসব বস্তু সংগ্রহ করার পর সেগুলোকে জোড়া দিয়ে এই কেঁচোগুলো বাসা তৈরি করে থাকে। আর জোড়া দেবার কাজে তাদের দেহ থেকে নিঃসৃত এক প্রকারের আঁঠালো পদার্থকে কাজে লাগায়।
স্যান্ডকাসল কেঁচোর দেহ থেকে নিঃসৃত এই আঁঠালো পদার্থের অনুকরণে উতাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এটির এক প্রকার সিনথেটিক ভার্সন তৈরি করেছেন যা মানুষের দেহে ভেঙ্গে যাওয়া হাড় জোড়া দেবার কাজে লাগানো যাবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। এই আঁঠার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি খুব তাড়াতাড়ি কোনও কিছুকে জুড়ে দিতে পারে, খুব শক্তিশালী এবং অতি সহজেই মানুষের দেহের আভ্যন্তরীণ জলীয় আবহাওয়ার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। এখনো এর উপর আরো অনেক গবেষণা চালানো হচ্ছে মানুষের দেহে ব্যবহারোপযোগী করে তোলার জন্য।
ন্যাশনাল নিউজ ডেস্ক,০৯ মার্চ ২০১০।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।