গর্বিত আমি, জন্মেছি এদেশে....(বরিশালে)
আসলে এই পেপার পত্রিকা, মিডিয়া, এইসব ব্লগ........সবজায়গাতেই লোডশেডিং নিয়া চিল্লা চিল্লি শুরু হইছে, সবাই খালি নেগেটিভ চিন্তা/কথাবার্তা কইতাছে। আসলে আমরাকি খালি হুজুগেই নাচতাছি, নাকি কখোনে তলায়া দেখছি এর পজিটিভ দিক সমূহ।
১) আমাদের বাসার লাইট,ফ্যান, ফ্রিজ, টিভি সবকিছুরই একটা সার্ভিস পিরিয়ড আছে, এছাড়াও কন্টিনিউয়াসলি ব্যাবহারে এদের হার্ট গরম হইয়া যেকোন সময় এ্যাটাক হওনের চান্স থাকে। তাই লোডশেডিংএর ফলে এর একটা ভালো বিশ্রাম পায়, যার ফলে যে জিনিষটা ৩ বছর চলনের কথা, সেইডা চলে ৫ বছর। চিন্তা কইরা দেখছেন, কত্তো সেইভ........কত্তোগুলা টাকা বিদেশে চইলা যাইতো, এই এক্সট্রা ২ বছরের জন্য।
এটা আমাদের অর্থনীতির উপরের অনেক হেল্প করে নি:সন্দেহে।
২) এই গরমে ফ্রিজ ওয়ালা লোকজনের চরম সমস্যা, বেশি বেশি কিনে যে ফ্রিজের গুদামে ফালাইয়া রাখবে, সে উপায় নাই............ফলাফল : সবাই পরিমিত মাত্রায় কেনাকাটা করে, যার ফলে বাজারে খাদ্য ঘাটতির সম্ভাবনা থাকেনা। আর কেনা কাটা কম মানে জিনিষপত্রের দাম কমে......। দেশের সিন্ডিকেট বাহিনীর গালে চপোটাঘাত কইরা, সব পন্যের দাম হু হু কইরা কমার প্রবাবলিটি ৯০%।
৩) চারিদিকে গরম........কারেন্ট নাই......ঘরের মা,বৌ...কাজের বুয়া সবাই অতীষ্ট......এই গরমে এমনেই মেজাজ থাকে গরম, আবার সেই গরমের মধ্যে চুলার পাশে যেতে কারোই মন চায়না।
ফলাফল : একান্ত যা না হলেই নয়, তা ছাড়া অতিরিক্ত কেউ রান্না করেনা। (যেমন কাল খেতে বসার পরে মাত্র ২পদের তরকারী দেখে ডালের কথা জিগাইতেই, ভাবি চেইত্যা কয়, এই গরমে যা রানছি ওইডাই বেশি, এইডা দিয়াই খাও)।
যারা ৩-৪ পদের তরকারী খান......তারা খাবেন ২ পদের দিয়া.......ফলে এই পরিমীত আহারে তাদের কত্তো স্বাস্থ্য সুবিধা পাবেন আর আমাদের কত্তো অষুধের খরচ বাঁচবে সে প্যাচালে গেলামনা। তবে এর ফলে যারা ব্যাগ ভরে বাজার করেন, তারা হাফ ব্যাগ বাজারেই কিনে ফেলবেন সব প্রয়োজনীয় জিনিষ।
৪) আপনারা জানেন এই পাশ্চাত্যের সভ্যতার ঠেলায় আমরা আমাদের সেই পুরান জিনিষ সব ছুড়ে ফেলেছি।
এই বিদ্যুতের জন্যই আমারা সেই ল্যাম(কুপি), হারিকেন, হ্যাজাক, মোমবাতি, তালপাখা.........এগুলো এখোনো ধরে রাখতে পেরেছি।
৫) আমরা যদি এই বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ন থাকতাম, তাইলে কত্তো গুলা বিদ্যুত কেন্দ্র চালু থাকন লাগতো.......আর এর জন্য কতো গুলা তেল, গ্যাস ডেইলি ডেইলি খরচ হতো.........দেশের অর্থনীতির উপরে ব্যাপক চাপ আসতো।
৬) আপনারাতো নিশ্চয়ই জানেন, বর্তমানে এক ইউনিট বিদ্যুত উৎপাদনে ১০টাকারও বেশি খরচ হয়, আর আমাদের দেওয়া হয় ২-৩টাকায়। এতে করে এই সেক্টরে হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। চিন্তা করেন এই উৎপাদিত ৪৫০০মেগা বিদুতের জন্য কত্তোগুলা টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে, এর উপরেও যদি আরো ২০০০-২৫০০মেগার ভর্তূকি যোগ হয়, এদেশটার অর্থনীতির কি অবস্থাটা হবে।
সতর্কতা : ভুলেও কেউ আমারে বিদ্যুত বিভাগের লোক, বা বৈদ্যুতিক মন্ত্রীর লোক মনে কইরা আমার উপরে রাগ ঝাড়তে আসবেননা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।