দুনিয়ার বয়সটাকে একবছর ধরা হলে, কসমিক ক্যালেন্ডারের একেবারে শেষ সেকেন্ডে আমাদের অবস্হান। অর্থাৎ এখন সময় ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ রাত ১১টা ৫৯মিনিট ৫৯ সেকেন্ড। বড় বড় যুদ্ধ, সভ্যতার উথ্থান-পতন, ধর্মপ্রণেতাদের আগমন,বিজ্ঞানের জয়যাত্রা এসবই ঘটেছে গত কয়েক সেকেন্ডে।
মানুষের আবির্ভাব হয়েছে, তাও বেশিক্ষণ হয়নি, ঘন্টাদুয়েক আগে সে প্রথম সোজা হয়ে হাঁটতে শুরু করেছে, মিলিয়ন বছর কসমিক ক্যালেন্ডারে প্রায় ঘন্টার সমান। এরপরে কয়েকটা বরফযুগ পেরিয়ে, ভূপৃষ্ঠের জৈববৈচিত্রের নানা বিবর্তনের পর মানুষ আজকের অবস্হানে এসে পৌঁছেছে।
তারপরে শেষ মিনিটে এসে মানুষ লিখতে শেখে, গুহাচিত্র আঁকে, নিজেকে প্রকাশ করার আকাংখা তীব্র হয়,সেসবই এখনও টিকে আছে। এ ঘটনাগুলো যখন ঘটেছে তা কিন্তু বেশিদিন আগের কথা নয়,মহাবিশ্বের হিসেবে চোখের পলক ফেলার মত সময়।
বাঙালীকে মানুষ ইতিহাস অসচেতন, বিস্মৃতিপরায়ণ বলে। আমার মনে হয় সারা দুনিয়ার মানুষই তাদের নিজেদের ইতিহাস নিয়ে বিস্মৃতিপরায়ণ, বছরের শেষদিনের শেষ মিনিটের ঘটনার উত্তেজনা সামলাতে পারছে না। বর্তমানে এমনভাবে মজে আছে যে এদের ঘুম ভাঙাবে কার সাধ্য? লিখিত ইতিহাস আসার পরে মানুষ তার অতীত ভুলে গেছে, বেশিদিন আগের কথা না অথচ বরফযুগ, বরফযুগপূর্ব স্মৃতি আজ তার মনে আর উঁকি দেয় না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।